রাজপথের শাসক

শামিম
Published : 25 July 2011, 05:17 AM
Updated : 25 July 2011, 05:17 AM

একটি দেশ তখনই দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে যখন ঐ দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হবে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত হবে? এদেশের আইন ব্যবস্থার চরম অবনতি পরিলক্ষিত করছি। পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, দেশের রাজপথের শাসক ক্ষমতার অপব্যবহারকারী হিসেবে বিখ্যাত পুলিশ ভাইদের। ঘুষ খাওয়া এদের নিত্যদিনের স্বভাব। অপরাধীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়া থেকে শুরু করে, হিংসা মনোভাবাপন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিরাপরাধ মানুষদের হয়রানি করা পর্যন্তই তরা ক্ষান্ত থাকে না। আরও অনেক নিম্ন কার্যকলাপ করতে তাদের হৃদয় কাঁপে না। এই নরপিশাচদের যারা পরিচালিত করেন তারা কি কখনও ভাবেন, রাতের অন্ধকারে যেসব পুলিশ রাস্তায় টহল দেয় তাদের হাতে অসহায় হয়ে পড়া কোন নর নারী কতটুকু নিরাপদ। মোটেও নিরাপদ নয়। আমরা পত্রিকা খুললেই তা দেখতে পারবো।

কোন এক অপরাধী- যুবসমাজে মাদক পৌঁছে দেওয়া যার ব্যবসা। সেই মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ল পুলিশের কাছে। তার অপরাধ ছিল যুবসমাজ ধ্বংস করার। অপরাধীকে ধরে পুলিশ জেলে পাঠালো। কিন্তু এ বাংলাদেশের সচেতন জনগণ আপনারা কখনও কি ভেবেছেন, ঐ মাদকগুলো কোথায় যায়। যে মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধরা হয়েছিল। আমি বলবো মাদকগুলো ঠিকই যুবসমাজে পৌঁছে গেল। ঐ পুলিশ মাদক গুলো ঠিকই বিক্রি করছে। কিন্তু কেউ তা জানে না। যদি এক কেজি হেরোইন ধরা পড়ে তবে বলা হয় আধা কেজি হেরোইন ধরা পড়েছে। বাকি আধাকেজি কিন্তু যেখানে যাওয়ার কথা সেখানেই চলে যাচ্ছে। তাহলে অপরাধীকে ধরে লাভটা কি হল। দেশের কোন লাভ হল না। লাভ হল পুলিশের। অপরাধী ধরার ফলে প্রমোশন হল তার। কিন্তু ঐ অপরাধীর পরিবার কিন্তু না খেয়ে বা অল্প খেয়ে অভিশপ্ত জীবন কাটাবে।

আমরা মাঝে মাঝেই লক্ষ করি- বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট। পুলিশের ইনকামের অন্যতম উপায়। যারা অপরাধী তাদের কেউই এ পদ্ধতিতে ধরা পড়ে না। ঘুষ দিয়েই বেঁচে যায়। যারা অপরাধী নয় তারা পড়ে বিড়ম্বনায়। আমি একদিন গুলশান এক থেকে লিংক রোডের দিকে আসছিলাম রিক্শায়। কাঁধে ব্যাগ ছিল। মোবাইল কোর্টের কর্মরত পুলিশ আমাকে থামায়। আমি বললাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালায়ে পড়ি আমি। আমাকে চেক করা হল।আমার কাছে এক সিডি পাওয়া গেল। যেটা ছিল ব্ল্যাংক ডিস্ক। আমি কিছু ডাটা রাখার জন্য একটা ব্ল্যাংক ডিস্ক আইডিবি থেকে কিনেছিলাম। বাসায় এসে ল্যাপটোপে ডাটাটা বার্ন করব ভেবেছিলাম। পুলিশটি আমাকে বলে এটা পর্নো সিডি। বলুন, আমি তাকে কিভাবে বুঝাবো? কোন মতেই বুঝল না। শেষে আমার নিকট হতে 50 টাকা নিয়ে আমকে ছেড়ে দেয়। আমি ঐ এলাকায় সেদিন আমর বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিলাম। আমার কিছু্ই করার ছিলনা। এই হল বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা। বিগত দিনে আমরা পুলিশের হাতে নারী ধর্ষণের কথাও জেনেছি। আসলে সরকারই পারে এর পরিবর্তন ঘটাতে। সু-পদক্ষেপই যথেষ্ট। আসুন আমরা এর প্রতিবাদ করি। নতুবা একদিন আপনিও এই বিড়ম্বনায় পড়বেন।