আমাদের পরিচয় আমরা ‘ব্লগার’ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি

মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন
Published : 16 Feb 2013, 04:51 AM
Updated : 16 Feb 2013, 04:51 AM

পুরোজাতি যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে ঠিক সেসময় আগামী সোমবার জামাত সারাদেশে হরতাল ডেকেছে । এর আগে হরতাল ডেকে ছিল কসাই মোল্লার রায়ের দিন । আমরা দেখেছি রায়ের পর কসাই মোল্লা আদালত থেকে পুরো জাতির মুখে চপটা ঘাত করে ভি চিহ্ন দেখাতে দেখাতে গাড়িতে চেপেছে। ভাবটা এমন ছিল পারলিনা ফাঁসি দিতে ? আদালতে কাদের মোল্লার জন্য আইনি লড়াই যেমন লড়েছে জামাতের আইনজীবি নামক রাজাকারগুলি ঠিক তেমনি রাজপথে পুলিশ আর জনগনের মালের উপড় তান্ডব চালিয়েছে শিবির আর জামাতের নব্য রাজাকারেরা।এসব সকলের জানা ।

জামাত কক্সবাজারে তাদের তিনজন সন্ত্রসী কর্মীর মৃত্যুতে আবার পরো দেশে হরতাল ডেকেছে ।যারা কিনা নিহত হয়েছে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে । ঠিক একই দিন অন্য একটি ঘটনায় মীরপুরে হত্যাকরা হয়েছে রাজীব হায়দার শুভ "থাবা বাবা" নামের একজন ব্লগারকে ।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে ব্লগিং এর সঙ্গে জড়িত আছি প্রায় তিন বছর যাবত । নিহত ব্লগারের সঙ্গে আমার তেমন পরিচয় না থাকলেও দু'একবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে অন্য একটি বিষয় নিয়ে । কিন্তু একটি ইস্যুতে আমাদের লক্ষ্য ছিল এক সেটি হলো সকল রাজাকারদের বিচার এবং ফাঁসি । প্রথম আলো,সময় ব্লগে,বিডিনিউজ ব্লগে জামাতের বিরুদ্ধে লেখার পর আমিও বেনামে হুমকি পেয়েছি ।মাস ছয়েক আগে আমার বাসার দারোয়ানের কাছে এসেও কয়েকজন আমার সর্ম্পকে খোজ খবর করে গেছে । গতকাল তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারিনি । এ রকম পরিনতি তো আমারসহ অন্যান্য ব্লগারদেরও হতে পারে । জন্মেছি যখন তখন মরতেই হবে । আল্লাহ্ যখন মৃত্যু দেবেন চলে যাবো । তাই আমার মত শতশত ব্লগারের পক্ষ থেকে বলছি,আমাদের পরিচয় ব্লগার আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।

জামাতের রাজনীতির সঙ্গে আফগানীস্থান , ইরাক,লিবিয়ার বিপথগামী জঙ্গি সংগঠনগুলোর অনেক মিল রয়েছে । জিহাদের নামে এরা যে কোন সময় হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে । একাত্তরেও আমরা জামাতের এই একই চরিত্র দেখেছি । জামাতের মুরুবি রাজাকারেরা তাদের নব্য রাজাকার কর্মীদের বারবার এই বলে ওসিয়ত করছে যে, তারা ইসলামের শক্রদের বিরুদ্ধে জিহাদে আছে । জিহাদের পুরো সংজ্ঞাই এরা পাল্টে দিয়েছে। ইসলামকে তারা ব্যবহার করছে নিজেদের ইচ্ছে মতো । তাই জামাত চাইছে দু'একটা হত্যা করে চলমান আন্দোলনকে বন্ধ করে দেবে । একাত্তরেও তাই চেয়েছিল ।

যা বলছিলাম, যে উদ্দেশ্যে এ লেখা, পুরো দেশবাসিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জামাত আবার হরতাল ডাকার সাহস পায় কোথায় ? কারা যোগাচ্ছে জামাতকে এতো সাহস ? কেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো কমসূর্চি ঘোষুনাকারী, হত্যার নির্দেশদাতা জামাতের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না ? ক'জন ব্লগারের লাশ পরলে সরকার প্রকৃত অর্থেই জামাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ? সরকার জামাতকে নিষিদ্ধ করে বিল আনার কথা বলছে, আমরা চাই না এ নিয়ে কালখেপন করা হোক তাই যতো তারাতারি সম্ভব জামাতকে নিষিদ্ধ করুণ । জামাতকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষুনা করুণ ।

পরিশেষ : পবিত্র কোরআনে আছে – "দেশ প্রেম ঈমানের অঙ্গ" মরার পর মহান আল্লাহকে বলতে পারবো আমি আমার দেশের জন্য মরেছি । তাই আমি আমার সঙ্গে করে ঈমান নিয়ে এসেছি ।এবার তোমার যে শাস্তি কিংবা পুরস্কার যেটি ইচ্ছে আমায় দাও ।