অবৈধ বিদ্যুত সংযোগের মালিক, দুর্নীতিগ্রস্ত লাইনম্যান এবং কর্মকতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক

মুহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন
Published : 22 Nov 2011, 06:19 AM
Updated : 22 Nov 2011, 06:19 AM

দেশে যে ক'টি জ্বালানী সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে দুর্নীতিগ্রস্থ হলো "বিদ্যুত সেক্টর" । এ কথাটা সরকারও খুব ভাল করে জানে । এই সেক্টরে ভাল কোন মানুষের চাকরী হয় না । আর হলেও তারা টিকতে পারেনা ।

সামান্য ৬-৭ হাজার টাকা বেতনের একজন লাইন ম্যানও ঢাকা শহরে দু'তিনটা বাড়ির মালিক । দিনের পর দিন অবৈধ লাইনের মাধ্যমে চলছে – কোটি কোটি ওয়ার্ড বিদ্যুত চুরি । পুরো ঢাকা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ । আর এসব অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ মালিকরা লাইন ম্যান মাধ্যমে বিদ্যুত সেক্টরের উর্চ্চ পর্যায়ের কর্মকাতাদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন করে চলেছে পুকুর চুরি । প্রতি মাসে লাইনম্যানের হাতে কয়েক হাজার টাকা তুলে দিয়ে – চুরি করছে হাজার হাজার টাকার বিদ্যুত । ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যুতের মূল্য থেকে । জনগন হচ্ছে ঘনঘন লোডসেডিং এর শিকার ।

এই সব লাইনম্যান, কর্মকতারা কোন না কোন দলের সমর্থক । অফিসের ভেতরে এবং বাহিরে ঝুলিয়ে রাখে বিশাল বিশাল ব্যানার "বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই করতে হবে" । আবার বিএনপির সময় ব্যানারের পরিবর্তন হয়ে নতুন ব্যানার ঝুলে "সারা বাংলার ধানের শিষে জিয়া তুমি আছো মিশে, কিংবা তারেক জিয়া ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই ।"
মূল কথা হচ্ছে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চুরি করা ।

সরকার আবারও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কথা বলছে । কিন্তু এসব অবৈধ বিদ্যুত সংযোগের মালিক,দূনীতি গ্রস্ত লাইনম্যান এবং কর্মকতাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা করছে না । এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে হাজার হাজার কোটি টাকার বিদ্যুত বিল সরকারের একাউন্টে জমা হবে ।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠা নানান ওয়েলডিং কারখানায় যত্রতত্র ভাবে প্রকাশে অবৈধ বিদ্যূতের ব্যবহার দেখা যায় । এছারাও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে ফ্যাক্টরীগুলো বছরের পর বছর দূনীতি গ্রস্ত লাইনম্যান এবং কর্মকতাদের ম্যানেজ করে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ ব্যবহার করে চলেছে । কিন্তু তাদের দেখার বা প্রতিহত করার কেউ নেই। সরকার যেন সব জেনে শুনেই চোখ-কান বন্ধ করে আছে । অথচ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিলে সরকারের নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার প্রয়োজন পরে না । হাজার হাজার কোটি টাকা এমনিতেই সরকারের কোষাগারে জমা হবে এবং লোডশেডিং এর মাত্রাও কমে আসবে।

মনে রাখতে হবে, যখন তখন জ্বালানী এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করলে শুধু মাত্র সাধারণ জনসাধরনের দূর্ভোগই বাড়ে পক্ষান্তরে সরকারের খুব একটা লাভ হয় না ।