নদী দখল, জীর্ণ শরীর নিয়ে চিত্রা

সোহাগ খান
Published : 20 May 2012, 05:33 PM
Updated : 20 May 2012, 05:33 PM

নদীর একুল ভাঙে ওকুল গড়ে,এইতো নদীর খেলা।ভারতের গঙ্গা থেকে আসা চিত্রাটি আজ জলশুন্য।ভারত-মেহেরপুর-চুয়াডাঙা-ঝিনাইদহ-নড়াইল-পদ্মা এই তার গতি পথ। দর্শনাতে চিত্রার উপরই কে,রু এ্যান্ড কো: চিনি মিল। তার এই গতি পথে দু-ধার দিয়ে অসংখ্য জেলের জীবিকা নীর্বাহ চলত।জেলেদের জাল ডাঙায় থেকে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। ছেড়ে অনেক জেলে চিত্রার পাড়।১২ মাস পানি থাকা এই নদীটিতে এখন পা্নি থাকে মাত্র ৪-৫ মাস।এই সুযোগ টা ছাড়তে নারাজ। বরং প্রতিযোগিতা করে দখল করা হচ্ছে চিত্রার বুক খুঁড়ে খুঁড়ে। এটি এখন প্রায় ৪ শত'এর উপরে পুকুরের বড় মর্মাহত অবস্থায় দিন পার করছে।আর কলাইয়ের মৌসুমে এর কোন অস্তিত্ব থাকে না।আধুনীক লাঙল দিয়ে এর কাঠামো টা একদম ভেঙ্গে দিয়েছে ।জল ধারনের ক্ষমতা হারিয়ে এটি যে বন্ধা হয়ে গেছে।মাছ নেই ,জাল নেই,জেলে নেই।উপরের ছবিটি ঝিনাই্দহের গান্না বাজারের নিচের অংশ থেকে তোলা।আছে নদী রক্ষা কমিটি,কিন্তু যথেষ্ঠ্য শক্তিশালী নয়।বিভিন্ন ভূমি অফিসে বার বার যোগাযোগ করলেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।প্রাথমিক চিকিৎসার সময় অনেক আগেয় শেষ হয়ে গেছে।এখন দরকার কেমো থেরাপী।নতুবা হারিয়ে যেতে পারে নদী মাতৃক বাংলাদেশের মেয়ে চিত্রা।

নদী রক্ষা কমিটি 'র একজন সদস্য হিসাবে সকলের প্রতি আহ্বান " আমাদের চিত্রাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।"