অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে আজও আমাদের দেশে জীবন দিতে হয়।বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় সন্ত্রাস পুলিশ।এরাই সরকার কে ডোবায়।স্বর্ণকার যেমন তার নিজের মায়ের নাকফুলের সোনাতেও ফাকি দেয় ,তেমনি এই পুলিশ সরকার কে তো ফাকি দেয়ই,আরও সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে খেলে যাচ্ছে প্রতিদিন।জমি দখলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিল ঝিনাইদহের সদর থানার গান্না ইউনিয়নের পাইক পাড়া গ্রামের আঃ ওহাব।
আমি গত কালকে জমি দখলের ঘটনা লিখেছিলাম সেটারই পরবর্তি ঘটনা এটি।
কোটের রায় পেয়ে মোকাদ্দস আলী ঘর দখল করে।কিন্তু বিপক্ষপাটি পুলিশ অর্থাৎ এস আই রহিম কে টাকা দেয়।এস আই রহিম টাকা পেয়ে কোটকে অবমাননা করে মোকাদ্দস আলী কে ঘর থেকে নামিয়ে দিতে যায়।সাধারন জনতা এত দিন চুপ করে থাকলেও এই মুহুর্তে আর চুপ থাকেনি।এলাকার সাধারন জনতা ক্ষেপে যায়।জনগন পুলিশকে ফাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য করে।এতে এস আই রহিম ক্ষুদ্ধ্য হয় সাধারন জনগনের নেতৃত্যে যারা প্রবীন লোক ছিল তাদের উপর।সেই প্রবীন লোকের একজন ছিল আঃ ওহাব।গতকাল রাত্রে আঃ ওহাব যখন তার বাড়ীতে ঘুমিয়ে আছে,তখন তার বাড়ীর গেট ভেঙে তাকে বের করে কোন কথা না বলেই চারটি গুলি করে হত্যা করল।অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে প্রাণ দিতে হল।তাহলে পুলিশ কি?
কেন পুলিশ একজন ঘুমিয়ে থাকা মানুষকে বাড়ীর গেট ভেঙে রাস্তাউ নামিয়ে এনে গুলি করে মারে ?
কেন পুলিশ মিথ্যা মামলা সাজায় ?
কেন এক জন পুলিশ দিনে যে কয়বার ভাত খায় তার থেকে ঘুষ বেশি খায় ?
কিছু বেকার ছেলের পুলিশের চাকরী দেওয়ার জন্যই বাংলার জনগন ?নাকি জনগনের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ।
বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকার কি ,তার অপরাধ না জেনেই পুলিশের হাতে ধরা দেওয়া? বাংলাদেশের সব দূর্নীতির কারন কি পুলিশ নয় ?
বরং এর থেকে ভালো দাদা তপন,দাউদ ইব্রাহীম,দেবু,ওসমান মেম্বর,বিপ্লব,সবুজ যারা কখনই দূর্বলদের উপর অন্যায় করত না।নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আগাছা মুক্ত করে গেছে।
জয় হোক তাদের
ধ্বংস হোক পুলিশি সন্ত্রাস