১৫ আগস্ট নাকি ‘মহারানী’ খালেদা জিয়ার জন্ম দিন !! তিনি ১৯৪৪ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ৫ ( পাঁচ বার ) জন্ম গ্রহন করে এই মহা-বিশ্বে বাংলাদেশকে গৌরবান্নিত ও ধন্য (!) করেছেন .. কারন এই মহা-বিশ্বে তিনিই একমাত্র মহীয়সী নারী (!) যিনি পাঁচ – পাঁচ বার জন্ম গ্রহন করেছেন … তার আরেকটি অদ্বিতীয় , ইর্ষনীয় বিশ্ব – রেকর্ড হলো যে , তিনিই বাংলাদেশের প্রথম এবং শেষ সরকার প্রধান (!) , যার নেত্রীত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিতে পর পর ৫ বার ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছিলো !! এই মহীয়সী নারীর জন্ম দিন সম্পর্কে যতদুর জানা গেছে , সেই ইতিহাস নিয়ে এখানে একটু আলোকপাত করা হলো :
— ৫ আগষ্ট ১৯৪৪ সালে উনি সর্ব প্রথম এই পৃথিবীতে আগমন করেন .. যেটা তিনি তার ‘ম্যারেজ সার্টিফিকেটে’ উল্লেখ করেছেন … যাক , অন্তত: একটা ‘ম্যারেজ’ সম্পর্কে তো জাতি জানতে পারলো … আমরা ধন্য !!
— ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে দ্বিতীয়বার তিনি এই পৃথিবীতে আগমন করেন ( কবে , কিভাবে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তা এখনো জানা যায়নি ) যেটা তিনি তার ‘স্কুলের রেজিষ্টারে’ উল্লেখ করেছেন .. যদিও উনি ইদানিং বলছেন যে , তিনি ‘স্বশিক্ষিত’ – তবে দুর্মুখেরা বলে – তার আসল শিক্ষাগত যোগ্যতা নাকি ‘ফেল করতে করতে দুই ক্লাস কম মেট্রিক পাশ’ , অর্থাত ক্লাস এইট –এ গিয়ে ঠেকেছিলো .. আর , তাইতো তার দুই গুনধর যুবরাজ পুত্ররা তাদের আম্মাজানের অসন্মান হবে মনে করে তারাও স্কুল থেকে কয়েকবার বহিস্কৃত ও ফেল করে তাদের শিক্ষা জীবন ‘মেট্রিক’ এর ঘরেই সীমাবদ্ধ রেখেছে .. গর্বিত মায়ের উপযুক্ত সন্তান বটে !!
— ১৯ আগস্ট ১৯৪৭ সালে তৃতীয়বার তিনি আবারও এই পৃথিবীকে ধন্য করতে মর্ত্যে আগমন করেন .. এই তারিখটি তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহনের দিন ‘সরকারী রেজিস্টারে’ নথীভুক্ত করান !!
— ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালটি উনি কি মনে করে তার কিছু ‘নাদান উপদেষ্টাদের’ পরামর্শে তার ‘প্রেস সেক্রেটারির’ মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে ধন্য করলেন যে – এখন থেকে তার নতুন জন্ম তারিখ হলো ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ !!
— ১৫ আগস্ট ১৯৪৬ – হটাত আবার এই তারিখটি তিনি ‘জাতীয় নির্বাচনের’ সময় নির্বাচন কমিশনের ফর্মে নথীভুক্ত করিয়ে তারিখটি পোক্ত করিয়ে নেন … কোন ‘নাদান’ বলে যে , ওনার কোনো কু-বুদ্ধি নাই ?!!
এছাড়াও , তার ‘পাসপোর্ট’ যে কয়টি ছিলো বা আছে এবং তিনি তার ‘জন্মদিন’ কোন পাসপোর্টে কোনটা দিয়েছিলেন সেগুলি নাকি এখন আর মনে রাখতে পারেন না !! এবার নাকি তার আবার খায়েশ হয়েছে যে , তিনি এখন থেকে ‘বছরে দুইবার’ জন্মদিন পালন করে দেশবাসীকে আরো ধন্য করবেন ( এটা মনে হয় – লেজকাটা বান্দরের বুদ্ধি ) .. তার সেই জন্মদিন গুলি হলো – ‘১৫ আগস্ট’ এবং ‘২১ আগস্ট’ … মহিয়সী মহারানীদের ব্যাপার – স্যাপারই আলাদা !!
আমরা ছোটবেলায় শুনেছিলাম যে , সরকারী চাকুরী পাবার জন্য পিতা – মাতারা সন্তানদের বয়স তাদের স্কুল সার্টিফিকেটে প্রকৃত জন্ম তারিখ থেকে ১ বছর কমিয়ে দেখাতেন এবং এই ব্যাপারটি ছিলো একেবারেই ‘ওপেন সিক্রেট‘ এবং সেখানে আর অন্য কোনো অসত উদ্দেশ্য বা কোনো ‘ভন্ডামীর’ ব্যাপার ছিলো না … একজন ব্যক্তির ‘জন্ম তারিখ’ একটিই হয় – সেটা ভুলে হোক বা জেনেশুনে হোক !!
… কিন্তু ‘মহারানী’ খালেদা জিয়ার যে এতোগুলি জন্ম তারিখ এবং এই ব্যাপারে যে তিনি কখনই কোনরূপ আপোষ করেন নাই .. তার জন্য তাঁকে আন্তর্জাতিক ‘ক্ষণ-জন্মা নারী‘ হিসেবে ‘নোবেল পুরস্কার‘ দেয়া উচিত !!! … আল্লাহ ওনাকে হেদায়েত করুন |
joyeeta বলেছেনঃ
ভাই আপনাকে আমার একটা প্রশ্ন আমি জানিনা এইটা খালেদা জিয়ার সত্তি না মিতথা জন্মদিন তবে আপনার কী মনে হয় পনেরো আগস্ট কী কারো জন্ম হয় নাই এই বাংলাদেশে এই পৃথিবীর বুকে নাকি বঙ্গবন্ধুর মৃত্তুবার্ষিকী দেখে কারো জন্ম হতে পারবে না?কেউ না কেউ কোথাও না কোথাও তার জ্ন্ন্মদিন ঠিক পালন করবে। আপনার কী মনে হয় করবে না ?আপনি ঐটা বলতে পারতেন যদি খালেদা জিআর জনমদিন হয়েও থাকে তবে সেটা সে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়েk অন্যভাবে পালন করুক .এই ভাবে কাওকে বাক্তিগত ভাবে আক্রমন করে কী কিছু বলা উচিত.আমরা কারো কাজ নিয়ে সমালোচনা করতে পারি কারো বাক্তিগত জীবন নিয়ে না.
পথহারা সৈকত বলেছেনঃ
মহারানির তো এটা জন্মদিন ঠিক নাই ….কিন্তু অনেকের [মডারেটেড]……
মরুর প্রান্তে বলেছেনঃ
আপনার পোস্ট এর ধরণ দেখে বুঝা যায় আপনার কোন দলের সমর্থক 🙂
যাই হউক আমি খালেদা জিয়ার এই রকম প্রকাসসে জন্মদিন পালন করা সমর্থন করি না। আরে বাবা এই বয়সে জন্মদিন শুধুমাত্র পারিবারিকভাবে পালন করা উচিত।
এবার আসল কথাটি বলি, আমাদের রাজনীতিবিতদের যোগ্যতা, চরিত্র, লজ্জা -শরম নিয়ে কথা বলতে ও আমার প্রচন্ড ঘেন্না হয়।
ফারূক usman বলেছেনঃ
আমি শুনেছিলাম কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করে লিখলে বা কুরুচীপূর্ণ লেখা প্রকাশ করা হয়না।এখানে দেখছি তার উল্টোটা।কারো লেখার বিষয়বস্তু ও ভাষা দেখলে বোঝাযায় তার ব্যক্তিত্ব ও রুচী সম্পর্কে।বাংলাদেশের ইতিহাসে ইনি দ্বিতীয় মইন ইউ হতে পারেন।উনার বয়স কত জানিনা।শেখ মুজিব যেদিন নিহত হন সে দিন দেশের মানুষ কি করেছিল উনি কি দেখেছেন? আওয়ামী লীগের বড়
বড় নেতারা বলে ছিলেন-ফেরাউনের পতন হয়েছে।তখন কার সংবাদ পত্র গুলো
খুললেই দেখতে পাবেন।ঘটনাটি যে নৃসংশ ও জঘন্য তাতে কারো দ্বীমতনাই
তাই বলে ১৫ আগষ্ট কারো জন্মদিন হোতে পারবেনা? তাহলে তো সৃষ্টিকর্তাকে
অভিযোগ করতে হয়!অবশ্য এমন অন্দ্ধ আওয়ামী লীগার আল্লার বিরুদ্ধেও লিখতে পারে বলে আমার মনে হয়।এদের দ্বারা কিছুই অসম্ভব না।
নীলকন্ঠ বলেছেনঃ
কী বুঝাতে চাচ্ছেন জানিনা।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে বিভ্রান্তি আছে জানি। তাই বলে এমন নোংরা ইঙ্গিত তো ভালো মানসিকতার লক্ষন প্রকাশ করে না।
চতুষ্পদী একটা জন্তু আছে যেটা আমাদের দেশে শুধুমাত্র নোংরা আবর্জনা খেয়ে বেঁচে থাকে আর ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
১৯৭৫-এ ১৫ অগাস্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের দিন হিসেবে জাতীয় শোকের দিন। স্বভাবতঃই এইদিনে জন্মগ্রহনকারী যে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক নিজের জন্মদিন পালন নিয়ে মিডিয়া জুড়ে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা নেয়া থেকেও বিরত থাকাই স্বাভাবিক এবঙ অন্ততঃ যিনি দেশের প্রধান একটি দল-এর চেয়ারপার্সন, তাঁরতো দলের ভাবমূর্তির বাড়ানোর জন্য হলেও জাতীয় শোক দিবসে ঘটা করে কেক কাটার মিডিয়া সেশন সম্পর্কিত বিষয়ে বোধোদয় কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এক সত্য যে জাতি আজতক কাঙ্ক্ষিত বোধোদয়-এর বিষয়ে বিন্দুমাত্র সচেতনতা দেখতে পায়নি এই দলের কাছে। হয়তো এই তাদের নীতি !!
মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেছেনঃ
শেখ কামালের ৬৩ তম জন্মদিন আজ, ১০ দিন পর ১৫ই আগষ্ট ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।
– মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা
১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালের ২৬ তম জন্মদিন ছিল। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিয়তির নির্মম পরিহাস জন্মদিন পালনের ১০ দিন পার হতে না হতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে
জাতির জনকের হত্যাকারী মানবতার ঘৃণ্য শত্রুদের নির্মম-নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। আজ শোকের ৫ম দিনেও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এবং তার প্রিয় কাব আবহানী লিঃ জন্মদিন উপলে নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের ৬৩তম জন্মদিন দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে ১৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার জন্মদিন কেন পালন করতে পারবে না? বিএনপির সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা। প্রতি বছরই ১৫ই আগষ্ট জাতির এই গভীর শোকাহত দিনে অনেক শিশু জন্মগ্রহন করছেন। সেই সব শিশুরা কি তাদের জন্মদিনে শোক দিন পালন করবে? আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু গনতান্ত্রিক দেশে কারো জন্মদিনে জোর পূর্বক শোকের দিন পালন করা কতটুকু যৌক্তিক? এদেশের ৩৪% জনগন বিভিন্ন ভাবে আওয়ামীলীগের সমর্থন করে। তাদের পরিবারের মধ্যেও অনেকেই ১৫ই আগষ্ট জন্মগ্রহন করেছেন কিংবা আগামী প্রজন্ম কেউ কেউবা পৃথিবীতে নতুন সূর্য দেখবে। সেই পরিবারকে তার শিশুর ভুমিষ্ঠর দিন শোক দিন পালন করবে?
৩০শে মে ১৯৮১ সালে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুস্কৃতিদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। বিএনপি দীর্ঘদিন মতায় থাকা অবস্থায় কোন দিনও ঘোষনা দিতে দেখিনি এই দিন অর্থাৎ ৩০শে মে কারও জন্মদিন পালন করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়ার জন্ম হয়েছিল। যে কারণে তিনি শোক দিবসের দিন প্রহসনমূলকভাবে তার জন্মদিন পালন করেন।” এর বিরুদ্ধে জাতিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান হানিফ। রোববার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হানিফ এসব কথা বলেন। গত ৪ই আগষ্ট শনিবার সকাল ১০টায় সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বস্ত্র মন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য আবদুল মতিন চৌধুরী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা অবস্থায় ঢাকার সিদ্বেশ্বরীস্থ মনোয়ারা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। গতকাল বিকাল ৩টায় নয়াপল্টন পার্টি অফিসে যখন তার জানাজায় অংশগ্রহন এবং কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবে নের জন্য গিয়েছিলাম পাশে ছিল আনন্দ ভবন। তখন সেই ভবনে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের নানা তোড়-জোড়। কই কেউ তো তাদেরকে গিয়ে বলেনি আমাদের প্রিয় নেতা এই দিন মরে গেছে। এই দিনে আপনাদের বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখেন। তবে কেন বার বার আগষ্ট মাসকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের অনাকাংখিত বক্তব্য ও বিবৃতি।
একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলের নেতা সর্ম্পকে মতাসীন দলের ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের এই উসকানী মূলক বক্তব্য রাজনীতিতে সরকার এবং বিরোধীদল পরস্পর আরও দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে, যা কারই কাম্য নয়। আমরা দেখেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার জন্মদিন খুবই সংপ্তি ভাবে পালন করেন। এবং তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনো জন্মদিন পালনের ব্যতিক্রম আয়োজন ছিল না। তার পরও বর্তমান সরকার দেশনেত্রীর জন্মদিন নিয়ে নানা ভাবে নানা অপপ্রচার করেই চলেছেন।
আগামী ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৩৮ তম জাতীয় শোক দিবস রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হবে। একই দিনে দলীয় ভাবে ৬৭ তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গ সংগঠন। জন্ম, মৃত্যু মহান আল্লাহই নিয়ন্ত্রন করেন। এবিষয়ে আর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে গণতান্ত্রিক ভাবে সকলের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের সকলের ল্য হওযা উচিত।
rayan বলেছেনঃ
মহারানীর জন্মদিন যদি সবগুলিই পালন করতেন জাতি হিসেবে আমরা আরো একটি রেকর্ডের মালিকানা পেতাম!
শুভাশীষ চৌধুরী বলেছেনঃ
জন্মদিন নিয়ে এসব ধোঁকাবাজীর বিরুদ্ধে একটা মামলা ঠুকে দেওয়া যায়। সব কিছু নিয়েই আজকাল মামলা হচ্ছে। এটা বাদ যাবে কেনো? তাতে উনার আসল জন্মদিনটাও আদালত ঠিক করে দেবে।
ম, সাহিদ বলেছেনঃ
আগাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা…………………….!
মইন সিদ্দিকী বলেছেনঃ
হ্যা .. অবশ্যই ‘জন্ম , মৃত্যু মহান আল্লাহই নিয়ন্ত্রন করেন’ – মুসলমান হিসেবে যে এটা অস্বীকার করবে সে ‘কাফের’ | আমার লেখার মূল বক্তব্যই ছিলো – শুধুমাত্র হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অন্যকে অসন্মান করার জন্য যদি কেউ তার ভুয়া জন্মদিন পালন করে এবং কেউ যদি তার ওই কাজটি সমর্থন করে .. তারা উভয়েই সমভাবে দোষী এবং এটা খোদার ওপর খোদগারী ( নাউজুবিল্লাহ ) করারই সামিল – যার সাজা আখেরে তাকেই ভোগ করতে হবে | আমি কখনই বলি নাই যে , ১৫ আগস্ট অন্য কারো জন্মদিন হতে পারবে না .. বাংলাদেশ সহ পৃথিবীতে কোটি কোটি ব্যক্তির জন্ম ১৫ আগস্টে , কিন্তু আমার ধারণা মতে তারা কেউই ১৫ আগস্ট বাদ দিয়ে ‘৩০ মে’ তাদের ‘ভুয়া’ জন্মদিন পালন করে না |
আমরা আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করি না .. আমরা সভ্য জাতি এবং আমাদের অবশ্যই নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত চরিত্র যাচাই করতে হবে .. যেটা বিশ্বের সব সভ্য দেশেই করা হয় | কারণ , মানুষের ওই একটি জিনিস ঠিক থাকলেই জাতি হিসেবে আমরা তার কাছ থেকে ভালো , সঠিক নেতৃত্ব আশা করতে পারি .. তিনি যেই হোন না কেনো |
সর্বশেষ – ‘মীরজাফর’ , ‘মোশতাক’-রা ইতিহাসে চিরদিন ‘বেইমান’ হিসেবেই অভিহিত হবে ( তাদের বংশধর ছাড়া ) .. এবং আমার ধারণা , কোনো চতুস্পদ প্রানীও তাদের কবরে পর্যন্ত ‘প্রকৃতির ডাকে সাড়া’ দিতে যেতে ঘৃনাবোধ করে | — ‘মইন সিদ্দিকী’
মইন সিদ্দিকী বলেছেনঃ
কারও জন্মদিন যদি ‘১৫ আগস্ট’ হয় তবে তিনি তা অবশ্যই ঐদিন পালন করবেন – এটা তার জন্মগত অধিকার .. কিন্তু উনি যদি ঐদিন না করে অন্য উদ্দেশ্যে আবদার করেন যে , এখন থেকে তার জন্মদিন ‘৩০ মে’ – তাহলে সেখানেই আমার তীব্র আপত্তি থাকবে … মইন সিদ্দিকী
বাংগাল বলেছেনঃ
মাশা’আল্লাহ ,জাতি হিসেবে আমরা ধন্য । আমাদের সাবেক এবং হোনেওয়ালা প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ পাঁচটি জন্মদিন , মাশা’আল্লাহ ।
আল্লাহ আপনি আমাদের লজ্জা শরম বাড়িয়ে দিন ,আমিন ।
বাংগাল বলেছেনঃ
@নীলকন্ঠ ভাই ,সবই জানেন দেখছি । ওই কাজটাকে আপনি যেহেতু নোংরা মনে করেছেন তাইতো বললেন “নোংরা ইঙ্গিত” তাইনা?
জাতির দুর্ভাগ্য । আল্লাহ মাফ করুন ।
Himu বলেছেনঃ
ফারূক সাহেবকে বলছি,
মীরজাফর কিন্তু নবাব সিরাজুদ্দৌলার আস্থাভাজন আর তার রাজসভার বড় কর্তা ব্যাক্তি ছিলো।
আপনি কি মীরজাফর এর মন্তব্য দিয়া নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে বিচার করবেন?
মীরজাফররা তখনও ছিল, এখনও আছে, সাথে আছে তাদের অনুসারীরা…..
জনতার মতামত বলেছেনঃ
নীলকন্ঠদের মহারানীর বিয়ের ব্যাপারে কি প্রশ্ন আসলো আবার।
যার জন্মদিন, শিক্ষা, ধর্ম, স্বভাব সম্বন্ধে জাতি কিছু জানতো কিন্তু বিয়ে নিয়েও………………..
জনতার মতামত বলেছেনঃ
৩০শে মে ১৯৮১ সালে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুস্কৃতিদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়ে শাহাদাত বরণ করেন। বিএনপি দীর্ঘদিন মতায় থাকা অবস্থায় কোন দিনও ঘোষনা দিতে দেখিনি এই দিন অর্থাৎ ৩০শে মে কারও জন্মদিন পালন করা যাবে না।
আপনাকে কেউ বলছে ১৫ই আগষ্ট কারো জন্মদিন পালন করা যাবে না?
শুধু অনুরোধ স্বাধীনতার তোষককে শহীদ বলে প্রকৃত শহীদদের আত্মাকে কষ্ট দিবেন না।
হিমালয় হিমু বলেছেনঃ
আপনি কোন দলের লোক বোঝা যাচ্ছে খুব ভালোভাবে। কিন্তু ওনার জন্মদিন নিয়ে যে কত কথা আছে তা আপনি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। 😎
ধন্যবাদ আপনাকে
আর জয়ীতা আপুকে বলি আপু মনে হয় ম্যাডামের জন্মদিনের সময় উপস্থিত ছিলেন। 😡
সুমিত তরফদার বলেছেনঃ
আমার কাছে একটা বিষয় ঠিক পরিষ্কার না সেটা হল দেশে এত কিছু সমস্যা থাকতে খোদ “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”পর্যন্ত এই তুচ্ছ বিষয়ে মাথা ঘামান, আমি বুঝিনা একটা ছোট দেশে এত সমস্যা কিন্তু “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” আছেন তিনি একজনের জন্মদিন নিয়ে। আচ্ছা যদি এইদিন খালেদা জিয়া’র জন্মদিন হয় তাহলে বাংলাদেশের কী কী ক্ষতি হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী দয়া করে একটু বলবেন কী ?
আপনার বাবার সোনার বাংলা করার স্বপ্ন কী এমন ছিল? যে কাজ বাদ দিয়ে আর একজনের জন্মদিন নিয়ে বড় বড় ভাষণ দেয়া। খুব লজ্জা লাগে যখন প্রধান মন্ত্রী এই সব বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করে। তার যদি সব কাজ শেষ হয়ে যাই তাহলে একদিন বোরকা পড়ে একটু পাবলিক বাস এ করে ঘুরে বেড়ান বুঝতে পারবেন আপনার বাবার সোনার বাংলা এখনো কত দূরে…………..।
আমাকে কেও (যারা এইদিনে জন্মদিন নিয়ে অখুশি ) একটু বলবেন বাংলাদেশের উন্নয়ুন কী কী সমস্যা হচ্ছে বা হতে পারে এই দিনে খালেদা জিয়া’র জন্মদিন হলে ।
ফারূক উসমান বলেছেনঃ
হিমু সাহেব,
কথা ঠিকই বলেছেন,মীরজাফর এর মন্তব্য দিয়ে সিরাজুদ্দৌলার বিচার করা ঠিক
না।মীর জাফর ছিলো সিরাজুদ্দৌলার কর্মচারি,অবশ্য আত্নীয়ও ছিলো।কিন্তু মালেক উকিল,খন্দকার মোস্তাক বা আরো অনেকে ছিলো শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের সাথী।অবশ্য এদের প্রতিক্রিয়াশীল ও বলতে পারেন।আপনাকে কয়েকটা প্রশ্নকরি,এর উত্তর গুলো সত্য জানার উদ্দেশে খুজবেন-(১) আগরতলা মামলাকে কেন তখন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা বলে আওয়ামীলিগ প্রচার করেছিল ? (২) গ্রাম গন্জের সাধারন গরীব অশিক্ষিত
বয়ষ্ক লোক দের জিঙ্গেস করুন ৭১ সালের কথা-তারা বলবে গন্ডগোলের
বছর।আমার প্রশ্ন এত দিনের সংগ্রামের ফসল এই মুক্তিযুদ্ধ, এত মাহান চেতনার বিজয় এই স্বাধীনাতা,কেন এই মুক্তিযুদ্ধের সময় কে আপামর সাধারন
মানুষ গন্ডগোলের বছর বলে ? (৩) স্বাধীনাতার মাত্র তিন বছরের মাথায় কেন
আওয়ামীলিগের জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায় নেমে এলো ?
প্রশ্ন আরো আছে।আজ এপর্যন্তই থাক।এ প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর আমারো জানা প্রয়োজন।কারো জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
কাজি বলেছেনঃ
আপনার লেখাটার বিষয় বসত্তুটি সঠিক, তবে আপনি বিষয় বসত্তুর বাইরে গিয়ে যেভাবে লিখেছেন তাতে আপনার আপনার লেখাটা যে শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, তা প্রতীয়মান হয়।
এবং সব যায়গায় লেখাটা ছিলো অতিমাত্রায় আক্রমণত্তক , এবং কিছু ছিলো অতন্ত্ত কুরুচি পূর্ণ্য
যার ফলে আপনার লেখার সঠিক আবেদনটা হারিয়ে গেছে।
কাজি বলেছেনঃ
তবে ভাই আপনার নিচের কথাটার সাতে 100% একমত
“কারও জন্মদিন যদি ‘১৫ আগস্ট’ হয় তবে তিনি তা অবশ্যই ঐদিন পালন করবেন – এটা তার জন্মগত অধিকার .. কিন্তু উনি যদি ঐদিন না করে অন্য উদ্দেশ্যে আবদার করেন যে , এখন থেকে তার জন্মদিন ‘৩০ মে’ – তাহলে সেখানেই আমার তীব্র আপত্তি থাকবে … মইন সিদ্দিকী”