আগামী ১২ মার্চের 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচীকে অস্তিত্বের লড়াই মনে করছেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্ত— ২৮ মার্চ তাদের সমাবেশে কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম করা হবে। ১২ মার্চ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য- ওই দিন কেউ তাদের রুখতে পারবেনা। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের মাহাবুব-উল-আলম হানিফের হুংকার- নেতাকর্মীরা রুখে দাঁড়ালে পালানোর পথ পাবেন না।
এমন বক্তব্য যখন প্রচার মাধ্যমের বদৌলতে সাধারণ জনগণ জানতে পারে তখন তারা ধিক দেন এসব রাজনীতিকদের। জনগণ তখন বলতে শুরু করেন- কি লাভ হবে ১২ মার্চ ঢাকা আর ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম সমাবেশ করে। এতে কি দুর্নীতি বন্ধ হবে? উন্নয়ন হবে দেশের? যদি না হয় তাহলে ফালতু মার্কা ওইসব কর্মসূচীতে জনগণের কি আসে যায়। এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতিবিদরা যেভাবে কোমর বেঁধে মনোযোগী হয়ে মাঠে নেমে পড়ে, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে তো তারা এর সিকি ভাগ মনযোগও দেননা। রাজনীতিবিদরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে তাদের কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করছেন। তারা আবার ভোট ও ভাতের অধিকারের কথাও বলেন- তবে তারা একটি বারও চিন্তা করেন না দেশের অনেক পরিবারে এখনও দু'বেলা দু'মুঠো ভাত জুটে না। তবু এসব রাজনীতিবিদদের গলাবাজি থেমে নেই। তারাই জনগণের সেবক। গরীবের বন্ধু। তারাই আবার দেশের নেতা। ধিক এসব রাজনীতিবিদদের!