বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং মস্তিস্কমুক্ত একটি দেহ

আহসান হাবীব কাজল
Published : 3 Sept 2012, 09:25 AM
Updated : 3 Sept 2012, 09:25 AM

আমি খুবই স্বল্প জ্ঞান সম্পন্ন একজন মানুষ, তাতে এই মনের কথা গুলো বলার দু:সাহস করতেছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার যোগ্য।

আমি কোনক্রমেই বুঝতে পারছিনা আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র আসলে যাচ্ছে কোনদিকে? যদি আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে আলোচনা করি, তবে শুরুতেই বুয়েট েএর কথা বলতে হয়, একটা সময় ছিলো যখন বুয়েট মানে আমাদের কাছে ছিলো, এমন এক বিদ্যাপীঠ যেকানে পড়তে হলে, ওখানকার লাল দালানটা ছুঁয়ে দিতে হলেও দিবারাত্রি পড়তে হতো। সম্মানজনক এই প্রতিষ্ঠানে কি নি:লজ্জ দলীয়করণ চলছে, ২জন মাত্র মানুষের কাছে এতগুলো মেধাবী মুখ আজ জিম্মী, ক্লাশ নাই, পরীক্ষা নাই, নিশ্চিত কোন ভবিষৎ নাই। দুজন লোকের স্বার্থের কাছে পরাজিত আমাদের সরকার, আমাদের বিবেক। আমি ভিসি সাহেবের কাছে একটি প্রম্ন করতে চাই, আপনি ডক্টরেট পেলেন কি করে? শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য যদি মানুষ বানানো হয় তবে আপনি তাতে পাস করেছেন কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারন এতগুলো মানুষের বিরোধিতার সামনে কিভাবে টিকে থাকেন? আত্মসম্মান বোধ বলেও তো কথা আছে। সকলে জানে আপনাকে আগে হোক পরে হোক যেতে হবে, টিকতে পারবেন না, কিন্তু যাবেন প্রধানমন্ত্রীর কথায় নিজের সম্মান হানি করে নিয়ে নয়। সরকার ও তাই করবে, শেষমেষ সরাবে কিন্তু জল ঘোলা করে। মাঝে শিক্ষার্থীদের যে সময়টা ফুরিয়ে গেলো তা সরকার কি দিয়ে পুষোবে? এভাবে বুয়েট ধ্বংস করে দিলে একদিন দেশের জনগণের হাড়ি নিয়ে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।

আসা যাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কথায়, এখানে যদিও পড়াশোনার পরিবেশ এখন আগের থেকে অনেকগুণে ভালো, কিন্তু ঢাবির একটি প্রধান সমস্যা নিয়ে কথা না্ বললে নয়, তা হলো শাহবাগ মোড়ে কিছুদিন পরপর সড়ক দূর্ঘটনা এবং প্রতিবারে ১/২ জন করে মেধাবীমুখের হারিয়ে যাওয়া। কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। কার কি যে মরে মরুক। এটা কোন ধরনের নীতি? মাঝে মাঝে একটা কথা শোনা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা নাকি মারামরি ছাড়া আরকিছু বোঝে না। আমি বলি বুঝবে কি করে? একটা ওভারব্রীজ এর দাবিতে গত ১০ টা বছর ধরে এরা আন্দোলন করে যাচ্ছে, প্রতিবারে আশ্বাস, মিথ্যা কথার ফুরঝুরি। সব সরকার এর মাঝে এসেছে গেছে কোন সরকারের টনক নড়ে নাই কারন তাদের কেউ মরে নাই। বার বার আশাহত হওয়ার পর আমরা ছেলেদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারি? সরকারগুলো কি তাদের খামখেয়ালী আচরণ করে ছাত্রদের ধ্বংসাত্মক আছরণের দিকে ঠেলে দিতেছে না? তার উপরে প্রাচ্যেরে এই অক্সফোর্ড এ নির্বাচিত ভিসি নাই আছেন যিনি তিনি রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত। আর ওনার প্রকাশ্যে করা রাজনৈতিক আচরণ ওনার পিতৃতুল্য শিক্ষক ইমেজ কতখানি উজ্ঝ্বল করেছে তা কেবল উপর ওয়ালা জানন?

এবার মেডিকেল ভর্তি প্রসঙ্গ, এটা নিয়ে যা হলো তা সিম্পলি বাংলা সিনেমা ছাড়া আর কিছু না, নিয়ম হল, জানা কথা এই নিয়ম সরকার টেকাতে পারবেনা, কারন বোধবুদ্ধিহীণ নীতিনির্ধারকেরা বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত নিলে তো তা বাস্তবায়ন করা যাবে না এটা স্বাভাবিক। হলোও তাই, শেষমেষ ছাত্রদের রাজনৈতিক ব্যানারের বাইরে আন্দোলনে নামতে হল। যে স্বাস্থ্য্যমন্তী বিভিন্ন শো তে নতুন সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তিন এখন বলেন ওইটা ছিলো প্রস্তাবনা সিদ্ধান্ত নয়, কি শিখবো আমরা এদের কাছ থেকে? ওনার কথা শুনে হাসি না কান্না কোনটা করা উচিত তা বুঝিনা। কথার ধরণ কি? মামলা তুলে নিলে পুরানো নিয়ম হবে? সেই নিয়মে যদি আসবেন, যদি জল ঘোলা করেই খাবেন , তবে নিয়মটা ডিক্লেয়ার করার সময় বললেই হতেএটা আগামী বছর থেকে চালু হবে, তবে আর এ আন্দোলন হয় না। মাঝে কি হয়ে গেলো প্রিপারেশন নেয়ার অমুল্য কতগুলো দিন নষ্ট হয়ে গেলো। পারবেন মন্তী সাহেব এই সময় টা তুলে দিতে নাকি উনি সময়টাও সিজিপি এর ভিত্তিতে মাপতে চান? হয়তো নীতিমালা দিবেন? আমার কেন যেনো মনে হয় মেডিকেলের এই হটাৎ সিদ্ধান্ত টা বুয়েটের থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য নেয়া হয়েছিলো, কিন্তু হীতে বিপরীত হয়েছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে বুমেরাং, েএটা হয়ে গেছে আরেকটা বগ ইস্যু।

সবকিছুর পর একটা ভুত যা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিজোনাল ঝামেলা করে তার কথা বলতে চাই, তা হল সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন, যখন যে সরকার থাকে তার সংগঠন, এনারা শিক্ষার মান এগিয়ে নেয়ার বদলে পিছিয়ে দিতে ব্যপক পারদর্শী।

তবৃ্ও অভাগা দেশ তোমারে বলতে চাই, ভেবোনা, একদিন দেশ এবং বস্তাপচা নিয়ম বদলাবেই, হে দেশ তোমায় নিয়ে আমি েএকদিন পৃথিবীর অবারিত প্রান্তরে যাবোই। আমি বদলেছি, সবাই বদলে যাবে একদিন, বদলে যাবেই। মস্তিস্ক নিয়ে একদিন মাথা তুলে দাড়াবোই।

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভলোবাসি।