আফগানিস্তানে সম্মুখ সমরে আবার প্রিন্স হ্যারি

ঢালঢিল
Published : 8 Sept 2012, 04:02 PM
Updated : 8 Sept 2012, 04:02 PM

কি বিচিত্র এই পৃথিবী!!! যৌন কেলেঙ্কারি ঢাকিতে ঘোড়ায় চড়িয়া রাজপুত্র নেড়ে যবন নিধনে ব্যাপৃত যাহা তাহার দশজন গন্ধরবী রমণী রমণ কে মহিমান্বিত করিবে, রমণী মোহন বীর, মুসলিম ঘাতক বলিয়া ইতিহাসে চির ভাস্বর করিয়া দিবে। তথাস্তু। হা হা হা । ব্যাপারটা এখন দিনের আলোর মতই পরিষ্কার। তথাকথিত মুক্ত চিন্তার ধারক ও বাহক, উদারমনাদের এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য পাওয়া যাবে না। এতে যে ওদের বিভিন্ন দূতাবাসের মদ ও মদির দাওয়াত মিস হোয়ে যাবে। আর মুসলিম নিধন যজ্ঞে যদি নীরব থাকা যায়, তাতে বরঞ্চ প্রগতিবাদী বলে বাহবা মিলবে। ভারতের আসাম গণহত্যা, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা গণহত্যা, লগি বৈঠা হত্যা নিধন যজ্ঞ যা কিনা বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, ইংরেজদের দুইশত বছরের কুত্তা বেড়াল ( বাঙ্গালি)নিধন যজ্ঞ ইত্যাদি কোন ব্যাপারে আমাদের স্যাররা রহস্যজনক ভাবে নীরব।আজ পর্যন্ত আমি দেখিনি কোনও প্রগতিবাদী, বুদ্ধিজীবীকে ২০০ বছরের অত্যাচারের কথা বলতে, যা কিনা আমাদেরকে সবচেয়ে ধনী দেশ থেকে কাঙ্গালে পরিণত করেছে। কেউ কি কখনো ইংরেজদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ বা মানবতার অপরাধের অভিযোগ তুলেছে, কিংবা চার্চিল এর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে ৪৪ এর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি র জন্য একটি আঙ্গুল তুলেছে? কি আশ্চর্য, এ কথা ত কোথাও লেখা নেই। লেখা আছে তব হিন্দু মুসলিম, মুসলিম হিন্দু, পাকিস্তানি বাংলাদেশি , হরিজন – উচ্চ বর্ণের সংঘাতের কথা। আর আমরা ঘটা করে ওইসব উপলক্ষ পালন করি। সকল উপলক্ষের আড়ালে হারিয়ে গেছে ওদের অপকর্মের কথা। ওদের লুণ্ঠন, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ আজ হয়ে গেছে আশীর্বাদ, সাদা বাবাদের আশীর্বাদ। নে কম জাতের দল, শুষ্ক শকুনের বিষ্ঠা, কাকের অরূচি – দূতাবাস গুলার বিষ্ঠা ই তোদের চরম নিষ্ঠা হোক , সুখে থাক বিষ্ঠা জন্মারা।