আর মাস দেড়েকের পরেই পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি চলে আসবে।এই বৈসাবি উৎসব ঘনিয়ে এলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসতরত পাহাড়িদের মনে একটা অজানা আশঙ্কা দেখা দেয়। কারণ এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে এই বৈসাবিকে সামনে রেখেই। তার মধ্যে বিগত ২০১০ সালের ১৯-২০ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সাজেক ও খাগড়াছড়ির ঘটনা অন্যতম।
পার্বত্য চট্টগ্রামের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ভন্ডুল করে দেয়ার লক্ষ্যে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি সক্রিয় রয়েছে। আর এই গ্রুপকে বিভিন্নভাবে ইন্ধন যুগিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায় একটি শক্তিশালী মহল। ফলে বৈসাবি উৎসব শুরু হবার আগেই পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির চেহারা বদলে যায়। পন্ড হয়ে যায় উৎসবের আমেজ। এ বছরও বৈসাবি উৎসব পন্ড হবার সম্ভাবনাকে কিছুতেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ বাঘাইছড়ি ও দিঘীনালায় পাহাড়িদের উপর হামলা, এতে এক পাহাড়ি নারীকে হত্যা ও বেশ কয়েকজনকে মারধর এবং গত ১৩ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির পানছড়িতে এক বাঙালি নারীর লাশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা তারই ইঙ্গিত বহন করছে। তাই আগামী বৈসাবি উৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে পালিত হয় তার জন্য প্রশাসন তথা সরকারকে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।