তমাল নাগ
Published : 12 June 2012, 05:59 PM
Updated : 12 June 2012, 05:59 PM

আসলে ছোটবেলা বেলা থেকে পড়াশুনার অভ্যাস । পারিবারিক আবহাওয়াই এর জন্য দায়ী । ছোটদের নিয়ে যত লেখালেখি আছে তার প্রায় সব এ আমার পড়া হয়ে গিয়েছে। এর ভিতর গোয়েন্দা গল্প গুলোই আমার বেশি প্রিয়। এর সিরিজ উপন্যাস জগতে দাদাদের প্রাধান্যই বেশি। ফেলুদা, আকিদা,ঘনাদা,টেনিদা ইত্যাদি।

এমনই একজন দাদা হল ঋজুদা। বুদ্ধদেব গুহর লেখা অসাধারন কিছু উপন্যাস। তিনি নিজেও ছিলেন শিকারি আর শিকার কাহিনি লেখাতেও তার জুরি মেলা ভার। জঙ্গল আকেবারে জেন্ত চেহারায় হাজির হয় তার লেখায়। এটা হওয়াই স্বাভাবিক । তিনি যে আবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্নে।

ছোটদের জন্য তিনি লিখেছেন ঋজুদা। নানা দেশের পতভুমিতে লেখা অসাধারন কিছু লেখা।

এইসব কাহিনির নায়ক ঋজুদা , আছে তার সাগরেদ রুদ্র যার জবানিতে লেখা হয়েছে গল্প গুলো।

ঋজুদার প্রথম বই "ঋজুদার সাথে জঙ্গলে "আনন্দ পাবলিশার থেকে ১৯৭৩ এর বৈশাখ এ। ঋজুদা চরিত্রটি প্রথম উদ্ভাভিত হয় বাংলা ভাষাভাষী কিশোর কিসরিদের মনে প্রকৃতি প্রেম, পাখ পাখালি, গাছ গাছালির এবং আমদের বিরাট ,বৈচিত্র্যময় এবং সুন্দর এই দেশের সাধারন গ্রামীণ এবং পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষের সম্বন্ধে উৎসাহ ও ভালবাসা জাগাবার জন্যই। এইসব মানুষেরাই আসল মানুষ। শহর বাসি এংরেজি শিক্ষিত, উচ্চমন্ন, লোভী, ইতর আমরা আসলে আসল মানুষ নই। নিজের দেশকে না জেনে তাড়া বিদেশ কেই মনে করে গন্তব্য। এরকম একজন দেশপ্রেমিক মানুষই হল ঋজুদা ।

"রু আহা "এর আগ পর্যন্ত ঋজুদার সঙ্গি ছিল রুদ্র একা । এবার সঙ্গী হয় একজন মেয়ে। নাম তিতির।তুখর মেয়ে। পড়াশুনা বিতরকে উজ্জল ।অনেক ভাষাভাষী তিতিরক বাংলা ভাষার এক উজ্জ্বল চরিত্র।

এরপর "সাম্বাপানি" গল্পে ঋজুদার সঙ্গী হয় ভটকাই । যাকে নেওয়ার জন্য রুদ্র বহুদিন ধরে উমেদারি করে যাচ্ছিল ঋজুদার কাছে। এরকম ই নানা চরিত্র এবং অসাধরন কাহিনি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ঋজুদার গল্পগুল।