‘অঁপনা মাংসে হরিণা বৈরী/খনহ ন ছাড়ই ভুঁসুকু অহেরি’!

তাপস রায়হান
Published : 25 June 2012, 11:24 AM
Updated : 25 June 2012, 11:24 AM

এই লেখার শিরোনাম হয়েছে একটা চর্যাপদ থেকে। অর্থটা পরে বলি। আগে আসল কথায় আসি। চাপা পড়ে গেছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি। এখন টক অব দ্য ঢাকা- … মানববন্ধনে এটিএন বাংলা সাংবাদিকদের হামলা। অভিযোগ, একজন সাংবাদিক নেতাকে দলবদ্ধভাবে তারা হামলা করেছেন। তাকে লাঞ্ছিত করেছেন। পরবর্তীকালে দ্রুততম সময়ে আবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে এটিএনের বার্তা প্রধান জ.ই.মামুন বলেছেন- ঘটনা যা ঘটেছে এবং যা প্রচারিত-প্রকাশিত হয়েছে আসলে মানুষ জেনেছে তার উল্টো। ভাল কথা। আমরা আমজনতা তার কথাই বিশ্বাস করলাম। কিন্তু আজ ফেসবুক কী বলছে????

এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান এবং জ.ই. মামুনকে নিয়ে মানহানিকর, ব্যঙ্গাত্মক এবং রসালো স্ট্যাটাসে ভরে গেছে ফেসবুক। এমনকি জ.ই.মামুনের স্ত্রীকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করা হচ্ছে। হনুমানের মুখে বসিয়ে দেয়া হয়েছে মাহফুজুর রহমানের মুখে! তার মুখমণ্ডল বানরের মত! আরও আজেবাজে অনেক কথা।

একবার চিন্তাশীল মানুষদের একটা কথা ভেবে দেখতে বলি? আমরা আসলে কী চাচ্ছি এই মুহূর্তে? এটিএন কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা নাকি সাগর-রুনির বিচার? নাকি দুই-ই? যদি দুই-ই হয় তাহলে অবিলম্বে সরকারকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে। সময় হাতে খুবই কম। বেশী সময় নিলে ঘটনার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকবে না । কারণ, এতে বেড়ে যেতে পারে সুযোগ সন্ধানীদের দৌড়ঝাঁপ। অবিলম্বে এর সমাধান প্রয়োজন।

এটিএন বাংলা যেহেতু বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল সেহেতু, তার একটা অহঙ্কার আছে। থাকতেই পারে। তাই বলে কি এই মিডিয়ার সাংবাদিকরা চোখ উল্টে হাঁটবেন!! এদের একটা শিক্ষার দরকার আছে। বেশী বাড়াবাড়ি ভাল না। এখন হইছে না…… বলছিলেন একজন আম পাবলিক।

চর্য়াপদ বলছে-হরিণ তার নিজের মাংসের জন্যই নিজের শত্রু। যে কারণে শিকারী তার পিছু ছাড়ে না। এটিএনের একজন সাংবাদিক এমন কথাই বললেন। প্রিয় পাঠক, আপনিও এমনটিই-ই বলবেন ? না কি অন্যকথা……………………………………..?