অন্য শহরের কথা বাদ। ঢাকা শহরের কথা বলি। যে হারে বাড়ি ভাড়া বাড়ছে তাতে মানুষ ( অবশ্যই ভাড়াটিয়া) অতি অল্প সময়ে বিক্ষুদ্ধ হতে বাধ্য। কারণ, এখানে আইনের কোন বালাই-ই নেই। যখন যেমন ইচ্ছা- বাড়ছে বাড়িভাড়া। দেখার কেউ নেই। ভয়ংকর নিরাপত্তাহীন জনগণ!
দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। বাড়াও বাড়িভাড়া। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে- বাড়াও বাড়িভাড়া। বিদ্যুতের দাম বাড়ছে- বাড়াও বাড়িভাড়া। তারপর কী বাড়লে বাড়িভাড়া বাড়বে? একজন বাড়িঅলা বললেন- আমাদের সমস্যা নাই। সব কিছু বাড়ুক। আমাগো বাড়ির ভাড়াও বাড়বো। পাবলিক বুঝবো?
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার। বাড়িওয়ালারা কিন্তু পাবলিক নন। আমরাই পাবলিক। সুতরাং, মহাযন্ত্রণাটা আমাদেরই?
প্রশ্ন হচ্ছে, এখান থেকে নিস্কৃতির পথ কী?
আমরা ভাড়াটিয়ারা কী করতে পারি, নীলকরদের এই অত্যাচার থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্যে? সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেবেন? নাকি বাড়িওয়ালারা প্রচন্ড শক্তিশালী? ভাড়াটিয়া সমাজ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করলে বিষয়টা কেমন হয়? অধিকাংশ ভাড়াটিয়া ভদ্রলোক। তারা অশান্তি চান না। কিন্তু সবকিছুর তো সীমা থাকা উচিৎ। এভাবে চলতে থাকলে ভয়ংকর পরিণতি পোহাতে কিন্তু সরকারকেই। নাকি সরকারও অসহায় তাদের কাছে!
অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সমাধান প্রয়োজন। আশা করি, অচিরেই এই যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্তি পাব। কঠোর আইনের মধ্যে আনা হবে বাড়িওয়ালাদের। বন্ধ হবে তাদের ইচ্ছাখুন!