১৯৯৩ সাল। শখের বশে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম ভোরের কাগজে। তারপর ১৯৯৭। চলে গেলাম জনকণ্ঠে। সেখানে প্রায় ১২ বছর। এরপর সড়ক দুর্ঘটনা। ১ বছর বিশ্রাম। চলে গেলাম অধিনায়ক-এ। পত্রিকাটা বের হলো না। প্রকাশক কিনে নিলেন আমাদের সময়। আমরাও আমাদের সময়ে। এরপর চাকরিচ্যুত। তারপর অনলাইনে। প্রস্তুতি চলছে নতুন একটি দৈনিকের।
২০ বছর পর মাঝে মাঝে চমকে ওঠি। কখনো নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, আমি কি সঠিক পথেই হাঁটছি? উত্তর পাই না। কখনো সাংবাদিকদের এমন দুর্দিন দেখিনি। আগে মাঝে মাঝে সাংবাদিক পরিচয় দিতে বিব্রত বোধ করতাম। এখন ভয় পাই। সত্যিই, অসম্ভব ভয় পাই। কখন, কী জানি হয়? কার মনে কী আছে, কে জানে? অনেকে বলেন, আমার ষষ্ঠন্দ্রিয় অসম্ভব প্রবল। যে কারণে মা-বোন-স্ত্রী কখনো আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন না। ইদানিং সহকর্মীরা প্রায় প্রতিদিনই পরিস্থিতির আগাম সংবাদ জানতে চান। মজার বিষয় হচ্ছে, আসলে আমিই জানি না, আগামীকাল কী হবে আমার জীবনে! তবে এটা সত্য, সাংবাদিক সমাজে খুব দ্রুত দুঃখজনক একটা ঘটনা ঘটবে? প্রার্থনা করি, ঘটনাটা যেন না ঘটে।