জনাব তরিকুল ইসলাম, ‘শেখ মুজিব অনুপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা নন’ মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক

তারিক
Published : 4 June 2012, 07:17 PM
Updated : 4 June 2012, 07:17 PM

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজ অনেক মনগড়া গল্প শোনা যায়। কে যুদ্ধ করেছে, কে করে নাই। কে মাঠে ছিল, কে পালায়ে ছিল। কে সাক্ষাৎ মুক্তিযোদ্ধা, কে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আর কে অরিজিন্যাল (মানে আসল) মুক্তিযোদ্ধা । এমনই এক আসল মুক্তিযোদ্ধার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল আসল কথা। জনাব তরিকুল ইসলাম আপনাকে অনেক সম্মান রেখেই আমার এ খুদ্র লেখা শুধু আপনার জন্য। আজ ৪ঠা জুন ২০১২ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে অনুপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন। আপনার কাছে আমার খুব ছোট একটি প্রশ্ন। আপনি নিশ্চয় ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬৬'র ৬ দফা, ৬৯'এর গণভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন দেখেছেন। আর ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ তো দেখেছেন। হয়ত অংশ গ্রহণও করেছেন। আপনি নিশ্চয় অনুপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা নন। আচ্ছা জনাব তরিকুল ইসলাম যদি আপনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তবে বলুন তো স্বাধীনতার আগে জয় বাংলা শ্লোগান কত হাজারবার দিয়েছেন। আপনি নিশ্চয় ১৯৭০ এর নি্র্বাচন দেখেছেন। কতবার বিজয় উল্লাস করেছেন সেদিন? বয়স হয়েছে তো হয়ত মনে নাও থাকতে পারে। আপনার নেতা মেজর জিয়া সেদিন কোথায় ছিল? আপনি ১৯৭১ সালের ২৬শে মা্র্চের আগে মেজর জিয়া নামে কাউকে চিনতেন কিনা। সত্য কথা বলুন, ১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক। বাঙালি জাতির প্রাণের নেতা। যে নেতার অনুপস্থিতিতে এ দেশের হাজার হাজার দামাল ছেলে বুকের তাজা রক্ত উজাড় করে দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধু সেই নেতা। এদেশ স্বাধীন না হলে আপনারা কি হতেন মনে পড়ে? হয়ত কেরানী নয়তো বড় জোর আমলা। কিন্তু আজ আপনার রাজনীতিবিদ হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। এটা কার জন্য মনে পড়ে আপনাদের? বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে লাভ নাই। বঙ্গবন্ধু আছে এদেশের কোটি হৃদয়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক বড় ফ্যাক্টর। সত্য কথা বলুন, জাতি আপনাদের মনে রাখবে নচেৎ ইতিহাসের আস্থাকুঁড়ে নিপতিত হবেন। সে দিন আর বেশী দুরে নয়।