বিপিএল ক্রিকেট ও গরীব মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন

উজ্জ্বল ধর
Published : 28 Jan 2012, 12:27 PM
Updated : 28 Jan 2012, 12:27 PM

পvvvরনে একটুকু ভালো কাপড় নেই। ঘরে দু'বেলা অন্নের যোগান নেই। নুন আনতে পানতা ফুরোয়। তাই বলে কি আর বিপুল অর্থ ব্যয়ে জম কালো আয়োজনে ছেলেমেয়ের বিয়েতে অতিথি আপ্যায়ন করবে না এমন বাঙালী খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

যে দেশের ক্ষুধা আর অভাবের তাড়নায় মাত্র পাঁচশত টাকায় নিজের ঔরশজাত সন্তানকে বিক্রয় করতে বাধ্য হয় সেই দেশে আজ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে বিদেশী খেলোয়াড় এনে ক্ষনিকের আনন্দ আর বিনোদন দিতে অল্প কিছু মানুষকে।

আজ দেশে কোটি কোটি টাকার মহাযজ্ঞের আয়োজন চলছে বিপিএল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের। এই খেলা থেকে এদেশে আপামর জনসাধারনের কি লাভ হবে জানিনা। তবে যে ক্রিকেট খেলা প্রসারের নামে গুটিকয়েক কর্মকর্তার পকেট ভারী করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

যে দেশে টাকার অভাবে মহাসড়কগুলোর মেরামত হয়না। মেরামত বা তৈরী হয়না নতুন কোন সেতু। রাস্তায় প্রাণ দিতে হয় অতি সাধারণ নাগরিকগুলোর। টাকার অভাবে সরকারকে ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে খরচ চালাতে হচ্ছে । প্রাথমিক স্কুল শিক, নার্স, সরকারী, আধাসরকারী, শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দু'বেলা অন্নের নিশ্চয়তার জন্য আমরণ অনশন করতে হয়।

আমরা এমন এক জাতি যে নিজের কর্মকান্ডে কোন হিসেব বা কৈফিয়ত দিতে সম্পূর্ন অপারগ। বিশ্বকাপ ক্রিকেট হয়েছে আজ প্রায় এক বছর এখনো পর্যন্ত খরচের কোন হিসেব জানার অধিকার পাইনি দেশের কোন সাধারন নাগরিক। তবে এেেত্র শুধু সাধারণ নাগরিকের পাওয়ার অধিকারের কথা বললে ভুল হবে যেখানে খোদ সরকারই পাইনি।

খরচের হিসেব কেনো দিবে ? ক্রিকেট কর্তারা যে বোর্ডের পরিচালক বা কর্মকর্তা হতে পকেট থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। ক্রিকেট কর্তারা বলছেন এই টুর্ণামেন্ট থেকে নাকি চার বছরে ছয়শ কোটি টাকা আয় করবে। যা অনেকটা গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল দেয়ার মতোই। বিসিবি বাংলাদেশের খেলা প্রচারের জন্য টিভি প্রতিষ্ঠান নিম্বাস থেকেও চারশত কোটি টাকা পাবার স্বপ্ন দেখেছিল কিন্তু সে টাকার সিকিভাগও পাইনি।

আজ ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে বিপিএল ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের জন্য। দলগুলো কিনেও নিয়েছে বড় ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে নিজেদের করেছে প্রস্তুত।

দল কেনা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বড় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। হয়তো বড় করদাতা প্রতিষ্ঠান। জানিনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সঠিক আয়কর দেয় কিনা। তাহলে নিজেদের কালো টাকা সাদা করার এই একটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করবে কেনো।

দশেরে র্বতমান মন্দা র্অথনীততিে এমন র্অথরে ঝনঝনানরি বপিএিল আয়োজন করে চমকে দয়িছেে বিিসবি। এর থকেে ক্রকিটোররা লাভবান হবনে। কস্তিু কতটা লাভবান হবে সরকার।

ছয়টি দল ৫৬ জন বিদেশী খেলোয়াড় আর ৬ বিদেশী কোচ পিছনে ব্যয় করতে যাচ্ছে প্রায় অর্ধশত কোটি ডলার । যে টাকাটা ডলার হয়ে পুরোটায় চলে দেশের বাইরে। অথচ দেশের ৬০ খেলোয়াড় পাচ্ছে মাত্র ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার।

দল গঠনে বদিশেি ক্রকিটোর সংগ্রহে সবচয়েে বশেি র্অথ খরচ করছেে ঢাকা গ্ল্যাডয়ির্টেস। আট বদিশেি ক্রকিটোর সংগ্রহে ঢাকার খরচ ছয় ১৩.৯৫ মলিয়িন ডলার বা প্রায় ১২ কোটি টাকা। এরমধ্যে একা আফ্রদিকিে নতিইে খরচ করছেে ৬ কোটি টাকা।

সাকবি আল হাসানরে দল খুলনা রয়্যাল বঙ্গেল খরচ করছেে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ডলার। সনত জয়সুরয়িাকে কনিতে খরচ করছেে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার।

অলক কাপালরি সলিটে ওয়াল্টন রয়্যালস খরচ করছেে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। সবচয়েে বশেি পারশ্রিমকি দওেয়া হয়ছেে কামরান আকমল ও সোহলে তানভীরক।ে দলটি আট বদিশেকিে নতিে খরচ করছেে ৬.২৫ মলিয়িন ডলার।

বরশিাল র্বার্নাস চমক দখেয়িছেে ক্রসি গইেলকে ৫ লাখ ৫১ হাজার ডলার খরচ কর।ে ৬ বদিশেকিে দলে নতিে দল খরচ করছেে ৮.৮৬ মলিয়িন ডলার

দুরন্ত রাজশাহী ৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার খরচ করে কনিছেে মারলন স্যামুয়লেসক।ে ৮ বদিশেকিে নতিে খরচ করছেে ৭ মলিয়িন ডলার।

এই টুর্ণামেন্ট নাকি দেশ বিদেশের খেলোয়াড়দের সাথে ক্রীড়ামেদীদের সেতু বন্ধন রচনা করবে। সত্যি কি বিচিত্র এই দেশ।

সরকারেরই বা দোষ কি। কারন আজ যে প্রতিষ্ঠান গুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে ণিকের বিনোদনের জন্য। এই রকমের হাজারো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগুলো যদি সৎ হতো , যদি সঠিক ভাবে আয়কর বা কর দিতো তাহলো আজ দেশের অর্থনীতি এই মন্দাভাব হতো না। শেয়ার বাজারে ৩৩ ল বিনিয়োগকারীদের জীবনের কষ্ঠার্জিত অর্থ ধাপ্পাবাজি করে হস্তগত করা এই লোকগুলোর কাছ থেকে ফেরত আনতে আন্দোলনও করতে হতো না।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিদেশী খেলোয়াড়রা খেলে অর্জিত টাকার ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। সে হিসেবে সরকারের তহবিলে প্রায় বার কোটি টাকা জমা হয় কিন্তু আজ নিজের কাছ প্রশ্ন জাগে যে লোকগুলো দল কিনে দল গঠন করেছে তারাতো নিজেরাই সঠিক আয়কর দেয় না। এই লোকগুলো কি এই বিদেশী খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আয়কর আদায় করে দিবে সরকারকে।

কর পরিশোধ করুক বা না করুক মন্দা অর্থনীতিতে দেশ থেকে বের হয়ে যাবে প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টার্জিত পাঠানো অর্থের একটি অংশ।

আমার দেশের অর্থ আমার দেশে থাকুক। আমাদের অর্থ ব্যয় হোক গরীব মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে।