আমরা যারা প্রতিদিন ব্লগ পড়ি, লিখি, কিংবা লিখি না, আমরা সবাই আজ অন্ন রকম একটা দিন পার করলাম সত্যি ভীষণ ভাল লাগছে। “ লাইভ ব্লগিং, আজকের হরতাল যেই ভাবে দেখছি” নতুন একটা কনসেপ্ট, নুতন একটা ধারনা যা আমরা সারাদিন পড়লাম, শেয়ার করলাম, লাইভ মতামত দিলাম। অনেকে কনসেপ্টটা ঠিক মত বুঝতে না পেরে গতানুগতিক মতামত দিয়েছেন। যাই হোক শুরুটি বেশ ভালই হলো বলে আমার বিশ্বাস। আর সেই আপুমণি (বিডিনিউজ এর) যার সাথে কথা হয়েছিল আজ সকালে,কিন্তু ভুল করে নামটা জানা হইনি, এক মুঠো ভালবাসা ছড়িয়ে দিলাম সেই আপুমণির উদ্দেশে। লাইভ এ সারাদিন যারা লিখলাম, পড়লাম, বা এখন ও পড়বো বা লিখবো সবাইকে আমার শুভেচ্ছা। যারা শুধু পড়েছেন কিন্তু লিখেননি, তারা লিখুন। হোক সেটা হরতালের পক্ষে বা বিপক্ষে। সারাদিন যা প্রত্যক্ষ করেছেন, হরতাল এর মাঝে পড়ে একটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছেন লিখুন। এখন পর্যন্ত যতগুলো মতামত পেয়েছি, প্রায় সবাই আমার সাথে একমত হয়েছেন “হরতাল” আর আমরা কেউ চাইনা। যদি আপনি চান তবে মতামতে লিখে ফেলুন! বাকস্বাধীনতার অধিকার, লেখার অধিকারে বিডিনিউজ২৪ কারো সাথে মুখোমুখি অবস্থানে অবস্থান করবে না।
তাই লিখুন। এক্ষুণিই…!
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
“হরতাল” কী রাজনৈতিক হাতিয়ার না অধিকার 🙄
মোসাদিক উজজল বলেছেনঃ
দুটোই , যখন যেইটা প্রয়োজন !
হাসান বলেছেনঃ
আজকের হরতাল ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তথা দেশে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় জন্য। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তথা দেশে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করা না গেলে আবার বাকশাল কায়েম হবে। আর বাকশাল কায়েম হলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতার অধিকার, লেখার অধিকার এমনকি ব্লগিং করার সুযোগও থাকবে না।
কারণ
ক্ষমতাসীনদের অধীনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সবগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল প্রায় শতভাগ প্রশ্নবিদ্ধ তথা কারচুপির। পক্ষান্তরে ফখরুদ্দীন-মইন ইউ আহমেদদের বিশেষ সরকার ছাড়া সবগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তথা গ্রহণযোগ্য এবং দেশের জনগণের কাছে ও বিশ্ব দরবারে প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশের বিগত নির্বাচন সমূহ
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩ । যে নির্বাচনের ব্যাপারে ভোট কারচুপি, ব্যালটবক্স ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সাধারণত ধরে নেয়া হয় জেনারেল জিয়াউর রহমানের ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত রেফারেন্ডামের মধ্য দিয়ে ভোট জালিয়াতি সাধারণ রূপ লাভ করে। যে নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ৮৮.৫ শতাংশ ভোট পড়ে এবং প্রদত্ত ভোটের ৯৮.৮৮ শতাংশই ছিল জিয়াউর রহমানের পক্ষে হ্যাঁ ভোট। তার সময়ে আরো দুবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যে নির্বাচনসমূহ সিভিল, সামরিক গোয়েন্দা ও প্রশাসনের ছত্র-ছায়ায় কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।
জেনারেল জিয়াউর রহমানের পদাংক অনুসরন করে লে. জে. হু. মু. এরশাদ ২১ মার্চ ১৯৮৫ সালে জাল ভোটের আয়োজন করে। যে নির্বাচনের ৭২.২ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ দেকানো হয় এবং যাতে হ্যাঁ ভোট ছিল ৮৪.১ শতাংশ। পরবর্তীতে এরশাদ তিনটি সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে। প্রথমটি ১৯৮১ সালের ৭ মে, দ্বিতীয়টি ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। তাং তৃতীয়টি ১৯৮৮ সালে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যে নির্বাচনে দেশের জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশের উল্লেখযোগ্য কোন দল অংশ নেয়নি। সবগুলো নির্বাচনই ছিল কারচুপির নির্ভর।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদের পতন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়। ফলে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালে ২০ মার্চ। বিএনপি সরকার সম্মিলিত বিরোধী দলগুলোর বয়কটের মুখেও ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ একটি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচনে মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পরে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বনিম্ন উপস্থিতি।
পক্ষান্তরে ফখরুদ্দীন-মইন ইউ আহমেদদের বিশেষ সরকার ছাড়া সবগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল গ্রহণযোগ্য এবং দেশের জনগণের কাছে ও বিশ্ব দরবারে প্রশংসনীয়।
ধন্যবাদ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলী ও বিচারপতি লতিফুর রহমান কে।
বাংলাদেশে এখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তথা বিশ্ব দরবারে অহংকার করার মত ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ, বিচারপতি হাবিবুর রহমান শেলী ও বিচারপতি লতিফুর রহমানদের মত বিশিষ্টজন রয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস।
মোসাদিক উজজল বলেছেনঃ
সেইম লেখার জবাব একবার দিয়েসি ভাই।
আব্দুল মোনেম বলেছেনঃ
হাসানকে কি ভাইরাসে ধরল???
নাকি তার আইডি, পাসওয়ার্ড হ্যাকারে খাইল!!!!!
মোসাদিক উজজল বলেছেনঃ
না না উনি ভুল করে……………………………।?
হাসান বলেছেনঃ
আজকের হরতাল ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তথা দেশে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় জন্য। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তথা দেশে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করা না গেলে আবার বাকশাল কায়েম হবে। আর বাকশাল কায়েম হলে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, বাকস্বাধীনতার অধিকার, লেখার অধিকার এমনকি ব্লগিং করার সুযোগও থাকবে না।
কি জবাব দিলেন ভাই?
মোসাদিক উজজল বলেছেনঃ
ভাইজান আপনি শুধু প্রথম প্যারাটা যোগ করে বাকিগুলো কপি-পেস্ট মেরেছেন। যাই হোক বাকশাল এই দেশে আর আসবেনা। আপনি নির্ভয়ে ব্লগে লিখতে পারবেন। বাক স্বাধীনতা থাকবে। ভয় নাই। ভোটাধিকার থাকবে বলেই তো আজকের এই বার্থ হরতাল!
হাসান বলেছেনঃ
আজকের নজিরবিহীন স্বতস্ফুর্ত হরতাল ব্যর্থ হলে সফল কাকে বলে?
আর আপনি আমাকে বললেন কি বাংলাদেশের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনটিতে প্রায় শতভাগ কারচুপি হয়নি?
মোসাদিক উজজল বলেছেনঃ
ভাইজান,একটু আজকের নিউজ গুলো দেখেন। বি এন পি হরতাল দিয়ে কয় জন নেতা মাঠে ছিল? আর স্বতস্ফূর্ত হরতাল হলো কেমন করে? মানুষ দোকান পাট,গাড়ী বন্ধ রাখে কি হরতাল পালনের জন্য। আমার লেখাটি পড়েননি ভাই। আর এত হরতাল প্রীতি কেন আপনার?
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
নারায়ে তাকবীর পন্থি হাসান গোমড় বের হয়ে আসছে। কপি-পেস্ট সম্রাট, সোনা ব্লগার, ৬০-৭০টি মেইল আইডি দিয়া ফ্লাডিং মন্তব্যকারী, 👿 👿 পুস্পিতার ভাওড়া অনেক পরিচয় আপনার রয়েছে।
হাসান বলেছেনঃ
নাহুয়াল মিথ@ আপনি তাহলে সোনা ব্লগের মডারেটর? জানতাম না। আমার ব্লগে আমন্ত্রণ থাকলো
লিঙ্ক আমার ব্লগের
প্রথম আলো ব্লগে আমি
প্রথম আলো ব্লগের লিঙ্ক
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
😆 😆 😆 😆 😆 😆 😆
কা কা কা কা 🙄
হাসান বলেছেনঃ
নাহুয়াল মিথ ও আইরিন সুলতানাকে বলছি বিডিনিউজ২৪ব্লগ থেকে আমি চলে গেলে যদি আপনারা খুশি হন তাহলে চলে যাব। আমার প্রত্যেকটি পোস্টে আপনাদের ২ জনের অনবরত ব্যক্তি আক্রমনাত্মক, উস্কানিমূলক ও অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যের পরও অনেক অনেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠকদের ভালোবাসায় লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনাদের অস্বাভাবিক আচরনে আমার ব্লগ ছেড়ে দেওয়াই ভালো মনে করছি। আপনাদের দুজনকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে অনেক দু:খিত। ব্লগের অন্য বন্ধুরাও আমার কারনে কোনভাবে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন।
মোসাদিক উজজল বলেছেনঃ
মিথ আর আইরিন সুলতানার লেখায় তো আমি কোন আক্রমণাত্মক আগ্রাসী মন্তব্য এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আর ব্লগ ছেড়ে কেন যাবেন ভাইয়া? ব্লগ আমাদের সবার। সমালোচনা যদি সহ্য করতে না পারেন তবে পোস্ট করার আগে মম্তব্য করা যাবে অপশনে গিয়ে টিক মারুন। তবুও ব্লগ ছেড়ে যাবেন না।
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
দিলে চোট দেনে কে লিয়ে মাফ চাতিহু 😆 😆 😆
নাগরিক সাংবাদিকতা করুন। ১০০ পর্বের কায়কোবাদ আমলের মহাকাব্য প্রকাশ না করে অনুকাব্য লিখুন। মন্তব্যের ঘরে নিজের ব্লগ পেস্ট না করুন।
আর শুধুই আপনার ব্লগে যে অব্লগার মন্তব্যকারীদের মিছিল দেখা যায় সে বিষয়টা সংশোধন করুন। ব্লগ ছেড়ে গিয়ে কি প্রমাণ দিবেন আপনি নারায়ে তাকবীর পন্থি ❓ ❓ ❓
আজাদী বলেছেনঃ
ভাই ওনারা মানে হাসানরা আজ দিশেহারা হয়ে আবোল তাবোল লিখছে। ওনার একটা লেখা ও পর্যন্ত আমি আরও কয়েকটি ব্লগে দেখছি । এর উত্তরও আমি দিয়েছি। তারপরও এটা বার বার কপি-পেষ্ট করছেন। আমার মনে হয় উনি এটা ছাড়া আর কোন কিছুই মাথায় আনতে পারছেন না।
তবে ব্যাতিক্রম করেছে, সত্যভাষীর ব্লগে। সেখানে উনি সরাসরি সহ্য করতে না পেরে ব্লগটি মুছে ফেলার জন্য ব্লগ সংকলককে বলেছেন। সত্যভাষীর ঐ ব্লগটি ছিল মীর কাশেমের বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগে টাকা পাচার সংক্রান্ত।
জামাত ষ্টাইলে এরা আজ ব্লোগকেও গ্রাস করতে চাইছেনাতো ?