"বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, সরকার পুঁজিবাজারের বিকাশ ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এজন্য অনেক বিনিয়োগকারীর শেয়ার মুনাফা থেকে করযোগ্য সীমার অধিক আয় সত্ত্বেও কর অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করছি"
"বিনিয়োগকারীদের টিআইএন প্রদর্শনেরও কোনো বাধ্যবাধকতা থাকছে না", বলেন তিনি।
গোটা ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারীদের জন্য অনেক টা খুশির সংবাদ এটি। শেয়ার বাজারে আয যারা সর্ব শান্ত, তাদের জন্য মরার পর খারার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছিল টিন নাম্বার বাধ্যতামূলক করা হবে এই সংবাদে। কারন এই দেশে অনেক মানুষ ট্যাক্স এর জটিলতার ম্যারপ্যাঁচে পড়তে চায়না। কারন অনেক বিনিয়োগ কারি আছেন যারা চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর জত সামান্য যেই টাকা পেয়েছিলেন তাই তারা পুজি বাজারে বিনিয়োগ করে সর্ব শান্ত হয়ে গেছেন। আর অতি ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কারি যাদের ১ থেকে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা তারাও এই টিন প্যানিকে সবাই আতংকিত ছিল। যদি ও এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা ট্যাক্স দেন, বা ট্যাক্স দেবার মত আয় ও তাদের আছে। একটি কথা সবাই জানি বি ও অ্যাকাউন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মত একটি হিসাব। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এ টাকা থাকে, বি ও অ্যাকাউন্ট এ শেয়ার থাকে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে যদি টিন নাম্বার না লাগে, তবে বি ও তে কেন টিন লাগবে এই প্রশ্ন ছিল ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীদের।
যাই হোক অর্থমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী, এবার বাজারটি ভাল করুন। আপনি বলেছেন " পুঁজিবাজার ডিম পাড়া একটি হাঁস!" তাই মেহেরবানি করে বাজারটি ভাল করার জন্য যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করুন। ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ বিনিয়োগ কারি আজ নিঃস্ব। এই মুহূর্তে টিন নাম্বার না লাগার যেই ঘোষণা আপনি দিয়েছেন তাতে অনেক বিনিয়োগ কারি খুব ক্ষীণ হলেও একটি আশার আলো দেখতে পাচ্ছে।
***
খবর সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম