এক কঠিন ক্রান্তি কাল বোধ হয় সামনে পার করতে হবে জাতিকে।আরও একটি মহা সংঘাত কি আসন্ন? এই দেশের রাজনীতি বিদ দের চরম অদূরদর্শিতার অভাব, সেই সাথে ক্ষমতার মোহ এত বেশী তন্দ্রাচ্ছন্ন করে ফেলেছিল যে,এই রাজনীতিবিদদের জন্যই এই দেশে একটি ওয়ান ইলেভেন এর জন্ম হয়েছিল। এই আওয়ামীলীগ, বিএনপি আর জামাতের জন্যই মইন উদ্দিন, ফকরুদ্দিন নামের দুই অবৈধ শাসক এর জন্ম হয়েছিল। এই রাজনীতি বিদ দের লজ্জা, অতীত থেকে শিক্ষা, কোন কিছুই যেন তারা গ্রহন করেনি। আর এদের ভুল এর কারনে ১৫ কোটি মানুষ কে মাসুল দিতে হয়। এই ৩ টি দলে সব মিলিয়ে ৩০০ জন নেতা রয়েছেন। তাদের এক একটি সিদ্ধান্ত আমাদের শরীরে কেমন যেন এটম বোম হয়ে বিদ্ধ হয়। আর তার হিংস্রতার স্প্লিট এসে আমাদের শরীর মন কে খত বিক্ষত করে। আমরা যেন বেচেও মরে আছি। আমরা কেন জিম্মি হতে যাব? আমাদের কি কোন স্বাধীনতা নেই? স্বাধীন ভাবে বাচার অধিকার তো আমরা ৭১ এ পেয়েছি। তবে এখন ও কেন এই পরাধীনতা?এখনো কেন আমরা বাক রুদ্ধ?
আজ বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল আইনটি সংসদে পাশ হয়ে গেল। আদালত এটি কে অবৈধ ঘোষণা করলেও আগামী ২ টি নির্বাচন এই পদ্ধতিতে হতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দিকে ক্ষমতাসীনরা কোন ভ্রূক্ষেপ করেন নি। অন্য দিকে বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হলে ই কোঠর আন্দোলনে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। আজ সেইটি বাতিল হয়ে গেল। এবার সেই মহেন্দ্র খন আসবে নাকি মরন খন আসবে জাতীর জীবনে? সংবিধান সংশোধনের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন,
“এর মাধ্যমে দেশে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো”।
একজন বিরোধী দলিয় নেত্রী যখন এই কথা বলেন তবে সংঘাত অবশ্যই অনিবার্য। এই বি এন পি গেল নির্বাচনের আগে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা কে বিতর্কিত করার জন্য বিচারক দের বয়স বাড়ানোর এক ধূর্ত খেলায় মেতেছিল। আজ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল চায়না। কারন বি এন পি ধরেই নিয়েছে এই অবৈধ সরকার ছাড়া দেশে সঠিক নির্বাচন হবেনা।জাতী ও কি এটি ধরে নিয়েছেন? আসলে এত লালসা আমাদের এই দুই দলের রাজনীতিবিদদের মনে যে ক্ষমতার ঐ মসনদ ছেড়ে কেউ ই যেতে চায়না।
আসছে দিন গুলী যে বাংলাদেশের জন্য অনেক বিপর্যয় বয়ে আনবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিরোধী নেত্রী বলেছেন
“
এই সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচন ক্ষমতায় থেকে করার অসদুদ্দেশ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হলো।
“এর মাধ্যমে তথাকথিত অন্তবর্তী সরকার নামে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভা ও সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার যে হীন উদ্যোগ নেওয়া হলো তাতে দেশবাসী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”“আমরা সরকারকে সতর্ক করছি, জনগণের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এভাবে সংবিধান বদলের পরিণাম শুভ হবে না।”
তাহলে অনেক অশুভ কিছু অপেক্ষা করছে জাতীর ভাগ্যে। ইতি মধ্যেই হরতাল কর্ম সূচি চলে এসেছে। “সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ কথাটি অবিকৃতভাবে না রাখার প্রতিবাদে আগামী ১০ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৩০ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে পরিচিত ১২টি দল।যদিও এই বারটি দলের সারা দেশে ১২ হাজার ভোট আছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তার পর ও তো বার দল! শুনলেই মনে হয় কি যেন কি? হরতাল তারা সফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারুক আর না পারুক হরতাল তারা ডেকেছে। সেই সাথে আবার ইসলামি ঐক্য জোট ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ কথাটি না রাখার প্রতিবাদে আগামী ৩ জুলাই ঢাকা মহানগরীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানী কনকো-ফিলিপসের সঙ্গে সরকার বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাসে উত্তোলনের জন্য উৎপাদন বণ্টন চুক্তির প্রতিবাদে একই দিন ঢাকা মহানগরীতে অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
এ যেন হরতাল এর এক মহোৎসব! তেল গ্যাস এর প্রতিবাদের হরতাল ধরে নিলাম ইস্যু আছে। কিন্তু সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ কথাটি অবিকৃতভাবে না রাখার প্রতিবাদে যেই হরতাল এটি কি ধর্ম রাজনীতির আর একটি বহিঃপ্রকাশ না কি সরকার কে বিব্রত এবং চাপে রাখতে ই এই হরতাল নামের আত্ম ঘাতি সিদ্ধান্ত? আসলে দেশের সাধারন মানুষ গুলী আজ বড় অসহায় হয়ে পড়ে আছে। এ যেন ১৫ কোঁটি মানুষের সঙ্গে গুটি কয়েক রাজনৈতিক দলের বায়স্কোপ এর ভেল্কি খেলা।
কি চমৎকার দেখা গেল
তত্ত্বাবধায়ক বাতিল হইলো
৩ তারিখে হরতাল আইল
জনগনকে ভোঁদাই বানাল
সেই খেলা চলিয়া গেল
আর এক খেলা আইয়া গেল
খালেদা জিয়া আল্টিমেটাম দিল।
এই খেলার শেষ কবে জানিনা। জাতীর সাথে এই খেলার পরিণাম কি তা ও বোধ হয় জানিনা। আমরা আসলে কিছুই জানিনা যে! আর একটি ওয়ান ইলেভেন কি জাতীর জীবনে অপেক্ষা করছে? আবার ও কি এই দেশের রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তের বলি হবে অনেক নিরীহ সাধারন মানুষ? সেই ইট পাথর এর আঘাতে খত বিক্ষত লাশ আর তার উপর শকুনের উল্লাস! লগি বৈঠা কাস্তে দিয়ে পিটিয়ে মেরে রক্তের হলি খেলা! রক্তের কনায় পা মাড়িয়ে লাল গালিচা ডিঙ্গিয়ে সেই কাঙ্খিত মসনদ পেতে আর কত বলি হব আমরা? আগামী দিন গুলী যে অনেক সংঘাতময় হয়ে যাচ্ছে, ঈশান কোনে সেই কালো মেঘ! যেই মেঘের অস্রুসজল চোখের ভাষা আমরা সাধারন মানুষ বুঝলেও আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা বুঝতে পারেন না।
কেন ?
কেন ?
কেন ?
গাজী বলেছেনঃ
আরেকটি ওয়ান এলেভেন জন্য এর প্লট বুকিং হল আজ। 27টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ হয়ে প্লট বুঝে নিবেন “উনারা” । কোনও এক “রকনৌদ্দৌলা” এসে উচ্ছেদ অভিযান চালাবেন সাইনবোর্ড (সংবিধান) ফেলে দিয়ে।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
গাজি ভাই
চান্দের দেশে প্লট বুকিং দিলেই কি রুকনউদ্দৌলা হামলা করবে? 🙄
আমিন আহম্মদ বলেছেনঃ
১/১১ কিনা জানিনা, তবে দেশের বারোট বাজবে, এটা ১০০০০০০০০০০০০………% নিশ্চিৎ
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
আমিন ভাই
প্রবাসে বসে আপনার বিচলিত হবার বিষয় গুলী দেশের প্রতি গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। লেখা তো ব্যানার হয়েছে। আমার কমেন্ট ও পেয়েছেন। ভাই দোয়া কইরেন আমরা যেন ভাল থাকতে পারি
ভাল থাকুন……………………।। 😆
শুভ্র রহমান বলেছেনঃ
৮০ দশক অব্দি এই জনপ্রিয় বায়স্কোপ এখনকার ডিজিটাল যুগে বিলুপ্তির পথে | আর এ জাতীয় রাজনৈতিক সহিংসতাও সময়ের আবর্তে বিলীন হয়ে যাবে | প্রয়োজন শুধু একটু ধৈর্য ও অপেক্ষা | এখন শরীর সুস্থ তো | শুভ কামনা রইল |
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
শুভ্র ভাই ভাল আছেন আশা করি
মোটামুটি সুস্থ আছি।
আপনি বার বার আমার শরীরের খবর নিয়েছেন। মনে হয় শত বছর ধরে চেনা যানা সেই প্রিয় একটি মানুষ যে আমকে খুব স্নেহ করে, ভাল বাসে। এত সুখ আমি রাখবো কোথায় শুভ্র ভাই!
এবার আসি একটু অন্য প্রসঙ্গে। কাল যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা হয়ে গেল সেই সাথে মাননীয় বিরোধী নেত্রী বল্লেন
পুরা জাতির সাথে আমি ও উদ্বেক এর মধ্যে রয়েছি। শুভ্র ভাই মস্কো তে বসে হয়তো বুঝতে পারবেন না। তবে আমরা কঠিন একটি সময় সামনে পার করতে যাচ্ছি বোধ হয়।
দেশের অর্থনীতি কোথায় দাঁড়াবে শুভ্র ভাই? বর্তমানে দ্রব মুল্লের যেই ঊর্ধ্ব গতি তাতে সাধারন মানুষ কোথায় যাবে? কি ভাবে বাচবে? কারন একটি হরতালে ১ কেজি বেগুন এর দাম ১৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা হয়ে গেছে।
আমি নিজে কিনেছি শুভ্র ভাই
ভাল থাকুন, ভাল লিখুন
সর্বদা আপনার মঙ্গল কামনায় 😆
গাজী বলেছেনঃ
রুকনউদ্দৌলারা যখন আসে তখন চান্দের দেশে না শুধু সব খানেই আসতে পারে। কারো কি মনে নাই ১/১১র কথা। ২০১৩ তে সবকিছু হবে “ডিজিটাল”। কে কোথায় থাকবে কে জানে ? আললাহই ভালো জানেন। জগতের সকল মানুষ দুই বেলা খেয়ে পোরে ভালো থাকুক – আমীন।
হেলজিনোম২০১০ বলেছেনঃ
পনেরো কোটি সাধারণ বাংলাদেশীর মনে লালন করা কথা গুলোই যেন উঠে এসেছে আপনার লেখায়।সত্যিই আমরা যেন রাজনীতিবিদদের হাতের খেলার পুতুলে পরিণত হয়েছি তারা নাচাবে আর আমরা বসে বসে রাধার নাচন দেখবো। কতদিন আর এই জাতিকে রাজনৈতিক দের অপরাজনীতির খেসারত দিতে হবে? এদের ক্ষমতার লিপ্সা কি কোনদিনই শেষ হবেনা? পনেরো কোটির এই দেশে কি একজন সত্যি কারের দেশপ্রেমিক মাহাথির আমরা কোনদিনই খুজে পাবনা?
আমাদের যুদ্দ এখনো শেষ হয়নি ভৌগলিক সীমারেখার স্বাধীনতা হয়তো আমরা পেয়েছি কিন্তু নিজের অধিকার নিয়ে বেচে থাকার লড়াই এখনো শেষ হয়নি।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
হেলজিনোম
আমার ব্লগে আপনার এই মতা মত পেয়ে ধন্য হলাম। আমার ব্লগে আপনাকে সূ স্বাগতম যানাই 😆
আসলে ১/১১ আমাদের কারো আর কাম্য নয়। এমন কি আপনার ও না। তবে দুঃখ হয় এইযে আমাদের রাজনীতিবিদের কোন শিক্ষা গ্রহন করেনি। শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া তাদের যেই ভাবে নির্লজ্জের মত গ্রেফতার করা হয়েছিল সেটি তাদের মনে না থাকলেও আমাদের মনে আছে। বর্তমান পি এম কে পুরুষ এক পুলিশ পেসন দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিল, যেটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়ে ছিল। কিন্তু সবাই ভুলে গেল। বর্তমান যে রাজনীতির শুঁড় সুরানি চলছে তাতে সামরিক শাসক দের ক্ষমতা ক্যু করতে আগ্রহী করে তুলছে এবং যদি আবার ১/১১ এর মত কোন অপ শক্তি দেশকে গ্রাস করে এর দায়িত্ব কে নেবে?
ভাল থাকুন, অসম্ভব ভাল লিখেন আপ্নি।লিখতে থাকুন
আকাশের তারাগুলি বলেছেনঃ
সংঘাত দেখার জন্য আপাতত গ্যালারীতে……………।
তারেকের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মামলা, খালেদা তারেকের বিরু্দ্ধে এতিমদের টাকা মেরে খাওয়ার মামলা বিচারাধীন।
যার তথ্যপ্রমান সবার কাছেই ভিজিবল।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
আকাশের তারা
গ্যালারীতে বসে যদি সংঘাত দেখতে হয়, তবে দৌড়ানি মারা লাগতে পারে। আবার গ্যালারি থেকে লাফ মারলে হাত পা ভাংতে পারে, এমনকি জীবন টা ও যেতে পারে।
সংঘাত আপাতত কাম্য নয়।
মেটামোরফোজ বলেছেনঃ
এই তত্তাবধায়ক সরকারের দাবীতে আমরা রমজানের দিনে হরতাল সফল করেছিলাম। বুঝতে পারছিনা এবার কি করব বা কি করা উচিত। আপনিই বলে দিন।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
হরতাল এর সমর্থন আমি করিনা।
আন্দোলনের অনেক ভাষা আছে।
স ম obaidullah বলেছেনঃ
অবসসই সংঘাত অনিবার্য হয় গিয়াসে.দরকার হলে রমজানের দিনও হরতাল দিতে হবে.
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
হ্যাঁ ভাই
আপনারা হরতাল তো দেবেন ই
রমজান মাসে ও দিবেন।
সয়াবিন ১৫০ টাকা লিটার বানাবেন!
ধর্ম পালন করবেন, আবার হরতাল দিয়ে রোজাদার ব্যাক্তিদের কষ্ট দিয়ে আর একটা ফরজ আদায় করবেন।
আন্দোলন করুন, তবে হরতাল নয়
হরতাল…………………………। 😈
আকাশের তারাগুলি বলেছেনঃ
জ্বি, জনাব মোসাদ্দিক
তারপরেও ভাংগা পা নিয়েও গ্যালারীতে,
তবে আপনার কাছে কি তত্বাবধায়ক সরকারের বিলের হুবহু কপি আছে থাকলে অনুগ্রহ করে দিবেন।
চিলতো কান নিয়ে গেছে বলে জানি, একটু কানটা দেখার ইচ্ছে।