ঠাণ্ডা মাথার খুনি জিয়ার নিষ্ঠুর শিকার কর্নেল তাহের

মোসাদ্দিক উজ্জ্বল
Published : 21 July 2011, 07:41 AM
Updated : 21 July 2011, 07:41 AM

আজ সেই ২১ শে জুলাই, কর্নেল তাহের দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক জান্তা গোপন বিচারে কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের নায়ক ও জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে কর্নেল তাহের একটি পা হারিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লংঘন করে যুদ্ধাহত পঙ্গু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পর সামরিক আদালতে কর্ণেল আবু তাহেরের বিচারকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। ঐ বিচারকে বাতিল করে হাইকোর্ট বলেছে,

সামরিক আদালত গঠন এবং ঐ বিচার কার্যক্রমের সবকিছুই অবৈধ এবং সংবিধান পরিপন্থী।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের সামরিক আদালতে গোপন বিচার বাতিল করে দিয়ে হাইকোর্ট ঘটনাটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন গত ২২শে মার্চ। সেই সাথে জিয়াকে ঠাণ্ডা মাথার খুনি ও বলা হয়েছে ঐ রায়ে।

আদালত বলেছে,

দুর্ভাগ্যক্রমে খুনের মামলায় আসামি হওয়ার জন্য জেনারেল জিয়া আজ জীবিত নেই। কিন্তু ওই বিচারের নামে হত্যকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ও সহযোগী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল আলী এখনো জীবিত আছেন।

এ জন্য সামরিক আদালতে গঠিত ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল আলীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্ট রায়ে বলেছে,

কর্নেল তাহেরসহ অন্যদের পুরো বিচার ছিলো তথাকথিত লোক দেখানো একটি প্রহসনের নাটক। তাই বিচারের জন্য নকল ট্রাইব্যুনাল গঠন, বিচার প্রক্রিয়া ও সাজা অবৈধ এবং বাতিল বলে ঘোষণা করা হলো।

ওই বিচার প্রথম থেকেই অবৈধ, পুরো বিচারটি ছিলো একটি বিয়োগান্তক নাটক ও বানানো বিচার, মন্তব্য করেছে আদালত। আদালত বলেছে,

তাহেরকে বিচার করে যে আইনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তখন সে আইনে মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান ছিলো না। এই বিধান করা হয়েছে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর ১৯৭৬ সালের ৩১ জুলাই। তাই আইনগতভাবেই ওই দণ্ড ছিলো অবৈধ। এছাড়া বিচারের সময় আদালতের সামনে এজাহার বা অভিযোগপত্রও ছিলো না। এসব বিবেচনায় ওই আদালত ও তার কার্যক্রমই ছিল অবৈধ।

একই সাথে আদালত কর্নেল তাহেরকে শহীদ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ঐ বিচারে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ও এসেছে আদালতের রায়ে।

একই সাথে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়,

জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তা টিকিয়ে রাখতে সামরিক আইনের আওতায় এসব ঘটনা ঘটিয়েছিল।

কর্নেল তাহেরের একটি চিঠি এখনো তাঁর পরিবারের সদস্যরা সংরক্ষণ করছেন। ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর তিনদিন আগে পরিবারের কাছে লেখা তাহেরের শেষ চিঠি এ বিষয়ে তাঁর ভাই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, রায় ঘোষণার পরদিন কয়েকটি সংবাদপত্রে কর্নেল তাহেরের জবানবন্দি বিকৃত এবং ভুল তথ্য সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়। সংবাদপত্রে তা পড়ে কর্নেল তাহের এর প্রতিবাদ জানিয়ে সত্য তথ্য প্রকাশের অনুরোধ জানান তাঁর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান ও অ্যাডভোকেট জুলমত আলী।

"শ্রদ্ধেয় আব্বা, আম্মা, প্রিয় লুৎফা, ভাইজান ও আমার ভাইবোনেরা,

গতকাল বিকালে ট্রাইব্যুনালের রায় দেওয়া হল। আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। ভাইজান* ও মেজর জলিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। আনোয়ার, ইনু, রব ও মেজর জিয়াউদ্দিনের ১০ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা (প্রকৃতপক্ষে জিয়ার ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল)। সালেহা*, রবিউলের* ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ড. আখলাক, সাংবাদিক মাহমুদ*, মান্নাসহ* ১৩ জনকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষে ট্রাইব্যুনাল আমার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে বেত্রাহত কুকুরের মতো তাড়াহুড়ো করে বিচারকক্ষ পরিত্যাগ করল। হঠাৎ সাংবাদিক মাহমুদ কান্নায় ভেঙে পড়লেন। আমি তাঁকে সান্ত্বনা দিতে চাইলে তিনি বললেন, 'আমার কান্না এ জন্য যে, একজন বাঙালি কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করতে পারল!' বোন সালেহা হঠাৎ টয়লেট রুমে গিয়ে কাঁদতে শুরু করল। সালেহাকে ডেকে এনে যখন বললাম, 'তোমার কাছ থেকে দুর্বলতা কখনোই আশা করিনি।' সালেহা বলল, 'আমি কাঁদি নাই, আমি হাসছি।' হাসি-কান্নায় এই বোনটি আমার অপূর্ব। জেলখানায় এই বিচারকক্ষে এসে প্রথম তার সঙ্গে আমার দেখা। এই বোনটিকে আমার ভীষণ ভালো লাগে।

সাথীদের শুধু একটাই বক্তব্য, 'কেন আমাদেরকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো না।' মেজর জিয়াউদ্দিন বসে আমার উদ্দেশে একটি কবিতা লিখল। জেলখানার এই ক্ষুদ্র কক্ষে হঠাৎ আওয়াজ উঠল, 'তাহের ভাই-লাল সালাম।' সমস্ত জেলখানা প্রকম্পিত হয়ে উঠল। জেলখানার উঁচু দেওয়াল এই ধ্বনিকে কি আটকে রাখতে পারবে? এর প্রতিধ্বনি কি পৌঁছাবে না আমার দেশের মানুষের মনের কোঠায়?

রায় শুনে আমাদের আইনজীবীরা হতবাক হয়ে গেলেন। তাঁরা এসে আমাকে জানালেন, যদিও এই ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না, তবুও তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে রিট করবেন। কারণ বেআইনিভাবে এই আদালত তাঁর কাজ চালিয়েছেন ও রায় দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করবেন বলে জানালেন। আমি তাঁদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম, প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করা চলবে না। এই প্রেসিডেন্টকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি, এই বিশ্বাসঘাতকদের কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারি না।

সবাই আমার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শুনতে চাইল। এর মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সরিয়ে নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠল। বললাম, আমি যখন একা থাকি তখন ভয়, লোভ-লালসা আমাকে চারদিক থেকে এসে আক্রমণ করে। আমি যখন আপনাদের মাঝে থাকি, তখন সমস্ত ভয়, লোভ-লালসা দূরে চলে যায়। আমি সাহসী হই, বিপ্লবের সাথি রূপে নিজেকে দেখতে পাই। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করার এক অপরাজেয় শক্তি আমার মধ্যে কাজ করে। তাই আমাদের একাকিত্বকে বিসর্জন দিয়ে আমরা সবার মাঝে প্রকাশিত হতে চাই। সে জন্যই আমাদের সংগ্রাম।

সবাই একে একে বিদায় নিয়ে যাচ্ছে। অশ্রুসজল চোখ। বেশ কিছু দিন সবাই একত্রে কাটিয়েছি। আবার কবে দেখা হবে। সালেহা আমার সঙ্গে যাবে। ভাইজান ও আনোয়ারকে চিত্তচাঞ্চল্য স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু তাঁদেরকে তো আমি জানি। আমাকে সাহস জোগাবার জন্য তাঁদের অভিনয়। বেলালের চোখ ছলছল করছে। কান্নায় ভেঙে পড়তে চায়। জলিল, রব, জিয়া আমাকে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করল। এই আলিঙ্গন অবিচ্ছেদ্য। এমনিভাবে দৃঢ় আলিঙ্গনে আমরা গোটা জাতির সঙ্গে আবদ্ধ। কেউ তা ভাঙতে পারবে না।

সবাই চলে গেল। আমি আর সালেহা বের হয়ে এলাম। সালেহা চলে যাচ্ছে সেলের দিকে। বিভিন্ন সেলে আবদ্ধ কয়েদি ও রাজবন্দিরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে বন্ধ সেলের দরজা-জানালা দিয়ে। মতিন সাহেব, টিপু বিশ্বাস ও অন্যরা দেখাল আমাকে বিজয় চিহ্ন। এই বিচার বিপ্লবীদের তাদের অগোচরে ঐক্যবদ্ধ করল।

ফাঁসির আসামিদের নির্ধারিত জায়গা ৮ নম্বর সেলে আমাকে নিয়ে আসা হলো। পাশের তিনটি সেলে আরো তিনজন ফাঁসির আসামি। ছোট সেলটি ভালোই, বেশ পরিষ্কার। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যখন জীবনের দিকে তাকাই, তাতে লজ্জার তো কিছুই নেই। আমার জীবনের নানা ঘটনা আমাকে আমার জাতির ও জনগণের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। এর চেয়ে বড় সুখ, বড় আনন্দ আর কী হতে পারে?
নীতু, যীশু ও মিশুর, সবার কথা মনে পড়ে। তাদের জন্য অর্থ-সম্পদ কিছুই আমি রেখে যাইনি। কিন্তু আমার গোটা জাতি রয়েছে তাদের জন্য। আমরা দেখেছি শত-সহস্র উলঙ্গ মায়া-মমতা-ভালোবাসা বঞ্চিত শিশু। তাদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় আমরা গড়তে চেয়েছি।

বাঙালি জাতির উদ্ভাসিত নতুন সূর্য ওঠার আর কত দেরি! না, আর দেরি নেই, সূর্য উঠল বলে।

এ দেশ সৃষ্টির জন্য আমি রক্ত দিয়েছি। আর সেই সূর্যের জন্য আমি প্রাণ দেব, যা আমার জনগণকে আলোকিত করবে, উজ্জীবিত করবে। এর চাইতে বড় পুরস্কার আমার জন্য আর কী হতে পারে? আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে। কোন শক্তি তা করতে পারে? কেউ পারবে না।

আজকের পত্রিকা এল। আমার মৃত্যুদণ্ড ও অন্যদের মেয়াদি কারাদণ্ডের খবর ছাপা হয়েছে প্রথম পাতায়। মামলার যা বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাজ সাক্ষীদের জবানবন্দিতে প্রকাশ পেয়েছে আমার নেতৃত্বেই ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লব ঘটে। আমার নির্দেশেই জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়, আমার প্রস্তাবেই বর্তমান সরকার গঠিত হয়। সমগ্র মামলায় কাদেরিয়া বাহিনীর কোনো উল্লেখই ছিল না। অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান*, জুলমত আলী* ও অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন তারা যেন এই মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ করেন ও সমগ্র মামলাটির সত্য বিবরণ প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ও চক্রান্তকারী জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে জনগণের সামনে হেয় করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। দায়িত্ব পালনে তারা ব্যর্থ হলে ইতিহাস তাদেরকেও ক্ষমা করবে না।
তোমরা আমার অনেক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আদর নিও। বিচার ঘরে বসে জিয়া অনেক কবিতা লিখেছে। তারই একটির অংশ-

'জন্মেছি, সারা দেশটাকে কাঁপিয়ে তুলতে/কাঁপিয়ে দিলাম/জন্মেছি, তোদের শোষণের হাত দুটো ভাঙব বলে/ভেঙে দিলাম/জন্মেছি, মৃত্যুকে পরাজিত করব বলে/করেই গেলাম/জন্ম আর মৃত্যুর দু'টি বিশাল পাথর/রেখে গেলাম/পাথরের নিচে শোষক আর শাসকের কবর দিলাম/পৃথিবী অবশেষে এবারের মত বিদায় নিলাম'।"
চিঠির শেষে তাহের তাঁর স্বাক্ষর করেন।
'তোমাদের তাহের'

পরিচিতিঃ

ভাইজান*= তাহেরের বড় ভাই আবু ইউসুফ খান
সালেহা* = সালেহা যশোরের সাবেক জাসদ নেত্রী
রবিউল*= সালেহার স্বামী, তৎকালীন যশোর জেলার জাসদ নেতা
মাহমুদ*= সাংবাদিক মাহমুদ হচ্ছেন কে বি এম মাহমুদ, একসময়ের সাপ্তাহিক 'ওয়েভ' পত্রিকার সম্পাদক
মান্না*= মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি
অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান*= রাজনীতিবিদ আতাউর রহমান, বর্তমানে মৃত
জুলমত আলী*= বর্তমানে বিএনপি নেতা

উল্লেখ্য ১৯৭৬ সালে কথিত আদালতে তাহেরসহ ৩৩ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিলো। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের দুই সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের ও মেজর এম এ জলিল এবং তাহেরের ভাই আবু ইউসুফ খান বীর বিক্রমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মেজর জলিল ও আবু ইউসুফের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। খালাস পান ১৬ জন।

আজ দেশের প্রথম বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থানের নায়ক জাতির এই সূর্য সন্তানের মৃত্যু বার্ষিকী। আজকের এই দিনে এই বীরের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। আর ধিক্কার সেই সামরিক শাসক ঠাণ্ডা মাথার খুনিদের। যারা অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় নিজের স্বার্থ হাসিল আর লালসার বশবর্তী হয়ে কর্নেল তাহের কে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল। ইতিহাস বড় নির্মম। তাহেরকে যারা হত্যা করেছিল সেই সামরিক শাসকদের ও এক নিষ্ঠুর হত্যা আর অপ মৃত্যু গ্রহন করতে হয়েছিল একদিন।

***
[ কর্নেল তাহেরের চিঠি প্রিয় ব্লগ থেকে সংগৃহীত।]