আজ সকালের একুশে নিউজ দেখছিলাম। আজ ভয়াবহ সেই ২১ অগাস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বর্বর, জঘন্য, আর নির্লজ্জ গ্রেনেড হামলার শিকার হয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী সহ অসংখ্য সাধারন মানুষ। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই ঐ সময়ের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে অনেকের ধারনা। সেই ভয়াবহ সৃতি আজও তাড়া করে ফেরে সেই সব মানুষদের যারা সেদিনের সেই বর্বর হামলার শিকার হয়েছিলেন ।
আজ নিউজে দেখলাম এখনো প্রায় ৫০ জনের মত শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছে। অসহ্য যন্ত্রণা আর নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। বেঁচেও তারা আজ প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে মৃত্যুর সাথে! চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে করতে আজ তারা সর্বস্বান্ত! আওয়ামীলীগের পক্ষে প্রতি মাসে মাত্র ৫০০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এক একজনের প্রতিমাসে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতন। কারো কারো আবার দু মুঠো খাবার জোটেওনা। কারো কারো সন্তানের শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ এই ও বলল দিন যত যাবে শরীর আরও কঠিনতর দিকে ধাবিত হবে। চিকিৎসকরা এমনটি ই বলেছেন তাদের।
http://www.youtube.com/watch?v=lZb7qXQcLYo
আসলে ঐ সব ব্যক্তিদের আহাজারি দেখে চোখে জ্বল ধরে রাখা সম্ভব নয়। অনেকেই হাঁটতে পারছেন না। অনেকেই বললেন মাসের মধ্যে প্রায় ২৫ দিনই তারা রাত জেগে থাকেন। রাতে শরীর বেশি জ্বালাপোড়া করে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। হাউমাউ করে চিৎকার করে তারা কাঁদে। অনেকেই না ঘুমাতে ঘুমাতে এক প্রকার মানসিক রোগী হয়ে গেছেন! কি করার আছে ওদের জন্য? আমরা সাধারন মানুষ কত টুকুই বা করতে পারি? হ্যাঁ আমরাই আবার পারি। অমিতকে চিকিৎসার ব্যয়ভার কিন্তু আমরা সাধারনরাই করে দিয়েছিলাম।
আজ যখন দেখি মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে দল তাদের দায় সারে, সত্যি ভীষণ হতবাক হয়ে যাই। নির্মম সেই হত্যাযজ্ঞে যারা নিজের জীবন বলিদান করে দিল দলের জন্য, নিজের জীবন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে নেত্রীকে বাঁচিয়ে দিল যারা তাদের মধ্যে আজ অনেকেই বেঁচেও ও প্রতিনিয়ত ধুঁকে ধুঁকে মরছে। প্রতিদিন মরনের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ এই খেলা আর কতদিন খেলবে তারা?
আসুন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই। আমরা মাত্র ১টি টাকাও যদি খরচ করি তবে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠবে। আমরা কি এইটুকু করতে পারিনা ওদের জন্য?