
মানব জীবনে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই ছিল। আর ছিল বলেই আজও পৃথিবীর মানুষ গুলি কোন না কোন ধর্মের অনুসারী। এই পৃথিবীর কত ভাগ মানুষ ধার্মিক এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মুশকিল। তবে ধর্ম বিশ্বাস করেন না এমন লোকের সংখ্যা খুব সামান্য।শত শত বছর ধরে মানুষ তাদের ধর্ম কর্ম পালন করে আসছে। বস্তুত সকল ধর্মের মূল নীতি এক না হলেও অন্তত একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলা যায় যে,কোন ধর্মেই বলানেই মানবের অকল্যাণ সাধন করা কিংবা এই পৃথিবীর বুকে কোন মানবকুলের ক্ষতি সাধন করা। কাজেই সকল ধর্মের একটি কমন সার হল মানবের জন্য কল্যাণ বয়ে আনা। হিংসা, হানাহানি কিংবা ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষ এই কথা গুলো কোন ধর্মে বলা আছে বলে কারো জানা নেই। তাই নির্দ্বিধায় এক বাক্যে বলা চলে ধর্মর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানব জাতিকে সঠিক পথ দেখানো। তাদের পরিশুদ্ধ করা। সেই সাথে তাদের কে নির্মল আর পবিত্র এক মানবে পরিণত করার চেষ্টা করা।
আমাদের এই বাংলাদেশে সব ধর্মের সব গোত্রের নাগরিকদের জন্য সমান সুযোগ এর ব্যবস্থা রাষ্ট্র করে দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অপূর্ব মিল বন্ধন কিন্তু এই দেশে চোখে পড়ে। এত সম্প্রীতির অনুপম দৃশ্য পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নেই। কাজেই সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই সম্প্রীতির দেশে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সিংহ ভাগ মুসলিম জন গোষ্ঠীর এর দেশে নানা বিধ কারণে ইসলাম ধর্ম বিতর্কিত হচ্ছে। ধর্মের মূল বৈশিষ্ট্যের বাইরে গিয়ে কতিপয় মানুষের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি এটি চোখে পড়ার মত। একজন মুছলমান ধার্মিক হবেন, তবে তিনি কখনো ধর্মান্ধ হবেন না। মজার ব্যাপার হল এই দেশের ইসলাম ধর্মকে নানা ভাবে যারা বিতর্কিত করছেন তারা কিন্তু অন্য ধর্মের কেউ নন। শুধু বাংলাদেশ নয়। বিশ্বের নানা প্রান্তে আজ ইসলাম ধর্মকে অনেকেই জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করে ফেলেছে। ইসলামের মূল স্রোত থেকে বেরিয়ে আসা ভিন্ন কিছু মতাদর্শের মানুষ এবং কতিপয় মুখোশ ধারী লাদেন পন্থিরা আজ নন মুসলিম জাতির নিকট এক মূর্তিমান আতংকের নাম। সেই সাথে পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ার অপ প্রচার তো আছেই। বাইরের সেই সব বিশ্ব বিশেষ করে আফগান কিংবা পাকিস্তানের সেই সব ইসলামের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হওয়া কিছু মানুষ নানা ভাবে এই দেশেও ইসলাম ধর্ম কে অপবিত্র বানিয়েছে।
বাংলা ভাই,আব্দুর রহমান কিংবা মুফতি হান্নান রা ইসলামের সেই সু শীতল আকাশের অপার তারকারাজির মধ্যে কয়েকটি নষ্ট নীহারিকা। আর নষ্টের কাজ ই নষ্ট হওয়া এবং সেই সাথে নষ্ট করা। দেশের ৬৩ টি জেলায় এক সাথে বোমা হামলা, ময়মনসিংহ সিনেমা হলে বোমা হামলা কিংবা বিচারকের আদালতে বোমা মেরে ইসলাম কায়েম করার জন্য যে ব্যর্থ অপ চেষ্টা তারা চালিয়েছে তার জন্য ইসলাম কোন ভাবেই দায়ী ছিলনা। অথচ তামাম বিশ্ব মিডিয়া না বুঝেই এহেন কর্ম কাণ্ডের জন্য মানব জাতির পরম মমতা মাখা ধর্ম ইসলাম কে দোষ দিয়ে যায়। আজ যখন বিশ্ব নেতারা বলে উঠেন ইসলাম মানে জঙ্গি তখন নিজের কাছে নিজেকে বড়ই ছোট মনে হয়। আর এই ছুতো ধরে একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্র গুলো আজ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। নামে মাত্র ইসলামি রাষ্ট্র হলেও এক একজন হামিদ কারজাই বানিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব গুলো সেই সব রাষ্ট্রের রশি টানছে। আর পুতুল হয়ে হামিদ কারজাই রা নেচে যাচ্ছে। জঙ্গি আস্তানা ধ্বংসের নামে নিষ্ঠুর ধ্বংস লীলা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তার নির্মম শিকার হচ্ছে লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষ।
বাংলাদেশে একটি সময় যেই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল সেটি জাতির জন্য কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলনা। কেননা ওই সময়টিতে বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল বি এন পি ও জামাত জোট। এর মধ্যে জামাত নিজেকে ইসলামি দল বলে দাবি করে। এবং তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তারা সর্বদা একটি স্বাধীন সার্বভৌম ইসলামি রাষ্ট্র ও ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য চেষ্টা, আন্দোলন এবং সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। কাজেই সেই জামাতের ক্ষমতা থাকাকালীন অবস্থায় এই দেশে ইসলাম কায়েম এর নামে জঙ্গি হামলা এটি আসলে কি প্রমাণ করে? জামাত কি তবে সেই সময়ে জঙ্গিদের মদদ দাতা ছিল? যদিয় এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই পেয়ে গেছেন কয়েক বছর আগেই। তবে এখন আবারো বলতে হচ্ছে এই কারণে যে এই জামাত- বি এন পি জোট এখনও বলছে আওয়ামীলীগ ধর্মে বিশ্বাস করেনা। তারা বিসমিল্লাহতে বিশ্বাসী নয়। তারা ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাদের সেই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ থেকে বার বার বলা হয়েছে ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্ম হীনতা নয়। কিন্তু এই কথা বি এন পি জামাত জোট কোন ভাবেই মানতে পারেনা যে আওয়ামীলীগ ধর্মে বিশ্বাসী। ভাবটা হয়তো এমন এই দেশে সকল ধর্ম কর্ম কেবল বি এন পি জামাত করে। আর কেউ নয়। কাজেই এইখানে ও দেখা যাচ্ছে সেই ইসলাম ধর্মকে আবারো বিতর্কিত করছে মুছলমান নাম ধারী কিছু মানুষ। সেই বিতর্ক হয় বি এন পি করছে, না হয় আওয়ামীলীগ করছে নয়তো জামাত করছে। এইখানে কিন্তু বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, দিলিপ বড়ুয়া কিংবা দিপংকর দেবনাথ রা করছেনা।
ধর্ম নিয়ে এই দেশে বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দল বেশ বাড়াবাড়ি করে। কথায় কথায় তারা কাফের কিংবা মুরতাদ বলে হুমকি দেয়। আবার এই সব দল গুলোর মধ্যে একটি বিশেষ দল রয়েছে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে এই দেশের বিরোধিতা করার জন্য আজও বাংলাদেশের মানুষের চোখে ঘৃণার দৃষ্টিতে। কোটি মানুষের ঘৃণা নিয়ে তারা বেচে আছে। আবার রাজনীতি ও করছে। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ এর স্বপ্ন যারা কোনদিন মানতে পারেনি কিংবা আজও যারা এই দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয় তারাই আজ ইসলামের মহা দরদী। মনে হয় তারাই কেবল এই দেশের ইসলাম ধর্মের ধারক, বাহক ও রক্ষক। কাজেই সেই ইসলাম ধর্মকে আবারো বিতর্কিত করছে কিন্তু আমরা নামধারী কিছু ইসলামি চেতনা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী মানুষ। একটি বা কোন বিশেষ দল ছাড়া বাকিরা ইসলাম মানেন না বা তারা আল্লার দুশমন এমনটি ভেবে যারা সভা সমাবেশে বক্তিতা দেয় তারা আসলে সুস্থ মস্তিষ্কের কিনা এটিও ভাবা প্রয়োজন। ইসলাম ধর্মের অনুসারী কিংবা মহান সৃষ্টিকর্তার অনুকম্পা পাবার জন্য কোন বিশেষ রাজনৈতিক দল করার কোন প্রয়োজন নেই। এমনকি অমুক দলে ভোট দিলে জান্নাতের ভিসা পাওয়া যাবে এমনটি ভাবা শিরক ছাড়া অন্য কিছুই নয়।
বাংলা ভাষা ভাষীদের নিকট সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগ বেশ জনপ্রিয় একটি কমিউনিটি সাইট হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। অসংখ্য ব্লগ সাইটে ব্লগিং করছেন কয়েক হাজার ব্লগার। সঙ্গত কারণে ওই ব্লগ পরিবেশে যারা ব্লগিং করেন তারা কেউ কোন না কোন দলের বা মতাদর্শের। তবে একটি বিশেষ দল যারা স্বাধীনতা বিষয়ক কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত তাদের অনুসারীরা মাঝে মাঝে কোন কারণ ছাড়াই ধর্মকে ব্যবহার করছে ঢাল হিসাবে। বিশেষ করে আমার ব্লগ, সোনার বাংলা, সামহোয়্যার ইন কিংবা মাঝে মাঝে প্রথম আলো ব্লগে বেশ ক্যাচাল দেখা যায় এই সব ধর্ম নিয়ে লেখা পোস্ট গুলোতে। আস্তিক নাস্তিক যুদ্ধও শুরু হয়ে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত দেখা যায় পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। তার পর শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এবং শেষ পর্যন্ত ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে মা কিংবা বোন তুলে গালা গালি দিয়ে ধর্ম রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়! হায় ইসলাম ধর্ম! মানবতা আর শান্তির এই ধর্মকে ব্লগে নাপাক করে ফেলছে কারা? যারা ধর্ম নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি করে তাদের কাছে প্রশ্ন হল এই ভাবে কি করে ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব? পরম সহিষ্ণু এবং সবরের ধর্ম হল ইসলাম। কাজেই এটি কায়েম করা যদি এত সহজ হত তবে মহানবী জীবনে এত সংগ্রাম করতেন না। আল্লার কাছে প্রার্থনা করেই বলে দিত যে আল্লাহ তুমি বিধর্মী কে ধ্বংস করে দাও। অথচ সেই আদর্শ থেকে আজ অনেকেই সরে এসেছে। এবং তার প্রভাব ব্লগেও দেখা যাচ্ছে।
সম্প্রতি বিডি ব্লগেও বেশ কিছু ধর্ম ও ইসলাম বিদ্বেষী পোস্ট ও কমেন্ট এসেছে। কিছু দিন আগে ব্লগার বাসন্ত বিষুব এর একটি বিতর্কিত পোস্ট এসেছিল। যেটি ছিল উদ্দেশ্য মূলক। তিনি ৯/১১ যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার জন্য ইসলাম ধর্মকে কৌশলে ব্যবহার করেছিলেন। যেটি ছিল এই ব্লগের একটি ন্যাকেড ব্লগিং। আমি সেইদিন বাসন্তের লেখায় কমেন্ট করেছিলাম। যেটি অনেকেই দেখেছিলেন। আবার ২৯ সেপ্টেম্বর সুমনের একটি লেখায় একটি আপত্তিকর কমেন্ট এসেছে। জাহেদ উর রহমান নামের একজন ব্লগার এর কমেন্ট ছিল নিম্নরূপ-
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেন:1
সন্ধ্যা ৭:১০, বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১
মানুষকে মূল্যবান করে ধর্ম? অসম্ভব। আপনি যে ধর্মের পক্ষে লেখেন সেই ধর্মের গভীর পড়াশোনা আমার আছে। আপনার ধর্মগ্রন্থ আর প্রচারকের বানীর পুস্তকের পাতায় পাতায় আছে মানুষকে আর মানবতাকে অবমূল্যায়নের প্রমান।
আর যারা মনে করে ধর্ম ছাড়া নৈতিক উন্নতি সম্ভব না, তারা আর যাই হউক মানুষ হয়ে ওঠার আশপাশেও নেই। ভাল কাজ করার জন্য আর খারাপ কাজ হতে বিরত থাকার জন্য যাদের আগুনের ভয়, আর সুন্দরি হুরের শরীরের লোভ লাগে তাদের মুখে আর যাই হউক মানুষের মূল্যের কথা, নৈতিকতার কথা মানায় না।
আমি হতবাক হয়ে গেছি সেদিন। তবে সুমন এর লেখার কারণে অনেকেই সেই লেখাটিতে কমেন্ট করেছেন ভিন্ন ভাবে। কিন্তু কিছু কমেন্ট যাদের কাছ থেকে এসেছে তাদের ব্যাপারে ব্যক্তিগত ভাবে বেশ জানা শোনা থাকায় আবিষ্কার করতে থাকি কেন তারা এমন কমেন্ট করেছে? প্রাইভেসির জন্য আমার সাথে কারো কারো কথা হয় ফেস বুকে। এবং আমি যেটি মনে করেছিলাম বিষয়টা তেমন ই ছিল। আপাত দৃষ্টিতে কমেন্ট গুলো দেখলে মনে হয় অনেকে ইসলাম বিদ্বেষী। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। তবুও পাবলিক প্লেসে এমন কমেন্ট সত্যি দুঃখজনক। কারণ অনেকেই বিষয়টির অন্তঃসার বুঝতে পারবেন না। কাজেই তারাই ভুল বুঝবেন মন্তব্য কারীদের।
আমি সবাই কে বিনীত অনুরোধ করতে চাই ধর্ম বিষয়ক যে কোন লেখায় আমরা যেন চরম সতর্কতা অবলম্বন করি। কোন প্রকার নগ্ন আক্রমণ যেন ধর্ম বিষয়ক পোস্টে না চালাই। যেই ধর্ম নিয়েই পোস্ট আসুক না কেন ধর্ম বিষয়ক পোস্ট কে আমরা যেন সবাই সন্মান করি। কেউ যদি ধর্ম কে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে চায় তার জন্য তাকে ধরা যেতে পারে। কিন্তু সেই আক্রমণ যেন ধর্মের উপর না আসে। কারণ আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা যে সুমনের সেই পোস্টটিতে ধর্ম ব্যবসায়ী কোন বিশেষ দলের অনুসারী সুমন কে ধরতে গিয়ে ধর্মের উপর ই ষ্টীম রোলার চালিয়ে গেছি নিজের মনের অজান্তে। অন্তত আমার ফেসবুক তো তাই বলে। কাজেই এতে করে সুবিধা নিয়ে যাবে সেই সব ধর্ম ব্যবসায়ী ও তাদের শরিকরা।
শেষের দিকে আবারো বলছি আমরা আমাদের এই বি ডি ব্লগ কে সামু, আমার ব্লগ কিংবা সোনার বাংলা যেন না বানাই। ধর্ম, আস্তিক কিংবা নাস্তিক যে কোন বিষয়ের পোস্ট আসতে পারে। তবে সেই ধর্ম যুদ্ধ করতে গিয়ে যেন অধর্মের কাজ না করে বসি। এই চাওয়া সবার কাছে।
ভালো থাকুন সবাই।
ভালোবাসার পদ্ম ফুটুক দুঃখ দীঘির জ্বলে।
সত্যভাষী বলেছেনঃ
ধন্যবাদ উজ্জল ভাই। তবে আপনার উদ্দেশ্যে আমি এটুক বলব যে আপনি হামিদুজ্জামান সুমনের ব্লগে আমার দেয়া মন্তব্যগুলো (মোটা চারটি মন্তব্য) ভালভাবে দেখুন এবং ঐ হামিদুজ্জামানদের আসল রুপকে এই ব্লগে প্রকাশ করবেন এটা আমার দাবী। কারন এরা ইসলামকে বড় নয়, ববং ইসলামকে নিয়ে তামাশা করে, ইসলামকে তাদের আয়ের উৎস, খেলনার পুতুল, ব্যবসার মূলধন ও অতি সাধারনের মুর্খতার সুযোগ নিয়ে সুবিধা আদায় করে নিজেদের আখের ঘুচাতে চায়। এরা হল আসল ইহুদীর উত্তরসুরী। আপনি জানেন হয়ত যে বর্তমান সৌদি সরকারের পূর্বপুরুষ ইহুদী। আর তাই এরা জামায়াতকে খুব পছন্দ করে। আমেরিকাকে পছন্দ করে। তাই ১৯৭১ সাল হতে আজ পর্যন্ত এত অন্যায় ও অপরাধ জামায়াত করার পরও আমেরিকার বন্ধু জামায়াত। কারন পিছনে ঐ ইহুদী সৌদী সরকার। জামায়েতের অপরাধ আমেরিকার তথাকথিত বড় শত্রু আল-কায়েদার চেয়েও অনেক জঘন্য ও মারাত্মক হওয়ার পরও তারা আমেরিকার ভাষায় জঙ্গী নয় (!!!????)। কাকরাইলের জঙ্গী ঘটনাটা কি ৯/১১ এর চেয়ে খুব বেশী কম ? আওয়ামিলীগের লগি-বৈঠার সাথে সেদিন ওরা যে ধরনের মারমুখি ভুমিকা নিয়েছিল পিস্তল, রাম-দা, কিরিচ, গজারী কাঠ ইত্যাদি নিয়ে তাকি আপনি দেখেন নাই ? কৈ তারপরও সেদিনের সবচেয়ে বেশী মিত্র আমেরিকা জামায়াতকে জঙ্গী বলেনাই। বরং আমি দেখেছি তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রদুত বিউটেনিস প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও নিয়মতি জামায়াতের অফিসে যাতায়াত করেছিল। এটা আমার নিজের চোখে দেখা। কারোও কাছ থেকে শোনা কথা নয়। আবার প্রকাশ্যে জামায়াত আমেরিকা বিরোধী একটি সোচ্চার দলের ভুমিকায় অভিনয় করে থাকে। তালেবান দমনের মত যদি একদিন জামায়াত হটানোর জন্য এদেশে আমেরিকার সৈন্যবাহীনি আসে আর দেশটাকে তামা তামা করে দিয়ে যায়, তাতে আমি একটুও অবাক হবনা। কারন এটার দিকেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ।
আর একটি কথা আমি ধর্মকে সবার উর্ধে স্থান দিয়ে নিজের জীবন-যাপন ও পারিবারিকভাবেও তা পালন করে যাছ্চি। তার জন্য আমাকে ধর্ম ব্যবসায়ী ভন্ড জামায়াত বা পীর বাবাজীদের আঁচলের নীচে যাওয়ার কোন প্রয়োজন বোধ করিনাই, আর কোনদিন করবওনা। ধন্যবাদ।
আর সব শেষে বলব, জামায়াত কোন ধর্মীয় দল নয়। এটা ইহুদীদের এজেন্ট। এবং আমিনীরা হলো তালেবানের এজেন্ট। এছাড়া এ দেশে আরোও কিছু ইসলামী দল ও গ্রুপ আছে যারা বিদেশী ফান্ড নিয়ে এদেশে একটি অনাঙ্খাকিত ইসলামী মৌলবাদের জঙ্গী বিপ্লবের দিকে এগুচ্ছে। এর জন্য জাতী যদি সচেতন না হয়, তাহলে অনেকে বড় কোন খেশারত দিতে হবে। ধন্যবাদ।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
সত্যভাষী-
আসল ফোকাস টা হচ্ছে ধর্ম কে নিয়ে আমরা কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করি। সুমন এর ব্যাপার গুলো আমরা জানি। কাজেই ওই কাসুন্দি আর ঘাঁটবার দরকার নেই।
জামাত কোন ইসলামিক দল নয়। এটি সবাই মানে ( একমাত্র জামাত ছাড়া)।
আর আপনার বাকি বিশ্লেষণ গুলো সবই আমি জানি। তাছাড়া ব্যক্তি জীবনে আপনি যে ধর্মীয় মূল্যবোধ এর মধ্যে জীবন যাপন করেন এটিও জানি। তবে ওই যে বলেছি পাবলিক প্লেসে অনেকেই বিষয় গুলো বুঝতে পারবেনা। সঙ্গত কারণে সকলের জন্যই এই ক্ষুদ্র পোস্ট টি।
তবুও ধর্ম বিষয়ক যে কোন লেখায় আমরা যেন চরম সতর্ক হয়ে কমেন্ট করি এটি আমার চাওয়া। কেননা ব্যক্তি রাগ কিংবা ধর্ম ব্যবসায়ীর স্বরূপ প্রকাশ কিংবা তাকে প্রতিহত করতে গিয়ে যেন কোন ভাবেই ধর্মকে আমরা অবজ্ঞা না করে ফেলি। কেননা মনের অজান্তেই হয়তো আমরা আল্লার সমকক্ষ কিংবা ধর্মের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখছি।
ভালো থাকুন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেনঃ
আপনার মূল্যায়ন যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত। আপনাকে অভিনন্দন জানাই।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান খুব বেশি নেই স্যার।
তবুও আপনার কমেন্ট টি আমার জন্য পরম পাওয়া।
আগামীতে আবারো ধর্ম বিষয়ক পোস্ট লিখতে সাহস পাবো।
ভালো থাকবেন।
আকাশের তারাগুলি বলেছেনঃ
[১৪ নম্বর মন্তব্যে ব্লগার আকাশের তারাগুলি’র অনুরোধে মন্তব্যটি মুছে দেয়া হলো। একই সাথে জানানো যাচ্ছে, ব্লগে ভিন্ন দু’টি পোস্টে মোসাদ্দিক উজ্জ্বল নামে অতিথি মন্তব্য প্রদান করা হয়, যা অপ্রকাশিত রাখা হয়েছে: ব্লগ টিম]
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
আকাশের তারা-
আমি বুঝতে পারছিনা আপনার কমেন্ট অ নিবন্ধিতর মত হয়ে গেল কেন?
লগ ইন হয়ে কমেন্ট করলেন নাকি অতিথি হয়ে কমেন্ট করলেন?
ম, সাহিদ বলেছেনঃ
এরকম কিছু একটা লিখবো বলে স্থির করেছিলাম,যাই হোক উজ্জল ভাইয়ের লেখাটি দেখে খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ সময়পোযোগী সুন্দর একটি পোষ্ট প্রদানের জন্য। আমার অনেক কথা বলার ইচ্ছা ছিল যা এই পোষ্টের মাধ্যমে সবার সামনে অত্যান্ত গোছানো ভাবে এসেছ। আমি খেয়াল করেছি এই ব্লগে যারা লেখেন তাদের বেশিরভাগ ব্লগারই চান ব্লগের পরিবেশ যেন সুন্দর ও সাবলিল থাকে। তবে দু একজন যে এর ব্যাতিক্রম না তাও ঠিক নয়। তবে আমি আশাবাদি,সুন্দরের ভিরে অসুন্দর হরিয়ে যাবে আর বিডি ব্লগ হয়ে উঠবে সিটিজেন জার্নলিজমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং স্বাধীন মত প্রকাশের সবুজ জমিন।।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
ম, সাহিদ
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুস্থ হয়েছেন তো?
ভালো থাকুন।
বিবেকহীন বলেছেনঃ
আপনার মূল্যায়ন কিছু অংশ অযথার্থ ও অযৌক্তিক। “মানব জীবনে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই ছিল”- বাক্যটা একবারেই অযৌক্তিক ও কিছু সন্দেহবাদীদের সন্দেহ উদ্রেককারী কথা। আল্লাহ মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে মানুষই সেরা এইজন্যে যে সৃষ্ট মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকে সর্বোত্তমভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, আর দেয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার কারনে দুনিয়াবী দিক থেকে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আপেক্ষিক বিষয়। ধর্মটা তাদের কাছেই প্রয়োজনীয়, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী ও দুনিয়াতে কম-বেশি শান্তিতে থাকার পাশাপাশি পারোলৌকিক মুক্তির আশা করেন। এখানে “ছিলো” বলার কোন সুযোগ নেই, হয় “আছে” অথবা “নেই”। শুধুমাত্র মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে, ইসলামের আবির্ভাবের পর অন্য ঐশী ধর্ম গুলোর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে।
অন্যান্য অনেক দেশ থেকে, এমনকি উদার ও কথিত ধর্মনিরপেক্ষ অনেক রাষ্ট্রের থেকে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থা অনেক ভালো, দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো। কিন্তু এখনও এখানে দুটি প্রধান ধর্মের অনুসারীদের একটা অংশের (হিন্দু ও মুসলমান) মধ্যে কিছুটা সন্দেহ ও অবিশ্বাস কাজ করে, যেটার কারন দীর্ঘ সময় ধরে এ অঞ্চলের মানুষ উপনিবেশ হিসেবে শোষিত ও বিভক্ত হয়েছে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সচেতনতার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে গিয়েছিলো। যতটা সময় যাচ্ছে, ততই সচেতনতা বাড়ছে আর সন্দেহ আর অবিশ্বাস কমছে।
জঙ্গীদের মূল উত্থান ঘটে বিগত আওয়ামীলীগের আমলে, উদিচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মাধ্যমে। আশ্চার্যের বিষয় হচ্ছে সেসময় সরকার এসব জঙ্গীগোষ্ঠীর তেমন কোন হদিস বের করতে। স্বাধীনতার পর থেকেই আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তাদের ব্যর্থতা রীতিমত ধারাবাহিক ছিলো। এসব হামলার সমাধান না করে উল্টো এসবকে রাজনৈতিক ফায়দালাভের সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে এই দলটি। ধারনা করা হয় আবদুর রহমান যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মির্জা আজমের আপন ভগ্নিপতি হওয়ায় ও দুর্নামের ভয়ে সেসময় তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যপারে আওয়ামীলীগ চেপে গিয়েছিলো। তার উপর সীমান্তের ওপার থেকেও এসব জঙ্গীগোষ্ঠীর সাহায্য পাওয়ার (আর্জেস গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম) অনেক প্রমাণ পরবর্তী বিএনপি সরকারের সময় প্রকাশিত হয়, যেটা পূর্ববর্তী আওয়ামী সরকার চেপে যায়। গ্রেফতারকৃত জঙ্গীদের ভাষ্য অনুযায়ী এটাও বেরিয়ে আসে যে, সীমান্তের ওপার থেকে এদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরঞ্জামাদি দেয়া হত আর জঙ্গীরা নিজেদের উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করতো। যাইহোক, বিগত বিএনপি সরকারের শুরুতে উত্তরাঞ্চলে বামপন্থী জঙ্গী সংগঠন বিরুদ্ধে এসব জঙ্গী সংগঠন কাজ করলে (বাংলা ভাই), সেখানকার প্রশাসন থেকে অনেকটা নাবুঝেই এদের পরোক্ষ সহযোগীতা দেয়া হয়। কিন্তু এদের সাথে জঙ্গীগোষ্ঠীর শেকড়ের সম্পর্ক বুঝতে পেরে বিএনপি সরকার তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেয়, যার ফলসরূপ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া আগেই মূল শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব হয়। এসব জঙ্গীদের কয়েকজন পূর্বে জামাতের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসলে জামাত দাবী করে যে, তাদের কে আগেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়।
ধর্ম নিয়ে বা এর রাজনৈতিক ইম্প্লিমেন্টেশন নিয়ে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলার কিছু বাড়া-বাড়ি থাকলে ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে আওয়ামীলীগের ধর্মের ব্যবহার ও দলীয়নীতি বিরোধী আচরনটা ছিলো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। নির্বাচন উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ সাজা, রাতের আধারে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলার সাথে নির্বাচনী চুক্তি করা, যাদের কারো কারো জঙ্গী কানেকশন ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নিজেই দাবী করে আসছিলো।
আর ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বিদ্বেষমূলক আচরন মূলত দুটি কারনে হয়ে থাকে। প্রথমত ব্লগকে জনপ্রিয় আলোচনার মধ্যে নিয়ে আসা, দ্বিতীয়ত কথিত ধর্মনিরপক্ষতার পক্ষে প্রচারনা চালানো।
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
বিবেকহীন-
সু কৌশলে আমার পরের লাইনটি এড়িয়ে গিয়েছেন। আপনি বলেছেন-
কিন্তু আমি পরে একটি লাইন বলেছি-
এই লাইন টি আপনি এড়িয়ে গেলেন কেন?
স্পষ্ট প্রতীয়মান বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা এটি।
আর আমার এই লেখায় শুধু ইসলাম কে নিয়েই থিম টি বলা হয়নি। কাজেই আপনার পরকালের মুক্তি একমাত্র ইসলাম ছাড়া বাকি কেউ মানবেনা।
কাজেই যেই কথা বলছিলাম ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি আবার ও শুরু করে দিলেন।
এবার আপনি ধান বানতে শিবের গীত গাইলেন-
আমি বোল্ড করে দিয়েছি লাইন গুলো। যেই গুলো এই লেখার সাথে যায়না। কাজেই অবান্তর বিষয় নিয়ে আলোচনা না করা শ্রেয়।
আমি বলেছি
প্রসঙ্গের ভিতর আলোচনা করুন।
বিগত আওয়ামীলীগ এর সময়কালীন যে জঙ্গি হামলার কথা আপনি বললেন সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে ২০০১-২০০৬ এর জোট সরকারের সময়কালীন জঙ্গি হামলা গুলো ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এবং জঙ্গি হামলা গুলোতে রীতিমত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ক্ষেপে গিয়েছিল। আর এই নিয়ে কম ধাকল যায়নি তৎকালীন সরকারের।
আপনি বলেছেন-
যদি দল থেকে বহিস্কার করে জামাত মুক্তি পেতে পারে তবে মির্জা আজম তার ভগ্নি পতির দায় কেন নিতে যাবে?
আপনি তো মানতে নারাজ আওয়ামীলীগের কেউ ধর্মপ্রাণ নয়। কাজেই এই কথা বলেছেন-
এই ব্যাপারে আওয়ামীলীগ ও জামাতের বিষয় গুলো লেখার মাঝে বলেছি। কাজেই পুনরায় আবার রিপিট কি করবো?
জামাত মনে করে তারাই একমাত্র ধর্মের কাজ করে। এই দেশে তারাই কেবল আল্লা ওয়ালা ব্যক্তি। কিন্তু তারাই এটি বলে। অন্য কেউ নয়।
ওই যে নিউটন আমার ভাই- আমি কই সে কয় না।
আপনার এই কথাটির গ্রহন যোগ্য সূত্র দেন-
এটি ভাল বলতে পারবে ব্লগার, পাঠক এবং ব্লগ টিম।
যারা মনে করেন ব্লগ ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে প্রচার চালায়, তাদের সেই ব্লগে না আসা ভাল। কেননা যারা ধর্ম নিয়ে প্রচুর ভাবুক তাদের জন্য অনেক ব্লগ সাইট আছে। আর ব্লগ টিম যদি এমন টি করে তবে সেই ধর্ম ভিরু বা অতি বাড়াবাড়ি ধর্ম বিশারদ গন কি কোন ভাবেই পারবেন ব্লগে ব্লগিং করতে?
কাজেই মুক্ত চিন্তা আর সকল ধর্মের মানুষদের জন্যই এই ব্লগ। এই ব্লগ কখনো বিশেষ ধর্মের পক্ষে প্রচার বা বিশেষ গোষ্ঠী কে নিয়ে ব্লগিং করবেনা।
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
🙄
বিবেকহীন বলেছেনঃ
কৌশল কে করছে সেটা যারা পড়ছে তারা ঠিকই বুঝছে।
– একটা লাইন বেশি ধরে বরং আমার কথাটা আরও বেশি প্রমাণ করলেন। আপনার একথার মানে দাড়ায়, ধর্মের প্রয়োজন আগে থাকলেও বংশানুক্রমে সেটা প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে বরং রীতি-রেওয়াজ আর পদবীতে পরিনত হয়েছে। মুসলমান মাত্রেই ইসলামকে এধরনের প্রাচীন কালচার আর পদবী সর্বস্ব ধর্ম মনে করার কোন সুযোগ নাই, বরং বিশ্বাস করতে হবে যে এটা পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান। এ ব্যাপারে মুসলমান কি অমুসলমান কারোই ভুল বোঝার বা কৌশল করার কোন সুযোগ নাই।
আওয়ামীলীগের সময়কার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ও অপরিকল্পিত ঘটনা বলার কি কারন থাকতে পারে, যেখানে স্বয়ং আওয়ামীলীগ-বুদ্ধিজীবি-লেখক-সাংবাদিকরা থেকে শুরু করে শিল্পীগোষ্ঠীরা এটাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত মৌলবাদী হামলা বলে সাথে সাথেই রায় দিয়ে দিয়েছিলেন, যদিও এর কোন সুরাহা তারা তখন করতে পারেন নাই। যতক্ষন পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ব্যাখ্যা না করছে যে, সে সময় জঙ্গীদের হামলা হয়েছে জেনেও এর ব্যবস্থা নিতে কেন ব্যর্থ হয়েছিলো, ততক্ষন পর্যন্ত এর যৌক্তিক যেকোন ব্যাখ্যাই মানুষ ধরে নিবে (এমনিতেও আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি ছিলো জঘন্য)। আর পরে বিএনপির সরকারের আমলেতো জানাই গেছে কারা, কিভাবে এ হামলাগুলো হয়েছে। স্বয়ং প্রথম আলোতে হামলাকারীদের বক্তব্য থেকে পুরো একশনের বিষয়টি লীড-নিউজে কল্পিত ছবি সহকারে বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছিলো। এটাকে বিচ্ছিন্ন-অপরিকল্পিত বলাটা অন্ধ আর গোঁয়ার আওয়ামীলীগারদের পক্ষেই কেবল সম্ভব। আর বিগত আওয়ামীলীগের সময় একটা নয়, আরো কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে যেটাকে সে সময়ের সরকার পক্ষ থেকে ধর্মীয় জঙ্গীগোষ্ঠীর হামলা বলে দাবী করা হয়েছিলো। এমনকি জঙ্গী হামলায় আহত-নিহতের সংখ্যাও আওয়ামী আমলেই বেশী ছিলো। “বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ক্ষেপে গিয়েছিলো” এধরনের বিষয়কেই মিডিয়ার সহযোগীতায় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার একটা অংশ বলে বুঝাতে চাইছিলাম। যারা এত নিকটের ইতিহাস ভুলে যায়, তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা কি সম্ভব?
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
আপনি পুরো লেখার মাত্র ২০ ভাগ জায়গা নিয়ে বার বার চুলকানো শুরু করছেন কেন? আমার পুরো ফোকাস টি কোন দিকে? এটি কি বুঝেন ?
পায় পাড়া দিয়ে ক্যাচাল করলে তো করা যায়।
আর ক্যাচালে আমি আবার পারদর্শী ( প্রয়োজনে)
আমার মূল বিষয় হচ্ছে ব্লগে ধর্ম বিষয়ক পোস্টে কমেন্ট নিয়ে। আর সেই সাথে ইসলাম ও তার বিদ্বেষ নিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা। সেই সাথে ন্যাকেড ব্লগিং এর ( ধর্ম নিয়ে যারা অশ্লীল কমেন্ট করে) বিষয়টি বলতে চেয়েছি।
তবে আপনি নিজেকে অত্যাধিক ধার্মিক হিসাবে পরোক্ষ ভাবে নিজেকে প্রভাবিত করছেন। তবে আগেই বলেছি। ধর্মান্ধ আমি নই। আর আমি জানি কি করতে হবে।
আর এই লেখায় একজন কমেন্ট করেছেন। তিনি নিজেও একজন ডঃ। সে বলেছেন-
এখন বলুন উনি কি আপনার চাইতে কম জানলে ওয়ালা? নাকি আপনার কাছে তার ধর্ম জ্ঞান অতি তুচ্ছ?
এই লেখায় একটি জায়গাতে জামাত কে কালার করেছি।
সমস্যা ওই খানে, তাইনা?
iqbal বলেছেনঃ
মানুষের বিবেকই “ঘুনেধরা”– ‘ধর্ম চিরন্তন’। “নিজেদের প্রয়োজনে”— ভন্ডরা কোন কোন অংশকে গুরুত্বপুর্ণ অথবা গুরুত্বহীন মনে করে; আর যোগ-বিয়োগ করে। “বিধাতার” বিধান সুষম এবং সমগুরুত্বের। যেটুকু যার বুঝের বাইরে– সেটুকু তার নিকট অযৌক্তিক।
আলী আকবর বলেছেনঃ
চুরি-ডাকাতি আর খুন-ধর্ষণ থেকে রাষ্ট্র্রীয় দূর্ণীতি পর্যন্ত, বেশ কিছু কর্মকান্ড যে অপরাধ, তা’ কিছু মানুষের বুঝে আসে না– তাই বলে, সে সব কর্মকান্ড ‘গ্রহনযোগ্য’ হয়ে যায় না। তেমনি ভাবে, ধর্মও কিছু মানুষের বুঝে আসে না বলে; তা’ ‘বাতিলযোগ্য’ হয়ে পড়ে না। যে বিষয়ে, যে মানুষ মানসিক বিকলাঙ্গতায় ভোগে, সে বিষয়টি তার বুঝে আসে না বলেই কী তা’ সবার জন্য ‘তদ্রূপ’ হবে? কিছু ছাত্র অংক বুঝে না বলে তো সব ছাত্রের জন্যই তা’ বাতিল বা অযৌক্তিক হতে পারে না। তা’ছাড়া, “ধর্ম” সর্বদাই অপরাধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বলে; অপরাধ-প্রবণ মানুষেরা ‘ধর্ম-বিদ্বেষী’-ই হয়ে থাকে।
বর্তমান বিশ্ব-পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে, স্পষ্ট ভাবেই বোঝা যাবে যে, ‘ধর্ম-বিদ্বেষীরা’-ই নানান সংগঠনের(?) নেপথ্যে থেকে, “‘ধর্মপ্রাণ'” মানুষগনকে ব্যবহার করেই ‘ধর্মীয়’ ব্যবস্থায় ‘কালিমা লেপন’ করে তা’ অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে [(ধর্মপ্রাণ ও ধার্মিক সমার্থক নয়)]। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, আমেরিকাই তালেবান/হাক্কানী ইত্যাকার সংগঠনের নেপথ্য স্রষ্টা; অথচ, আজ তালেবান/হাক্কানী হত্যার নামে, ‘”ধর্মপ্রাণ'” ও ‘”ধার্মিক'” সবাইকে হত্যা করে, তার আধিপত্য বিস্তারের “স্বপ্ন” বাস্তবায়নে উন্মত্ত। সকল ধর্মই ষড়যন্ত্রের শিকার আর ‘”ধর্মপ্রাণ'” মানুষকে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘ধর্মপ্রাণ’ ও ‘ধার্মিক’, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ‘নির্ভীক’। তাই, নির্ভয়ে অপরাধ করতে হলে, সমাজ থেকে ‘তাঁদেরকে’ সরানোর বিকল্প এখনও পায়নি। তাই, ‘ধর্মপ্রাণ’ মানুষগনের উচিত, সংগঠনের ‘নেতৃত্বদাতাদের’ ব্যক্তিগত চরিত্র গোপনে পর্যবেক্ষণ করা এবং দেশে-বিদেশে কা’দের সাথে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক রাখে, তা’ নজরে রাখা। [কাউকে চিনতে হ’লে, তার বন্ধুকে চিনো]। [চোরে চোরে মাশতুতো ভাই]।
স্বাধীন বাংলা বলেছেনঃ
বিবেকহীন-
যার নামে বিবেক শব্দ নেই তার বিবেক থাকবেনা। এটাই স্বাভাবিক। এই মানুষটি মূল বিষয় এর বাইরে গিয়ে অফ টপিক নিয়ে ফালা ফালি করছে। যেটি দেখে আমার ছোট্ট ছেলেটি ও হাসছে। 😛 😛 😆 😆 😆
এই লেখার মূল বিষয় কিন্তু ধর্ম নয়। ধর্মীয় হলেও উদ্দেশ্য অন্য খানে। আর বিবেক বর্জিত অন্ধ ধর্মের অনুসারি বিবেকহীন আসলেই লেখাটির মূল সার বুঝতে না পেরেই ধর্ম কে কোড করে লেখকের সেই ন্যাকেড ব্লগিং কথাটির মত কমেন্ট করে যাচ্ছেন।
এত টুকু বোধ নেই যে এই লেখাটি কেবল মুছলমান দের জন্য নয়।
অন্য ধর্মের কথা ও কিছু বলা হয়েছে।
না বুঝলে শিকার করেন। পিঠ দিয়ে হাটা যায় কি?
জাফিউল মাহমুদ বলেছেনঃ
সুরুতএ ভাবসিলাম ভালো কিসু হোবি। কিনটু পোরে ডেকলাম সেই জামাট এই লেখার মূল বিষয় কিন্তু ধর্ম নয়। ধর্মীয় হলেও উদ্দেশ্য অন্য খানে। হাইরে রাজনিটি…………….
মোসাদ্দিক উজ্জ্বল বলেছেনঃ
জি জাফিউল-
জামাতের ব্যাপারে বললেই রাজনীতি হয়ে যায় তাইনা?
আর এটি ধর্ম নিয়ে লেখা এটি কে বলেছে আপনাকে?
মূল বিষয় গুলো আরও ব্যাপক।
ধর্ম কেবল মনে হয় জামাত ই করে?
কেউ যখন দোষ ধরছেনা তখন কেবল জামাতিরা ই দোষ ধরছে।
হাহা- তীর টি ঐদিকে তাক করা তো আছেই। তবে সত্য জিনিস এর প্রতি তাক করলে ফোকাস টি সেই দিকেই যাই বৈকি।
আর তাতে অনেকের চোখে জ্বালা ধরে।
😆 😆 😆
আকাশের তারাগুলি বলেছেনঃ
ব্লগপোষক, অনিবন্ধিত আকারে আমার আইডিতে কমেন্ট খানা আমার নয় কোন ভাবেই।
অনুগ্রহ করে ঐ কমেন্টি মুছে দিবেন। আমি এখন মাত্র এই পোস্টে ঢুকলাম।
অনুগ্রহ করে অনিবন্ধিত ভাবে আমার নামের কোন কমেন্ট রিলিজ দিবেন না।
উজ্জল ভাইয়ের সাথে আমার দ্বিমত আছে। সুমনদের চালাকি কে সাদামাটা চোখে দেখলে হবে কেন? এই যেমন সাইদির কথাই ধরি, ইসলামের নামে অয়াজ করে এর এক অংশে থাকে আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কুৎসা রটানো। সুমন রা সেখান থেকেই এসব রপ্ত করেচে। এই ধূর্তরা এভাবে সাধারণ মানুষের সুযোগ নেয়। সিম্প্যাথি আদায় করে।
এটাই হল ধর্মের নামে রাজনীতি ব্যবসা, এসব বন্ধ করা উচিৎ।
ভালো থাকবেন।
আকাশের তারাগুলি বলেছেনঃ
আরেকটা কথা আপনার পোস্টে চান্তারা সহ ছবি দেয়া আছে একটু খোলাসা করবেন ব্যাপারটি। চান্তারা মানে কি বুঝান হয়!
স্বপ্ন আর আমি বলেছেনঃ
সুমন, ফজলু, ফায়েজ, আন্ধা বাসিন্দা, বিবেকহীন এরা একি গুরুর মুরিদ। তাদের কৌশল ধরে ফেলেছে অনেকেই। তবে লেখকের এই লেখার সাথে আমি একমত যে ধর্মের ব্যাপারে অশ্লীল কমেন্ট না করা।
তবে দেখা গেল কিছু মুরিদ রা মূল বিষয় গুলো না বুঝেই জামাত নিয়ে ফালা ফালি করছে। মগবাজারের ছাগুদের দৌড় ওই পর্যন্ত। এত বড় একটি লেখায় জামাত এসেছে মাত্র কয়েক লাইন। আর সেটি ইস্যু বানাচ্ছে বিবেকহীন।
জামাত এর বিরুদ্ধে লিখলেই এদের বাই ব্যারাম ওঠে।
জাফিউল মাহমুদ বলেছেনঃ
হা হা হা আমারেও জামাটি বানালো। খোলা মোনে কিসু বোলাও জাবেনা। কিসু বোললেই হোয় জামাট নোয় আ্বামিলিগ। হাইরে বলোগ, হাইরে ডেশ। আসোলেয় দেসে ডুই পরোকার মানুস ১ আ্বামিলিগ ২ বিআনপি/জামাট
Khalid Hossain বলেছেনঃ
আকাশের তারাগুলিকে বলছি
চান্তারা বলতে কি আপনি চাঁদ ও তাঁরাকে বুঝিয়েছেন। যদি তাই হয় তবে লেখক শুধু চাঁদ তাঁরার ছবিই দেননি সেখানে ক্রুশ ওঁ এবং আরও কিছু ধর্মের চিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে। কিছু লেখার আগে দেখে নেওয়াটা উত্তম। ভাল থাকবেন