ডোল্যান্সার ডটকম

জাফর
Published : 18 May 2012, 00:41 AM
Updated : 18 May 2012, 00:41 AM

ডোল্যান্সার ডটকম ক্যালিফোর্নিয়ার সেক্রেটারি অব ষ্টেট কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও নিয়ন্ত্রিত আমেরিকার একটি বৃহৎ আউট সোর্সিং ও লিজিং কোম্পানি। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন হতে বাংলাদেশে আউট সোর্সিং এর ব্যবসা চালিযে যাচ্ছে। সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই কোম্পানি ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে থাকে। বেকারত্ত্বের কারণে দেশের হত-দরিদ্র লোকজন কিছু আয় উপার্জনের লক্ষ্যে অতি সহজেই কোম্পানির আউট সোর্সিং কাজে জড়িয়ে পড়েন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা ডিজিটাল নামক প্রতারণার ফাঁদে আটকা পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে থাকেন। বিষয়টি যখন তারা অনুধাবন করেন তখন তাদের কিছুই করার থাকেনা।

ডোল্যান্সারে আউট সোর্সিং কাজের জন্য ১০০(একশত)ডলারের সমপরিমান টাকা পরিশোধ করে একটি এ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এবং একজন সদস্যকে কাজ করে এই টাকা ওঠাতে প্রায় চার মাস সময় লাগে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজুহাতে ওয়েব সাইট বন্ধ রাখার কারণে টাকা ওঠাতে চার মাসেরও অধিক সময় লেগে যায়। এমনকি কোম্পানি কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে অনেক সদস্যই তাদের পরিশোধিত সমুদয় টাকা ওঠাতে সক্ষম হননা, ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো, সাইট বন্ধের ফলে সদস্যগন ক্ষতিগ্রস্হ হলেও, কোম্পানি/কোম্পানির প্রতিনিধিগণ অবশ্য লাভবান হয়ে থাকেন। তারা সদস্যদের জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করার দাবি করলেও দেশ হতে কত টাকা বিদেশে পাচার/আত্মসাৎ করা হয় তার কোন হিসাব দেন না।

প্রসংগত উল্যেখ্য যে, গত মার্চ মাসে আকস্মিকভাবে সদস্যদের এ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সদস্যদেরকে পুণরায় নতুনভাবে টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। দূ:খের বিষয়, যারা অতি সম্প্রতি এ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তাদেরকেও-তাদের পরিশোধিত টাকা আয় করার মতো সময় দেওয়া হয়নি। এভাবে সদস্যদের টাকা আত্মসাত করা নিশ্চিতভাবে প্রতারণার পর্যায়ে পড়ে এবং আমরাও এই প্রতারণার শিকার হয়েছি। এতে প্রমাণ করে যে, কোম্পানি যে পরিমান অর্থ কাজের বিনিময়ে সদস্যদের পরিশোধ করে থাকে তার চেয়ে বেশী অর্থ বিদেশে পাচার হযে যায় অধবা কারো পকেটে যায়। এই কোম্পানির কর্মকাণ্ড পরিচালনার সাথে আমাদের দেশের যারা জড়িত আছেন তারা খুবই প্রভাবশালী। তারা কাউকে তাদের মোবাইল নাম্বার কিংবা ঠিকানা জানতে দেননা। এমনকি কখনো কোন সমস্যা হলে কার্যালয়ের কারো সাথেও যোগাযোগ করা যায়না, যা রহস্যজনক।