মৃত্যুর পথে সুজন

জাহিদ ফয়সাল
Published : 28 Oct 2012, 05:14 AM
Updated : 28 Oct 2012, 05:14 AM

১৪বছরের কিশোর সুজন। পড়াশুনা করতো ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে। বাবা চান মোল্লা ফলের ব্যবসায়ী। ভালো করেই চলছিল তাদেও সংসার। সুজনরা দুই ভাই। তার মধ্যে সুজন বড়। খুব ভালো ছাত্র ছিল সে। বাবা এবং মা তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল। সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় সড়ক দূর্ঘটনায়। এই বছরের জুন মাসে ঝিনাইদাহতে এক সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্বক আহত হন সুজন।

এতে করে তার ঘাড় এবং পাঁজরে মারাত্বক জখম হয়। সেই সময় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে সুজনের ৫মাস চিকিৎসা করানো হয় । সেখানে সুজনের অবস্থার উন্নতি হয় নাই। পঙ্গু থেকে সুজনকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। এর পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে হয়। ঢাকা মেডিকেল থেকে সুজনকে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ডা.ইমরানের অধীনে সুজনের পাঁজরে অপারেশন করা হয়। সেই অপারেশন করার পরে মাত্র ৮ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে তাকে জোড় করে রিলিজ দেয়া হয়। কিন্তু এই আট দিনে সুজন সুস্থ হয়ে উঠেনি। সুজনের বাব দুই দিন মিনতি করে থাকার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুজন সহ তার মা এবং বাবাকে বের করে দেয়।

সুজনের পাঁজরে যে স্থানে অপারেশন করা হয় সেই জায়গায় ইনফেকশন হয়। পাজরের জায়গায় মাংশ আলাদা হয়ে গেছে। এই অপারেশন করার পরে সুজন স্বাভাবিক ভাবে প্রসাব করতে পারে না। তাকে পাইপের সাহায্য প্রসাব করানো হয় । বর্তমানে সুজন সারা দিন বাসায় উল্টো হয়ে শুয়ে থাকে। সুজনের বাবা চান মোল্লা বলেন, ছেলের পিছনে আমি সব টাকা খরচ করে ফেলেছি। এই পর্যন্ত ছেলের পিছনে আমার ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। তারপরেও প্রতিদিন ছেলের পিছনে ১৬০ টাকার ঔষধ দরকার । গ্রামের একটি মাত্র বাড়ি ছাড়া আমার আর কিছুই নাই। আমি এখন মানুষের কাছে টাকা হাওলাদ করে ছেলের চিকিৎসা চালাচ্ছি। চান মোল্লা আরও বলেন , আমার সুজনের জন্য দেশের বৃত্তবানদের সাহায্য চাই। তারা যদি আমার সুজনকে একটু সাহায্য করে তাহলে আমার সুজন আবার সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে এবং স্কুলে যেতে পারবে।

সৌজন্য:- এসবি