বিধবা রমিজা বনাম খুরুশকুলের বিধবা,সময়ের বিরক্তিকর শব্দ বঙ্গবন্ধু ; মেরিডিয়ান ক্ষুদে গানরাজ এবং সাংবাদিকের কাণ্ডজ্ঞান

সত্য সন্ধানী আমি
Published : 1 April 2011, 04:05 AM
Updated : 1 April 2011, 04:05 AM

১..

এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু মরহুম শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষনের এই যায়গাটুকু শুনে শরীর কেপেঁ উঠেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই নগন্য।৭১-এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর এই জ্বালাময়ী ভাষন কোটি কোটি বাংলাদেশীদের যে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এখন আমার মত আমজনতার কাছে চরম চরম বিরক্তিকর।একটা সময় কট্রর আওয়ামী বিরোধীরাও বঙ্গবন্ধু নিয়ে একটি ব্যাঙ্গ উক্তি করতে ১০০বার ভাবত।কিন্তু এখন এক সেকেন্ডও ভাবেনা।একজন মানুষকে নিয়ে রাজনীতি এমন পর্যায়ে গেছে যে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেছেন ভূমিষ্ট হয়ে প্রতিটি শিশুই চিৎকার দেয়। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো বলে চিৎকার করেন।


টুকুর আদর্শ যে বঙ্গবন্ধু ভূমিষ্টের পরই চিৎকার করে বাঙ্গালীকে জাগতে বলেছে সে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানিয়ে হচ্ছে বিধবার জমি দখল।টুকুর দেশপ্রেমিক নেতা আর কন্যার ছবি নিয়ে এমন দখল বানিজ্যে নেতার যে অপমান তা থেকে নেতাকে রক্ষা করার জন্য টুকুদের কোন পদক্ষেপ নেই আছে প্রশ্রয়।

mlnyw8Cd3pg

উপরের ছবিটির ঘটনা যখন ঘটে তার আগে মিডিয়ায় আসে এক রমিজার কথা।খুরুষকুলের বিধবার খবর একবারই দুএকটি পত্রিকায় এসেছে কিন্তু গফরগাঁওয়ের বিধবা রমিজার কথা বেশ কয়েকবারই মিডিয়াই এসেছে বেশগুরুত্ব সহকারে।কাহিনী সংক্ষেপে নিজের সর্বস্ব দিয়ে শেখ হাসিনার জন্য একটি জমি কিনেছিলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ভ্যানচালক বঙ্গবন্ধুভক্ত হাসমত আলী। সে জমিতে ঘর তুলে প্রয়াত হাসমতের স্ত্রী রমিজাকে বাড়িসহ জমি দিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা । –( বিডি নিউজ24)।

শেখ মুজিব এখন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগ কর্মী সমর্থকদের ঘুষ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।রাস্তার পাশে আমাদের একটা কুয়া আছে।কসাইরা গরু জবাইয়ের পর পেটের ময়লা ফেলে আর পাবলিক হাগুমুতু করে ভরিয়ে ফেলেছে।আম্মু অনেকদিন ধরে বলছে কুয়োটা ভরিয়ে একটা ঘর তুলে দিতে।কিন্তু টাকার অভাবে পারছিনা।ভাবছি এই সুযোগটা কাজে লাগাব।দলিল লেখক চাচার সাহায্য নিয়ে মুজিবের নামে আমার দাদা যায়গাটা ২০বছর আগে রেখে গিয়েছে সাংবাদিক বন্ধুদের দিয়ে প্রচারণা চালাব।

২..
চ্যানেল আইয়ের মেরিডিয়ান ক্ষুদে গানরাজ নিয়ে আমার একটি পোস্ট ছিল আগে।স্রেলিব্রেটি হুমায়ুন আহমদ এবং উনার যুবতী বউ শাওনের কান্ডকারখানায় মুগ্ধ (?) হয়ে লিখেছিলাম পোস্টটি ।আপনাকে সেই পোস্ট দেখার দরকার নেই শুধু একটি ভিডিও দেখুন।

http://www.youtube.com/watch?v=mlnyw8Cd3pg

পুরো ভিডিওটি ভাল করে দেখুন।আপনি হুমায়ন আহমেদও উনার যুবতী বউয়ের ভাড়াঁমীর পরই দেখবেন সেলিম চৌধুরীর প্রশ্নে পিচ্ছি মেয়েটি কি বলছে ।৯-১২বছরের একটি পিচ্ছির কাছে দেহ পূজি করে শিল্পী হওয়া মিলা শ্রদ্ধেয় মিলা

২০১০ এর পর ২০১১সালেও ক্ষুদে গানরাজ শুরু হয়ে ৩ভাগের ২ভাগ প্রায় শেষ।আর এরই মধ্যে ঘটে গেছে একটি ঘটনা।যা ঘটেছে – ফলাফল ঘোষণার আগেই মঞ্চে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজের এক প্রতিযোগী।মেরিডিয়ান-চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগীতার অন্যতম বিচারক ফেরদৌস আরা এ সম্পর্কে বলেন, 'প্রতিযোগীতার অতিরিক্ত টেনশন ক্ষুদে প্রতিযোগীরা নিতে পারছে না। তাদের মধ্যে সব সময়ই বাদ পড়ার আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর এ কারণেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।'

আফসোসের বিষয় এই ঘটনাটি যে সাংবাদিকের কারণে ব্লগে জানতে পারলাম সে সাংবাদিক দ্বিতীয়বারের মত এই অনুষ্টানে গিয়ে অতিথি হিসেবে গিয়ে ব্লগে এসে বিজ্ঞাপন দেয় – আজ প্রচারিত হবে ক্ষুদে গানরাজে প্রতিযোগী সেন্সলেস হওয়ার পর্বটি .. ২য়বারের মত অতিথি হয়ে গেছি ।সাংবাদিকের কান্ডজ্ঞান নিয়ে কমেন্ট করায় আমি হয়ে যায় শিবির এবং ব্লক!!গতপোস্টে বলেছিলাম হাসিনা-খালেদার পা চাঠার জন্য আছে একপাল শুয়োর যারা সংসদে গিয়ে হাসিনা-খালেদার পা চামচামীর প্রতিযোগিতায় মুজিব-জিয়ার কাপনের কাপড় নিয়ে টানাটানি করে।আজ বলছি দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে পত্রিকা আর টেলিভিশন খুলে একপাল অযোগ্যদের মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে।যাদের মানসিকতা রাজনীতিবিদদেরই মত।যাদের কাছে টেলিভিশনে নিজের খোমা দেখিয়ে ভেটকানোর নামই সাংবাদিকতা।

ক্ষুদে গানরাজ যে বাংলাদেশে কি প্রভাব ফেলেছে তার কিছু নমুনা দেখুন।
http://www.youtube.com/watch?v=obkyN8HylyE
ইভটিজিং নিয়ে কত চিৎকার দেখুন বিনোদন দুনিয়ার অবস্থা ।কি শিখবে এইসব ভিডিও দেখে শিশুরা?
http://www.youtube.com/watch?v=IBJx2Q2UcP8

আমাদের আগামী প্রজম্মকে আমাদেরই বাচাঁতে হবে ।আর কতদিন রাজনীতিবিদদের চামচা হেয় থাকব?ব্লগে পোস্ট দিলে প্রায় সবাই সহমত জানায় সচেতন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ দেয়।কিন্তু কি লাভ আমাদের সচেতনতার?যে সচেতনতা আমাদের সমাজের অনাচার,আমাদের সংস্কৃতির ধ্বংস ঠেকাতে পারছে না সে সচেতনতা কি অর্থহীন নয়?বাস্তব সত্যি হচ্ছে আমরা সচেতন।সবই বুঝি ।কিন্তু আমরা শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার আচঁল থেকে বের করে আনতে পারিনি আমাদের সচেতনতা।ভারত-পাকিস্তান দুটি শত্রু দেশ একসাথে বসে খেলা দেখে আর আমরা হাজার হাজার মাইল দুরে বসে কে পাকিস্তান সাপোর্ট করা মানেই রাজাকার,ভারত সাপোর্ট করা মানেই ভারতের দালাল এসব নিয়ে একজন আরেকজনের দেশপ্রেম হরণ করি।মিডেলইস্টে বাংলাদেশী মানেই চোর, বদমাইশ,ইউরোপে বাংলাদেশ মানেই ক্ষুধা, দারিদ্যপীড়িত একটি দেশ যে দেশ গুণীজনদের সম্মান করতে জানেনা।