সাংবাদিক খুনের তালিকা বড় হচ্ছে, আর কতো সাংবাদিক খুন হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে?

আবু আলী
Published : 17 June 2012, 05:57 AM
Updated : 17 June 2012, 05:57 AM

পবিত্র পেশা হিসেবেই সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু চারদিকে আজ কিসের শব্দ। শুধু নির্যাতনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। খুনের মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় সেটি নয়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা খুন করছে, কিন্তু এর কোনও ধরণের ক্লু বের করতে পারছে না পুলিশ।

আরেকদিন কথা হলো আমার এক সহকর্মীর সঙ্গে। তিনি আমাকে বললেন, সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ে সাংবাদিকতা করতে এসেছি। কিন্তু মনে হয়, এ পবিত্র পেশায় বেশি দিন থাকা যাবে না। স্বাভাবিকভাবে সংবাদকর্মীদের খুন করা হচ্ছে। কিন্তু এর কোনও বিচার হচ্ছে না।

একইসঙ্গে আমার সেই সাংবাদিক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করে, কেন খুন করা হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। তারা সত্য প্রকাশ করে তাই হত্যা!!!!!!!। কিন্তু এর কোন প্রতিকার নেই বলে হতাশা প্রকাশ করেছে।

আজ এই মুহূর্তে দরকার সংবাদকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের। সেটিও দেখা গেছে আমাদের দুই ধারায় বিভক্ত সাংবাদিক ফোরামের কিন্তু কই? এ সমস্যার সমাধান নেই। বরং খুনের তালিকায় আরেকটি নাম যোগ হয়েছে। তিনি যশোরের সাংবাদিক জামাল উদ্দিন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছরে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী, ফরহাদ খাঁ দম্পতি, এনটিভির ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।

এই তালিকা আর কতো লম্বা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চোখ খুলবে। এতো, হত্যা, গুম নির্যাতন এরপরও কি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা আগের চেয়ে ভালো?

আজ সাংবাদি নির্যাতন পান্তা ভাতের মতো হয়ে গেছে। বিরোধী দলীয় নেত্রীর ছবি তোলার সময় সরকারের সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হলেন এনটিভির ক্যামেরা পারসন। কোর্টে সংবাদ সংগ্রহের সময় পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মী। কিন্তু কই এর প্রতিকার নেই।

বেড রুমে খুন হলেন আমাদের প্রিয় সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত মাসে প্রথম আলোর তিনজন ফটোসাংবাদিক পুলিশের হাতে নির্যাতিত হন। গত মাসে শুধু রাজধানীতেই নয়জন এবং ঢাকার বাইরে তিনজন সাংবাদিক পুলিশ ও সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

গত ৭ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পরও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। এ নির্যাতন আর কতদিন চলবে মাননীয় মন্ত্রী।