একজন সিইও’র কাণ্ড

আবু আলী
Published : 23 May 2012, 03:26 PM
Updated : 23 May 2012, 03:26 PM

তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কিছু দিন আগে তিনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি হিসেবে উচ্চতর প্রশিক্ষণের নামে আমেরিকায় যান। ওই প্রশিক্ষণ বাবদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের খরচ হয় ১২ লাখ টাকা। কিন্তু প্রশিক্ষণের নামে তিনি আমেরিকা ভ্রমনই করলেন, কিন্তু প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেননি।

ইউনাইটেড এস্টেট সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের উদ্যোগে আয়োজিত 'অ্যানুয়াল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটজ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট' এর উপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগদানের নামে আরেমিকা সফর করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সূত্রে জানা গেছে, ১২ দিনের কর্মসূচিতে নামমাত্র যোগদিয়েই তিনি কোনও ক্লাসে অংশ নেননি।

তিনি শুধু প্রথম ক্লাসে অংশ নিয়ে শেষ করলেন পুরো কোর্স। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোশাররফ হোসেনের মনে ছিল না, ওই কোর্সে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দুই জন সদস্য এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একজন পরিচালকও অংশ নিয়েছিলেন। তারা তিনজনই সব ক্লাস করলেন, কিন্তু তিনি করলেন না। এ বিষয়ে আমরা রিপোর্ট করলাম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাকে বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে এ বিষয়ে বোর্ডের কাছে কোনও জবাব দেননি তিনি।

এরপর আরেক কাণ্ড করে বসলেন তিনি। আজ বুধবার সকালে হঠাৎ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং বিভাগের এজিএম এজিএম নিজাম উদ্দিন আহমেদকে গালমন্দ করেন। পরবর্তীতে নিজাম উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। এ বিষয়ে নিজাম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, পদত্যাগের বিষয়ে কোনও কারণ উল্লেখ করিনি। তিনি জানান অভ্যান্তরীন কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

এ বিষয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গালমন্দের কথা স্বীকার করে বলেন, কোন কাজের জন্য গালমন্দ করতেই পারি। উল্লেখ্য, নিজাম উদ্দিন আহমেদ ২০০৯ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সিনিয়র এক্সিকিউকিভ হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি লিস্টিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন।