দলীয়করন কি এবং কত প্রকার তাহা দেখে নিন ও শিখে নিন

মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি
Published : 3 July 2012, 07:57 AM
Updated : 3 July 2012, 07:57 AM

আমাদের সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথেই নতুন করকারের মুখে শুনতে পাই যে আগের সরকার এমনভাবে দলীয়করন করে গেছে তাতে ওনারা দেশ চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন।আবার বিরোধিদল বলে থাকেন যে বর্তমান সরকার সব কিছুকে দলীয়করন করে যাচ্ছেন।আমরা সাধারন জনগন রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথেই উপরস্ত কথা শুনতে শুনতে অভস্ত হয়ে গেছি।বর্তমান সরকার দলীয়করন করছে আর পুর্বের সরকার কিছুই করেনি এমন পক্ষপাতি কেন হবে? ক্ষমতায় যিনিই যাবেন নিজের সুবিধার জন্য, কাজের সুবিধার জন্য তার পছন্দের লোকদেরকে পছন্দমতো স্থান দিবেন এটাই চলে আসছে শুরু থেকে। সিনিয়রকে বাদ দিয়ে জুনিয়রকে পদোন্নতি দেওয়া, বদলি করা অপছন্দের লোককে ক্লোজ করা ,নতুন নিয়োগ দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলি সমস্ত সরকারগুলি করে এসেছে। এমন কাজ যে শুধু বর্তমান সরকার পারদর্শি ,আর পুর্বের সরকার ধোয়া তুলসিপাতা এমটি অনন্ত বাংলাদেশের কালচারে বলার কোন অবকাশ নাই। তবে হ্যা কারা এমন নিয়মনিতি বিসর্জন দেয় এমন কাজ করছে এই ব্যাপারে তর্ক করা যাবে কিন্তু এর কোন সমাধান খুজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী বার বার অনেকগুলি কথা বলতে শুনা যায় ,আগের সরকার এমন দলীয়করন করে গেছেন যে আমার পক্ষে সঠিকভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে ।এমন কথা শুনলে সংগত কারনেই মনের ভিতর প্রশ্ন জাগে যে তাহা হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রি পুরাতন সেই অপবাদকে জলান্জলি দিয়ে প্রশাসনের সকলস্তরে নির্দলীয়করন করেছেন?তিনি যে নির্দলীয়করন করেছেন দেশর যে কোন লোক তাহা সহজেই বুঝতে পারেন।যেমনটি তিনি মনে করেন যে নির্দলীয়করন করেছেন তাহাহলে আগের লোকদের ওএসদি করে বর্তমানে যাদের বসাচ্ছেন তারা কারা ? এ যাবতকাল কতজন সচিব উপসচিবকে ওএসডি করা হয়েছে তাহার হিসাব আছেতো । লোকজনতো কাকের মতনা যে নিজের চোখ বন্ধ করে কোন কিছু লুকালো আর নিজে ভাবলো তাহার এই লুকোচুরি বুঝি কেউ দেখেনি?শোনা যাচ্ছে বর্তমান সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলীয়করন করছে যাতে সাধারন লোকজন এর বিন্দুমাত্র না বুঝতে পারে। তারপরেও লোকজন যে তাদের লুকোচুরি বুঝে ফেলতেছে তাহা ওনারা পরে জানতে পারেন।এ সরকারের দলীয়করনএর মারাত্বক রুপ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও বিচারপতিদের দলীয়করন করা। সংসদে একচেটিয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নির্বাচন কমিশন নিজের পকেটে ,আবার বিচার বিভাগ যদি নিজেদের অস্থাভাজন হয় তাহহলে তো আর কোন কথাই নাই , ওনারা ইচ্ছামতন দলিয়করন করবেন ,নির্দলীয়করন করবেন তাতে কারোর মতামতের কোন দরকার নাই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বর্তমান সরকারের যে ডিজিটাল আক্রমন তাতে নির্বাচন কমিশনকে এবং উচ্চ আদালতকে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যাবহার করছে।১৯৭২ সালের প্রবর্তিত ৫ম সংশোধনীটাই হলো তাদের ধারালো অস্র যাহা ব্যাবহার করছে বিরোধিদলকে ঠেংগানোর জন্য। স্বাভাবিক ভাবেই জনমনে প্রশ্নজাগে যে সরকার এই সংকীর্ন এবং হীন রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের সংবিধানিক প্রতিষ্টান সুপ্রিম কোন এবং নির্বাচন কমিশনকে কেন ব্যাবহার করছেন? সচেতন যেই কোন নাগরিক একমত হবেন যে নির্বাচন কমিশন এব সুপ্রিম কোট যদি পর্দার আড়ালের কারোর ইশারায় পরিচালিত হয় তা আমাদের জাতির জন্য বড়ই পরিতাপের বিষয়।

এক রাজার মেয়ের নাকি বক্তব্য ছিল আমার প্রশ্নের উত্তর যে দিতে পারবে আমি তাকে বিবাহ করবো , কথামত রাজা ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজ্যে ঘোষনা দিলেন তার মেয়ের মনের বান্চনার কথা। হাজার হাজার যুবক রাজার মেয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যার্থ হয়েছে। অবশেষে এক ছাগলের রাখাল ইন্টারভিউ দিতে মনোস্থির করলো।হাজার হাজার লোকজন অপেক্ষায় আছে কে জানি রাজকুমারিকে প্রশ্নের উত্তরের সঠিক জবাব দিতে পারে,ছাগলের রাখাল বেরিয়ে এসে বলল আমি পাশ করেছি । রাজার মেয়ে বেরিয়ে এসে বলল আমি ১টি আংগুল দেখিয়েছিলাম এর অর্থ আল্লাহ কি এক ? উত্তরে সে দুইটি আংগুল দেখিয়েছে এর অর্থ হলো সে বুঝিয়েছে আল্লাহ ১ কিন্তু তার সাথে নবীও আছেন ১জন । রাজার মেয়ে ৩টি আংগুল দেখালে ছেলেটি বৃদ্ধাংগুলি দেখায়েছে এতে মেয়েটি বুঝেছে আর কেহ নাই।তাই ছেলেটি বুদ্ধিমান সে আমার যোগ্য তাই আমি তাকে বিবাহর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যদিকে লোকজন ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি বলল আমি যখন দেখলাম সে একটি আংগুল দেখানোতে বুঝেছি আমি যদি একটি ছাগল দিতে রাজি হই তবে সে আমাকে বিবাহ করবে , তাই আমি দুইট আংগুল দেখাইয়াছি ,অর্থ আমি ২টি ছাগল দিব। মেয়েটি যখন ৩টি আংগুল দেখালো আমি বুঝেছি সে তিনটি ছাগলের কথা বলছে ,আমি বৃদ্ধাংগুলি দেখাইলাম এর অর্থ আমার কাছে আর কোন ছাগল নাই।যাকে আল্লাহ যেমন বুঝার ক্ষমতা দিয়েছেন সে তেমন বুঝবে এটাই স্বাভাবিক।দলিয়করনের এক উদাহরন ,একবার আব্দুল গাফফার চেীধুরি এক মিটিংয়ে বলেছিলেন নব্য আওয়ামিলিগের যন্ত্রনায় সরকার দিশেহারা বর্তমান সরকার।সবশেষে বলতে হয় ক্ষমতার পালাবদল হয়।কেউ যদি মনে করে আজিবন ক্ষমতায় থাকবো এটা নিতান্তই বোকার স্বর্গে বাস,অবশ্য ক্ষমতায় থাকলে এমনটি ভাবতে ভালো লাগে। কোন যুবককে যদি বলা হয় তুমি বৃদ্দ হবে তখন সে কেবল মুচকি হাসে তারপরে কথাটা চরম সত্য এটা মানতে আমাদের কষ্ট হওয়া উচিত নয়।