টেলিযোগাযোগ খাতে মন্ত্রীপুত্র-কন্যারা

মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি
Published : 7 July 2012, 11:46 AM
Updated : 7 July 2012, 11:46 AM

আইনের বাধ্যবাধকতা থাকাতে এমপি-মন্ত্রী হয়ে গেটওয়ে লাইসেন্স করতে না পারলেও কৌশল কি তাদের কাছে কম আছে ? নিজেদের ছেলে-মেয়েদের নামে ঠিকই সব কিছু করে নিয়েছেন,।সাবেক রেলমন্ত্রী ও বর্তমানে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরনজিত পুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানির মালিকানা ও লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়েছিল , দুর্নীতিদমন কমিশন তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে ঐ কোম্পনির লাইসেন্স প্রথমে সুরনজিত সেনের নামে ছিল , উনি যখন মন্ত্রি হন আইনের বাধ্যবাধকতার কারনে নাম পরিবর্তন করে ওনার ছেলের নাম যুক্ত করেন।

নতুন করে আলোচনায় এসেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ,ওনার মেয়ে দুটি টেলিযোগাযোগ খাতের মালিক হওয়ার জন্য দু-দুটি কোম্পনির শেয়ার কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।

যে ক্যাটাগরির লাইসেন্স এর মালিক হতে যাচ্ছেন তার একটির নাম আইসিএক্স আন্তঃসংযোগ এক্সচেঞ্জ ,আর অপরটি আইজিডব্লিউ আন্তার্জাতিক লং ডিস্টান্স গেটওয়ে।একটি সুত্র থেকে জানা গেছে আগে থেকেই আইসিএক্সটিতে আবুল হোসেনের কন্যার শেয়ার ছিল তবে খুব কম।এখন তিনি ঐ কোম্পানির লাইসেন্সের প্রায় পুরোটি নিজের করতে চাইতেছেন। কাউকে নতুন লাইসেন্স দিবে কাকে দিবে না বিটিআরসির কাছে আগে এই ক্ষমতা থাকলেও এবার সেই ক্ষমতা মন্ত্রনালয়ের হাতে রেখেছেন। বর্তমানে বিটিআরসি শুধু ফি আদায় ও লাইসেন্স ইসুর কাজটি করে মাত্র।

এমপি-মন্ত্রীদের সরকারের সংগে থেকে ব্যবসা না করার বিধান থাকেলেও তাদের সন্তানদের বেলায় কোন নিষেধাজ্ঞা নাই , আর এই কারনে তাদের শেয়ার কিনতে কোন সমস্যা হয় না।

আগে ৮টি কোম্পনির লাইসেন্স থাকলেও এখন ৮২টি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। নতুন নীতিমালার কারনে লাইসেন্স হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারকে কোন ফি দিতে হচ্ছেনা।এই আইন হওয়ার আগে বড় অংকের ফিস দিতে হতো লাইসেন্স হস্তান্তরের ও শেয়ার বেচার ক্ষেত্রে যা এখন দিতে হয় না।কেবল মন্ত্রী পুত্র-কন্যা নয় এমপিরাও এ ক্ষেত্রে কম যাননি ।তারা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের নামে লাইসেন্স নেয়েছেন।সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর তার নামে একটি লাইসেন্স নিয়েছেন , এটির কাম তেমন শুরু হয়নি। এদিকে টেলিযোগযোগ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন একাধিক ক্যাটগরির টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স নিয়েছেন। বিডি লিংক নামে আইটিসি লাইসেন্স, ইন্টারনেট গেটওয়ে আআজির লাইসেন্স তার নাম সরাসরি রয়েছে।