পদ্মা সেতু করতে সরকার এত উদগ্রীব কেন?

মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি
Published : 11 July 2012, 06:33 PM
Updated : 11 July 2012, 06:33 PM

বাংলাদেশ সহ সারা দুনিয়াতে কিন্তু আজ একটা বিষয় এখন আলোচনা বেশ জোরেশোরে চলছে , সেটা হলো বাংলাদেমের প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী পরিষদ বর্গকে নিয়ে। বিশ্বব্যাংক দুর্নিতির প্রমান সহ দলিল পেশ করলো সরকারের কাছে ,দুর্নিতির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে , উল্টো ঘোষনা দিল নিজেদের টাকাতে পদ্মা সেতু করবেই করবে। তাহা হলে প্রশ্ন এসে যায়, বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে কি উন্নয়নের ধারা এমন উচ্চ পর্যায়ে পৌছেছে যে, পদ্মা সেতুর কারনে আরো অধিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছেনা ? সকলের ভিতর কিন্তু এই ব্যাপারে কানাঘুষা চলতেছে। সরকার সকল উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ রেখে পদ্মা সেতুর টাকা জোগাড় করতে মরিয়া হয়েছে। একটি সেতুর কাজ হওয়া না হওয়ার উপরেই কি দেশের অস্তিত্ব নির্ভর করছে ?

এ সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্টান ও অবকাঠামো যে ভাবে ভেংগে পড়েছে ,রাজধানীর রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরে উঠেছে ,গাড়ীঘোড়া চলতে হাজারো সমস্যা ,দুর্নীতি ,লুটপাট, কীভাবে হয়েছে বুঝতে কারও বাকি নাই। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরী করার কথা বলে লুটপাটের ক্ষেত্র স্মৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও দেশবাসী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন । সরকার যে ভাবে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করে, যে কোন মুলে পদ্মা সেতু নির্মানে বদ্ধপরিকর , তাতে দেশের অর্থনৈতিক-সামাজিক বিপর্যয় আরও গভীর হয়ে উঠবে বলে হুশিয়ার উচ্চারন করেছেন দেশের অর্থনৈতিক ও বিশিষ্টজনেরা।

দেশিয় অর্থায়নে সেতু নির্মানে হাত দেওয়া হলে অভ্যন্তরীন বিনিয়গ একবারে মুখ থুবড়ে পড়বে ,সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে দেশের সকল উন্নয়ন বন্ধ করে পদ্মা সেতু নির্মানের সিদ্ধান্ত ভন্ডামি না বললেও পাগলামি বলা যেতে পারে। আমরা দেশের সকল জনগন পদ্মাসেতু চাই , তবে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের বিচারের পর। এর ব্যাতিক্রম হলে পদ্মা সেতুর নামে সংগৃহীত অর্থ লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি হবে মাত্র।

এই পদ্মা সেতু বিনির্মানের সংগে দেশ ও জাতীর স্বার্থের চেয়ে অন্য স্বার্থ জড়িত বলেই কি সরকার এমন একঘুয়েমি শুরু করেছে ? ভারতের সংগে ট্রানজিট প্রশ্নটি এই এক ঘুয়েমির মুল কারন বলে অনেকে মত দিয়েছেন।