৯০০ টাকার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহেলকে প্রান দিতে হলো?

মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি
Published : 18 July 2012, 05:31 AM
Updated : 18 July 2012, 05:31 AM

ভাল উদ্দোগ সব সময় প্রশংসা পেয়ে এসেছে । ব্যাতিক্রম কিছুটা তো থাকেই , যারে দেখতে নারি-তার চলন বাকা হয় , রাজনৈতিক মতপার্থক্য তো থাকতেই হবে কারন এটা আমাদের রাজনৈতিক কালচারের অংশ। পদ্মাসেতুর বিষয় নিয়ে আর লিখতে মনে চায় না কিন্তু এমন সব বিষয় আলোচনার হেডলাইন হয়ে যায় ,যে তাহা আর না লিখলে না। বাংলাদেশ সহ এখন সারা দুনিয়ার লোকেরা কিন্তু বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর অর্থ-কেলেংকারির ঘটনা কমবেশী জানেন । এই জানা এবং পর্যবেক্ষন করাটা একান্তভাবে আমাদের সরকারের উচ্চমহলের মহত উদ্দেশ্যের অংশ হবে বলে আমার বিশ্বাস । যেখানে আমাদের অস্তিত্ব্বের সংকট দেখা দিয়েছে পদ্মা সেতুর কেলেংকারির ঘটনা ফাস হওয়ার কারনে । এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সোনার ছেলেদের হাতে খুন হলেন তাদেরই এক সহকর্মী আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেল , মাত্র ৯০০ টাকার জন্য । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের বক্তব্যে জানা গেছে , বিশ্ববিদ্যালয় চাদা উত্তলনের জন্য ওরা কিছু তালাবন্ধ বাক্স নিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও কিছু নেতা বাক্স ছাড়াই হলের বিভিন্নজনের কাছ থেকে ১২০০ টাকা কালেকশন করেন । আর ফান্ডে জমা দেন মাত্র ৩০০ টাকা । এরপর তর্ক-বিতর্ক বাক-বিতন্ডা ,গালিগালাজ ,ইটপাটকেল এবং গুলি । অবশেষে জীবন দিতে হলো আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেলকে , তার বাবার আহাজারী কে বন্ধ করবে ? সরকার ? না চাঁদাবাজরা ? আসলে ঘটনা যাই হোক না কেন , যেখানে আমাদের মতন উন্নয়নশীল দেশের উপর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের একটা পজিটিভ নজর পড়েছে , সেখানে আমাদের সকল মহলকে ,বিশেষভাবে সরকারকে এই ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে করে পদ্মা সেতু নামক এই প্রকল্পের ব্যাপারে দেশের ভিতর আর কোন বাড়াবাড়ি না হয় । চাই সেই বাড়াবাড়ি সরকারের লোকদের দ্বারা হোক আর না হয় বিরোধীদলের দ্বারা হোক । আসুন আমরা আমাদের দেশকে ভালবেসে উন্নয়নের ও অগ্রগতির বিরোধী সকল কাজকে পরিত্যাগ করি ।