সব উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, একটা অজুহাত তালাশ করার অভ্যাস পশ্চিমাসহ ইউরোপিয়ানদের প্রত্যাহিক রুটিংয়ে পরিনত হয়েছে । ওরা সকলে কিন্তু উন্নয়নশীলদের সমালোচনা করতে পারে, সেটা আভ্যন্তরিন হোক আর আন্তর্জাতিক হোক , কারন উন্নয়নশীল এই দেশগুলি কোন না কোন ভাবে উন্নত দেশগুলির মুখাপেক্ষি হওয়া লাগে । এই সুযোগটাই কিন্তু ওনারা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে কাজে লাগায় । যেমন ধরুন , মানবাধিকার বিষয়ে , সন্ত্রাস বিষয়ে বা অনিয়মের বিষয়ে খামাখা মাথা ঘামাবেই । তাদের কথাবার্তায় মনে হয় যে পশ্চিমা তথা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে কোন অনিয়ম বা দুর্নিতি হয় না , আসলে বিষয়টা কি তেমন ? নিশ্চয় বিষয়টা কিন্তু তেমন না । আমিরিকার গোয়ান্তানামোবে কারাগারের কঠিন শাস্তির বিবরন ভুক্তভোগীদের অনেকে করুনভাবে বর্ননা করেছেন । তাতে কি ? ওনারা যে দুনিয়ার মোড়ল " ওনাদের অর্থও আছে অস্রও আছে , তাইতো সকলে ওনাদেরকে ভয় করে ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে বসে , বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ,মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও ডেলিগেশন প্রদান উইলিয়াম হানা ।
ওরা আমাদের দেশের আভ্যান্তরিন বিষয়ের ব্যাপারে কথা বলে একটু খারাপ লাগে বটে ,কিন্তু বাস্তবতাই উঠে এসেছে ওদের মুল আলোচনায় । মানবাধিকার পরিস্থিতি যদি এমন ভাবে দিনকে দিন খারাপ হতে থাকে তবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের উপর এর প্রভাব পড়বে , এমনকি বাংলাদেশ তৈরী গার্মেন্টস শিল্পের ইউরোপিয়ান বাজার হারাতেও পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ।
তিনি ধারাবাহিক আলোচনায় বলেছেন শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যার এতদিন পরেও সরকার কোন কুলকিনারা করতে পারিনি, দোষিদেরকে গ্রেফতার করার অবস্থাও তৈরী করিনি । বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলি এবং তার গাড়ী চালক গুম হওয়ার দীর্ঘদিন পরেও সরকার কোন আশার বানী শুনাতে পারিনি । সাংবাদিক সাগর রুনি সহ আরো অনেক গুন খুন হচ্ছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছেনা ।