বরিশালের মেহিন্দিগন্জ থানার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন , সেই কবে থেকে নদীগর্ভে বিলিন হতে শুরু করেছে ,আজও সেটা অব্যাহত আছে । যাদের কাছে অর্থকড়ি আছে ,অনেকে ঢাকা অথবা পার্শবর্তী স্থানে স্থান্তরিত হয়েছে । আর যাদের কাছে মাথা গোজার জায়গা ব্যাতিত আর কিছুই নাই ,দিন মজুর করে যাদের সংসার চলে ,তাদের কষ্টের তো কোন শেষ নেই । কখনো গাছতলায় কখনো স্কুলের বারান্দায় আবার কখনো কারোর দয়াতে ক্ষনিকের বিশ্রাম নেওয়া । আজ এদের চিন্তার কোন কুল-কিনারা নাই । কে দিবে স্থান ? কে দিবে আশ্রয় ? আর কে বা দিবে দুমুঠো ভাত। এমন হাজার হাজার লোক আজ অজানা পথের যাত্রী ।
জসিম সরকার তাদেরই একজন । মেহেন্দিগন্জের নিজের বাস্তুভিটা নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পরে ১ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে কোন রকম ঢাকায় এসে উঠেছে ,উদ্দেশ্য একটাই , যদি কোন কাজের সন্ধান হয় ,তবে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে বাকী জীবনটা কেটে যাবে । বিধিবাম সেখানেও তাদের ভাগ্যের প্রতিবন্ধক হলো । নিজেদের কাছে কোন টাকা নাই , নতুন জায়গা ,দুদিন নিজেদের পেটে কোন কিছু পড়েনি । ছেলেটাকে ক্ষুধার জালায় ছটফট করছে , চিতকার করে কানছে আর বলছে মা আর থাকতে পারছিনা ,আমাকে কিছু খেতে দাও ,নইলে আমি মারা যাব । এমন কথা সুনলে কোন বাবা মা কি সুস্থ থাকতে পারে ? ৬ বছরের সন্তান , সে কি জানে যে তার বাবার চেষ্টার কোন কসুর নাই ,জান প্রান দিয়ে চেষ্টা করছে কিছু একটা করে ছেলেকে দুমুঠো খাদ্য মুখে তুলে দিতে । কিন্তু সব চেষ্টা যখন ব্যার্থ হলো তখন মনে মনে ভাবছে আর রাস্তা দিয়ে হাটছে । চেহারা খুব মলিন ,মুখটা একেবারে শুকনো , দাড়ীমোচে একাকার অবস্থা ।
একি ‘ হটাত এক পকেট মাইরকে পুলিশ তাড়া করেছে গ্রেফতারের জন্য ,সে কারো পকেটে হাত ঢুকিয়েছে পর পুলিশ পাশে ছিল দেখে ফেলেছে । ওমনি তাকে গ্রেফতারের জন্য তাড়া করছে ,আর সে পড়ি মড়ি করে দৌড়াচ্ছে আর বলছে পালাও পালাও পুলিশ আসছে ,ঢাকার পকেট মাইর বা হাইজাকারদের এইটাও একটা কুট কৌশল । জসিম সরকার ভাবলো ছেলের জন্য খাবার খুজতে বের হলাম , এই অবস্থাতে যদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হই তবে আমার ছেলেকে কে দিবে খাদ্য ? আমার পরিবারের পাশে কে থাকবে ? কোন কিছু চিন্তাভাবনা না করে হটাত সেও দৌড় দিল ,কিন্তু ততক্ষনে পুলিশ বাহিনির আর একটি দল সামনের থেকে আসাতে জমিস সরকারকে পকেট মাইর ভেবে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল । প্রকৃত পকেট মাইর লোকজনের ভিতর ঢুকে সাধু সেজে বেচে গেলো । জসিমকে গ্রেফতার করার পরে সে অনেক আহাজারি করতে লাগলো ,কিন্তু জসিমের হাজার আহাজারিতেও কোন কাজ হয়নি ,সে পুলিশকে বুঝাইতে চেষ্টা করেছে যে আমি পকেট মাইর না । কিন্তু পুলিশ বলছে ধোকাবাজির আর জাগা পাওনা , আমরা তোমাকে পেদানি দিলেই পটপট করে স্বীকার করবে যে তুমিই পকেট মাইর । জসিম কেদে কেদে বলছে দোহাই স্যার আজ দুই দিন কোন কিছু খাই না ,আমাকে মারবেনা ,আমাকে ছেড়ে দিন ,আমি আমার বুভুক্ষ সন্তানও পরিবারের জন্য যদি খাবারের ব্যাবস্থা না করি তবে ওরা অনাহারে মারা যাবে । আপনাদের দুটো পায়ে পড়ি স্যার আমাকে ছেড়ে দিন । পুলিশ কোন কথাই সুনতে রাজি না হয়ে সিদা লকারে ঢুকিয়ে দিল ।
আসলে কথা হলো পুলিশ বাস্তবতার স্বীকার ,অহরহ পুলিশবাহিনী সন্ত্রাসী বা হাইজাকার দ্বারা প্রতারনার স্বীকার হচ্ছে ,আবার অনেক পুলিশ টাকার বিনিময়েও সব কিছুকে নায়েজ করে দিচ্ছে ,তাই প্রকৃত ভুক্তভুগিরাও ক্ষমা পাচ্ছেনা । তাই আসুন আমরা সবসময় সকল মজলুমের কথাকে মিথ্যা না ভেবে যদি একটু মনোযোগ দিয়ে সুনতে চেষ্টা করি তবে জসিমের মতন এমন আসল ভুক্তভুগিরা অবশ্বই সমাজ থেকে সহযুগিতা পাবে এবং জেল খানায় ঢুকতে হবে না ।
ব্লগপোষক বলেছেনঃ
সম্মানিত ব্লগার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি,
পোস্টে বানান বিষয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে। ভুল বানান অনুগ্রহ করে অবিলম্বে সঠিক করুন। অন্যথা পরবর্তীতে আপনার পোস্ট প্রকাশ করা হবে না।
দৃষ্টি আকর্ষণ: পোস্ট হোক পাঠযোগ্য
ধন্যবাদ।
ব্লগ টিম
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি বলেছেনঃ
পরবর্তিতে ভালভাবে বানান চেক করার পরে তাহা ব্লগ টিমের কাছে প্রেরন করব ইনশাআল্লাহ
মাজেদ বলেছেনঃ
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি, পনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মেহেন্দিগঞ্জের অসহায় মানুষের কথা আপনার ব্লগ পোষ্টে লেখারজন্যে।
Your text to link…
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি বলেছেনঃ
জনাব মাজিদ ভাই
আমাদের সকলের উচিত অসহায় ,হতদরিদ্র,নিস্ব লোকদের পাশে দাড়ানো । অর্থ সামর্থতো আল্লাহ সবাইকে দেয়নি ,তাই যে যেইটা দিয়ে সম্ভব ওদের পাশে দাড়ানো । কেউ কলম দিয়ে লিখে ,কেউ অর্থ দিয়ে ,আবার কেউবা গনমাধ্যমে প্রচার দিয়ে ওদেরকে সাহায্য করতে পারি । আল্লাহ আমাদের সকলকে ভাল কাজ করার সুযোগ দিন ।
ধন্যবাদ মজিদ ভাই
আলী হাসান তৈয়ব বলেছেনঃ
এই অনাহারীদের দুঃখ যাতে সবাই অনুভব করেন এ জন্যই আসে মাহে রমযান। কিন্তু নিজেদের ভোগবাদী মানসিকতা আর ধর্ম সম্পর্কে উদাসীনতার কারণে আমরা যথার্থভাবে এ শিক্ষা কাজে লাগাই না।
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি বলেছেনঃ
জনাব আলী হাসান ভাই
রমজান মাস আসে আমাদের মাঝে মানবতার শিক্ষা নিয়ে । সারাদিন অনাহারে থাকার নাম রোজা এই জন্য বলা হয়েছে যে ,কষ্টে যাদের বারোটা মাস কাটে সুখী লোকদের সেইটা অনুভব করানোটাই মুল উদ্দেশ্য ।
আমাদের যাদের সামর্থ আছে ,আসুন আমরা হত দরিদ্র লোকদের পাশে হাজির হই ,আমার সম্পদটাকে পবিত্র করি ,সাথে সাথে ঐ ছিন্নমুল লোকগুলোও দুমুঠো ভাত কয়েকদিনের জন্য হলেও পেট ভরে খেতে পারেন।
ধন্যবাদ