আমরা আজকাল খবরের কাগজ খুললেই দেখি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ,সাংবাদিক থেকে শুরু করে, বিচারপতি, এমপি, উকিল ,ব্যারিষ্টার, শিক্ষক সহ সমাজের সকল পেশার লোকদের সাথে পুলিশের দুরুত্ব বাড়ছে তো বাড়ছেই। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা যতই বাড়ছে,ততই পুলিশ আরো বেশী বেপরওয়া হয়ে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে । পুলিশের হেন আচার আচরনে মনে হয় বড় কোন শক্তি তাদের পক্ষে সাফাই গাইছে ,যার কারনে তাহারা আরো উদ্দমগতিতে অবৈধ রোগজারের ,চাদাবাজির ও নির্যাতনের কৌশল আবিস্কার করছে ,এবং কোন কিছুকে তওয়াক্কা না করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সরকারের বিরুদ্ধে ১৮ দলীয় জোটের কোন কর্মসুচি যদি দেওয়া হয় ,পুলিশ সেই কর্মসুচিতে গনহারে গ্রেফতার করে গনআদালতের কাছে সোর্পদ করতে ব্যাস্ত থাকে , কেউ টাকার বান্ডিল পুলিশের পকেটে গুজে দিতে পারলেই তাকে কোন আদালতের ধারে কাছে যেতে হচ্ছে না । পুলিশের এই নব্য কৌশল নিয়ে খুব ধীরগতিতে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । আবার কেউ কেউ পুলিশের এহেন আচার আচরনের বিরুদ্ধে বেশী বাড়াবাড়ি করতে চাইলে, তাকে সিদা থানাতে নিয়ে পুরাতন কোন কেসে ফাঁসিয়ে ,অথবা তার পকেটে হিরোইন,গাজা ,ইয়াবা সহ আরো অনেক কিছুকে আসামির পকেটে ঢুকিয়ে গ্রেফতারকৃতকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে ।
পুলিশকে চাদা না দিলে হকারদেরকে মারধোর করে রাস্তা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে ,তাদের মালপত্র টেনেহেঁচড়ে থানায় নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে । বড় বড় দোকানিরা চাদা না দিলে কোন বিপদকালে তাদের কোন কেস থানায় ডায়েরি করা হচ্ছে না । এখন লোকজনের বেশী সমস্যা হচ্ছে সাদা পোশাকের পুলিশ দ্বারা, রীতিমতো সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করে পুলিশ পরিচয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে ।
এখন জনগন রাস্তাঘাটে কোন বিপদে পড়লে আর সহজে পুলিশের কাছে যেতে চায় না, কারন সেখানে গেলে সেবা যতটুকু পাওয়া যাবে তার থেকে হয়রানি তার শতভাগ বেশী হবে । লোকজন একেবারে কোন বড় ঝামেলায় না পড়লে পুলিশের কাছে যেতে চায় না ।
এখন দেশবাসির একটাই প্রশ্ন: পুলিশ কি লোকজনের বন্ধু ? না শত্রু ? এর পরও কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশকে সার্টিফিকেট দিবেন যে এরা বিগত সরকারের আমলের চেয়ে খুব ভাল কাজ করছে ?