তিনি নিজেকে বর্ণনা করেন একজন গভীর ধর্মীয় রহস্যের প্রতি আগ্রহী কিন্তু অজ্ঞাবাদী ইহুদি হিসেবে, কোন সংঘবদ্ধ ধর্মের প্রতি যার বিশেষ কোন ঝোঁক নেই। ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে তিনি 'আকস্মিক ধর্মতাত্ত্বিক' (দি একসিডেন্টাল থেওলজিস্ট) নামে ধর্ম, রাজনীতি ও অস্তিত্বের উপর ব্লগ লেখা শুরু করেন। ২০১১ সালে তিনি সাহিত্যে 'দি স্ট্রেঞ্জার্স জিনিয়াস এওয়ার্ড' লাভ করেন। জীবন-চিন্তা সম্বন্ধে তাঁর প্রধানতম ধারণা হচ্ছে: সবকিছুই হেঁয়ালিপূর্ণ, বিপদ নিহিত একমাত্রিক চিন্তার মাঝে। তাঁর লেখা বৈচিত্র্যে পূর্ণ—এমনকি সাহিত্য, কলা, ভ্রমণ, গাড়ী ও এভিয়েশন নিয়েও তিনি লিখেছেন। সিয়াটল এসেছিলেন তিনি প্রধানত পাইলট লাইসেন্স নেবার উদ্দেশ্যে।
আমাদের কালের আরেক প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় লেখিকা কারেন আর্মস্ট্রংয়ের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান লেজলি হেজলটন'য়ের মধ্যে; এমনকি সম্ভবত কারেন'কে ছাড়িয়ে যাওয়ার শক্তিও তিনি রাখেন। উভয়েই সমবয়সী এবং ষাট-উর্দ্ধ; তারপরও লেজলির সম্ভাবনার পূর্ণ প্রকাশের আশা ত্যাগ করা কঠিন। তাঁর সর্বশেষ বই 'আফটার দি প্রফেট: দি এপিক স্টোরি অব দি শিয়া-সুন্নি স্প্লিট' এর পর বর্তমানে তিনি 'দি ফার্স্ট মুসলিম' নামে আরব নবী মুহম্মদের একটি জীবনী লেখা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। আশা করা হচ্ছে বইটি ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে।
কোরান পাঠ ও কোরানের মর্ম বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির উপর তিনি টিইডি মঞ্চে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। নয় মিনিটের এই ভাষণে তিনি চিত্তগ্রাহী ভাষা ও সুচারু ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করেন তাঁর অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞা। পাঠক সূত্রে দেয়া ১নং লিংক অনুসরণ করে ভিডিওটি দেখতে পারেন। সেখানে বক্তৃতার ট্রানস্ক্রিপ্টটিও দেখা সম্ভব। এই পেইজ থেকে ইংরেজী সাবটাইটেলসহ ভিডিওটি ডাউনলোডও করতে পারবেন।
লেজলি হেজলটন: টিইডি টক
.