যিগয্যাগ সাইকোএনালাইসিস

মোনেম অপু
Published : 21 April 2015, 07:24 PM
Updated : 21 April 2015, 07:24 PM

দুঃখ পেলে লোকে নিজের মরণকে নিয়েও রঙ্গ করে। মরণকে নিয়ে রঙ্গ করার মানেই হলো জীবনকে নিয়ে রঙ্গ করা। জীবনকে এই প্যাঁচে ফেলতে পারলে তা হয়ে ওঠে রঙ্গময়। এ রঙ্গ-জীবনের তামাশা দেখতে দেখতে ভাঙ্গা মেলায় ব্লগার জাহেদ ক্ষ্যাপার বাঁশি নিয়ে হাজির হয়।

ব্লগার বাংগাল মেলা ভাঙ্গার সুর উঠতেই অস্থির। এ টঙ্গে দৌড়োয়, তো ও টঙ্গে গিয়ে হাজির। এখানে আক্ষেপ, তো ওখানে নালিশ। ভেড়াগুলো দিশেহারা হলে রাখালের দিশা টঙ্গে গিয়ে উঠে। বাংগালকে দেখলে সেই অস্থির-বেচাইন রাখালের কথাই ভোলামনেরও মনে পড়ে যায়।

আলোর সম্পাতে আঁধার কাটে, আবার বনেও লাগে আগুন। দৃষ্টিনন্দন গাছগুলো যখন তেতে থাকে, সামান্য স্ফুলিঙ্গেই তখন দাবানল। ব্লগার আব্দুর রাজ্জাক নিষ্ঠাবান পেশাদার কর্মচারী। তিনি আঁধার দূর করার আশায় পেশাদারী-পারসপেকটিভ থেকে আলোকসম্পাত করেন। কিন্তু তেতে থাকা বনে কেবলই লাগে আগুন।

[অফিস-পথে পুলিশ থামিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে আমি বলি, আমি অমুক অফিসের কর্মচারী]

অনেকেই মেলায় যায় রথ দেখতে। কেউ কেউ যায় কলা বেচতে। এতে রথও দেখা হয়, কলাও বেচা হয়। কিন্তু বিচিত্র এ ধরণীতে এমন চালাকও আছে, যে যায় কলার নিন্দা করতে। নীতি-কথা-বলা ব্লগার মোনেম অপু এমনই এক নিন্দুক। কিন্তু বেকুবটা বুঝে না যে, নিন্দার তলে তলে সে-ও আরেক কলার ব্যাপারী ছাড়া কিছু নয়।

মেলা ভাঙ্গার সময় হয়ে এলো, তবু রথের দেখা নেই। মেলার মাঝখানে বসে কলার ব্যাপারীরা যখন লাভের কড়ির হিসেব কষে, রথ-পিয়াসীরা কি তখন ভাঙ্গা মন নিয়ে মেলার ধারে বসে 'এক বাও মেলে না দো বাও মেলে না' করে ফাঁকির গভীরতা মাপে? নয়নে কি তাদের উপচে উঠে বেদনার জল? অন্তর হয়ে ওঠে নীল? ব্লগার জুবায়েরের কান্নায় উন্মাতাল সাগরের ফেনা-ভাসা পিঠে উঠে আসে সাগরের গহীন থেকে মুক্তার ঝিনুক।