দুপুরে সারা আকাশ কালো করে যখন ঘন সমাবেশে মেতে উঠলো মেঘেরা এবং সমানে বৃষ্টি হয়ে ঝমঝমিয়ে মুষলধারায় নামতে শুরু করলো, তখন ভেবেই বসেছিলাম, এই গেল! সব গেল!! আজ সমাবেশ আমাদের বুঝি বা আর হলো না!!! সাড়ে তিনটে তখনও ঘণ্টা দুয়েক দূরে দেখে আশার একটা রেশ নিয়ে শুধু অপেক্ষা। ঘর থেকে বের হবার সময় ঘনিয়ে এলে—বিলেতিরা যেভাবে শেষ আবহাওয়া বুলেটিনের খোঁজ করে সেভাবে—আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপক তানজির খানের ব্লগটাতে উঁকি দিলাম। আইরিন আপার বদৌলতে দেখলাম ফারুক আব্দুল্লাহ এরই মধ্যে রেইনকোট পরে ঘরছাড়া হয়েছেন। তানজিরের ঘোষণা: সমাবেশ হবেই হবে। বৃষ্টিও আর নেই দেখে আমিও সানন্দে বেরিয়ে পড়লাম। আশা ছিল, মেঘ কেটে যাবে, বিকেলটা ঝরঝরে হালকা রোদের আলোয় ঝকমকে হয়ে উঠবে। নিরাশা জাগানিয়া বৃষ্টি অবশেষে হয়েও গেলো তাপহরা, ধূলোহরা প্রশান্তিবাহিনী। দিয়ে গেলো একটা অনাবিল সোনেলা বিকেল, বৃষ্টিধোয়া গাছদের বিন্যাসের অন্তরে।
নিতাই বাবু এসেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। কাজী শহীদ শওকত আসলেন ময়মনসিংহ থেকে।
তারপর আড্ডা।
এংকর হিসেবে আইরিন আপার দক্ষতা আড্ডাকে প্রাণবন্ত করে রেখেছিল। উৎফুল্ল জুবায়েরের মনের রোশনাই শব্দ হয়ে বাতাসে যখন ছড়িয়ে পড়ছিল তখন আমরা ক'জন, যারা একটু মুখচোরা, যারা নতুন, সচ্ছন্দে একাত্ম হতে পারছিলাম। সুকান্ত থাকলে আড্ডায় আরও কিছু যোগ হতো। রাজ্জাক ভাই থাকলে আমার সুবিধেটা বাড়তো। রাজ্জাক ভাই বিদেশে আছেন জানি। কিন্তু ফোন, মেসেজ দিয়েও সুকান্তর কোনো হদিস জুবায়ের করতে পারেনি। সম্ভবত তিনিও বিদেশেই আছেন। ফোনে-কোঅর্ডিনেটর জুবায়ের থেকে জানা গেল জ্বরে পড়ায় জাহেদ আসতে পারছে না।
আড্ডা চললো সন্ধ্যে তক।
নিতাই বাবু আবার নারায়ণগঞ্জেই ফিরে গেলেন। কাজী শহীদ শওকতও ফিরে গেলেন সোজা ময়মনসিংহ।
[মন্তব্যের জন্য সকলকে সাধারণভাবে এখানেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম। লেখাটা সূচনা মাত্র। যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কী পেলেন লিখুন। যারা আসতে পারেননি তারা ছবি দেখে কী ভাবছেন তা জানান। যথানিয়মে যত দিন যাবে ব্লগারে-সময়ে আগামীর সমাবেশ বড় হবে, হতে থাকবে। আড্ডার সহব্লগাররা অভিজ্ঞতার বিবরণ ও ছবি দিয়ে নতুন পোস্ট দিলে ছবিতে নিজেকে দেখতে পেতাম।]