জাবিতে ৪৬তম অাবর্তনের ভিন্নধর্মী উৎসব

মান্নান মুন্না
Published : 24 April 2017, 10:34 AM
Updated : 24 April 2017, 10:34 AM

অামি যত তম ব্যাচ (অাবর্তন) অামার ক্লাস শুরু হওয়ার তারিখ থেকে তত তম দিনকে ব্যাচ-ডে বলি। এভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনরা তাদের ব্যাচের সংখ্যা এবং ক্লাস শুরু হওয়ার তারিখ থেকে ব্যাচের সংখ্যার দিনকে উদযাপন করে। বলা চলে এক সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে বিষয়টি। এ অায়োজনটি  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম অায়োজন যার অায়োজকরাই থাকে নবীন।

অায়োজন সম্পন্ন করার জন্য তোলা হয় চাঁদা, করা হয় সিটিং-মিটিং। ব্যাচ ডে- তে  থাকে কেক কাটা থেকে অানন্দ র্যালি অার রং মাখামাখি থেকে বিভাগ ও ব্যাচের নাম লিখে রাস্তায় দেয়ালে পেইন্টিং অবশেষ খাওয়া-দাওয়া। র্যালি পুরো ক্যাম্পাসে ঘুরে, সাথে থাকে ব্যান্ডপার্টির বাদ্যযন্ত্রের তাল অার রং চঙে হলিউৎসব প্রায়। এভাবে চলে ব্যাচ ডে- কে স্বরণীয় করে রাখার প্রয়াস।

২৩ এপ্রিল তারিখটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের ৪৬তম দিন (ব্যাচ ডে)। তবে গতানুগতিক উদযাপন নিয়ম থেকে একটু ভিন্নধর্মী অায়োজনে ব্যাচ ডে উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম অাবর্তনের কিছু শিক্ষার্থী।

তাদের অায়োজন ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে চা-বাদাম বিক্রি করে, টোকাই  এবং বিভিন্ন হলের ক্যান্টিনে, বটতলায় খাবারের দোকানে কাজ করে এমন (সুবিধা বঞ্চিতদের) ছেলেদের সাথে নিয়ে। ২৩ এপ্রিল বিকেল তিনটায় কেক কাটার মধ্যদিয়ে শুরু তারপর সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মধ্যে রং-পেন্সিল বিতরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং হীরকরাজার দেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে এ ভিন্নধর্মী অায়োজনের অায়োজকদের মধ্যে একজন ৪৬তম অাবর্তনের রেজিনা অাহমেদ স্বর্ণা। তিনি বলেন- মানুষ সহজে ট্রেন্ডের বাহিরে যেতে চায় না, অামরা ৪৬ ব্যাচের ৩০ জনের মতো এ কাজ করেছি। তবে অনেকে পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছে।