আমরা প্রতি নিয়ত মুত্যূ নিয়ে খেলা করি। বাস্তবে এই মরন ঘাতক বিদ্যুৎ আমাদের জীবনকে নান্দনিক করছে। দিচ্ছে আরাম আয়েশের সব ধরনের সুবিধা। সব সুবিধার মাঝে একটা সত্য হলো তড়িতাহত হলে কোন আপিল নেই। আর তাই এক সাথে প্রাণ গেলো বাবা ও মেয়ের। গত ২৩ জুলাই ২০১৫ বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও গ্রামে একই পরিবারে ফ্রিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় প্রাণ গেলো রিপা বেগম (২৪) ও তার বাবা শফিক মিয়া (৫০)।
সরেজমিন গিয়ে ও এলাকাবাসির কাছ থেকে জানা যায়, রিপা বেগম ফ্রিজ খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার করে। মেয়ের চিৎকার শুনে বাবা দৌড়ে গিয়ে বাবাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং সেখানেই বাবা ও মেয়ের মৃত্যূ হয়। নিহতদের জানাজা অদ্য রাত ০৯:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবেশি তফজ্জুল আলম তানজিলের কাছ থেকে জানা যায় রিপা বেগমের বিয়ে হয়ে ছিল ইংল্যান্ড প্রবাসির সাথে। রিপা বেগমেরও আগষ্ট মাসে ইংল্যান্ড যাওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্ত সামান্য অসচেতনতার কারনে আজ বাবা ও মেয়েকে প্রাণ দিতে হলো। রিপা বেগমের ইংল্যান্ড যাওয়া হলো না। তফজ্জুল আলম তানজিলের মতে আমাদের সমাজে সচেতনতার অনেক অভাব রয়েছে। যার ফলে নানা দুর্ঘটনার সিকার হচ্ছে মানুষ।
বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনিয়। যা ছাড়া আধুনিক সমাজ কল্পনা করা যায় না। আর সামান্য ভুলের কারনে এই বিদ্যুৎই আমাদের প্রাণ কেরে নেয়। আমরা যদি একটু সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে পাড়ি তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচতে পাড়ি। যেমন সার্কিট ব্রেকার থাকলে আজকের এই দুর্ঘটনা হয়তো হত না। তাই যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে তা ব্যবহার করুন। দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলুন।