নাজমুল হত্যায় মামলা, অপরাধী এখনো অজানা

আবু সুফিয়ান_অনুসন্ধানী প্রতিবেদক
Published : 22 Dec 2011, 11:44 AM
Updated : 22 Dec 2011, 11:44 AM

যশোরের বিএনপি নেতা নাজমুল ইসলাম অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহের মাথায় মামলা হলেও কারা অপরাধী, তা এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি ও যশোর জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুলকে (৪৫) গত ১৪ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ করা হয়। তার লাশ পাওয়া যায় পরদিন সকালে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনায়।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বলেন, অপহরণের ঘটনায় করা সাধারণ ডায়রিটি বুধবার নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

অপহরণ ও হত্যকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কী হয়।" নাজমুলের স্ত্রী সাবিরা সুলতানা মুন্নী বলেন, বুধবার গাজীপুর থেকে আসাদ নামে এক উপ-পরিদর্শক তাকে টেলিফোন করে খুনিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, নাজমুলকে চোখে মলম দেওয়ার পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে বিএনপি বলছে, সরকার বিরোধী দলের এই নেতাকে হত্যা করিয়েছে।
নাজমুলের হত্যার প্রতিবাদে গত ১৭ ডিসেম্বর যশোরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করে স্থানীয় বিএনপি।

নাজমুল ইসলাম 'অপহরণের' পর নিহত হওয়ার ঘটনাকে 'গুপ্তহত্যা' উল্লেখ করে এর জন্য সরকারকে দায়ী করেছে প্রধান বিরোধী দল। লাশ উদ্ধারের দিনই এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই- সরকার পাইকারিহারে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। বিরোধী দল তথা বিএনপির নেতা-কর্মীরাই এর শিকার হচ্ছেন।"

স¤প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিশেষ করে র‌্যাবের পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যাদের লাশ পরে 'উদ্ধার' করা হয়েছে বিভিন্ন স্থান থেকে। গত দুই সপ্তাহে মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে মোট ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়, যাদের গুলি চালিয়ে হত্যার পর বস্তায় ভরে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা।

যার একটি ছিলো ঢাকার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেনের। ছাত্রদলের অভিযোগ, ইসমাইলসহ সংগঠনের তিন নেতা-কর্মীকে গত ২৮ নভেম্বর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হাতিরপুল থেকে তুলে নিয়ে যায়।এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এ 'রহস্য' ভেদ করতে সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানও।