নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক প্রতিবেদনে বলেছে, "নির্যাতন বন্ধ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শেখ হাসিনার সরকার বারবার প্রতিশ্র"তি দেওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এখনো আইনের ঊর্ধ্বে রয়ে গেছে।"
২০১১ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, "নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার বা তা আড়াল করতে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা থেকে গত বছর সরে এসেছে সরকার।"
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন, "যদিও বিরোধী দলে থাকার সময় এসব নিয়েই অভিযোগ তুলতো তারা।
তিনি বলেন, "র্যাবের দায় সম্পর্কে স্পষ্ট ও অনেক তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য কোনো র্যাব সদস্যকে জবাবদিহিতায় আনেনি সরকার।"
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সমালোচনা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন তদন্ত ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন সত্ত্বেও এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা স্বীকার ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে চায়নি সরকার।
বরং বেড়েছে বিচার-বহিভূর্ত হত্যাকাণ্ড।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ছয়শটি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অনেকগুলোকে 'ক্রসফায়ার হত্যাকাণ্ড' হিসাবে অভিহিত করা হয়।
এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য মূলত র্যাবকেই দায়ী করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
তাদের মতে, র্যাব সদস্যরা আবার তাদের মূল সংস্থা যেমন পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগে ফিরে যাওয়ায় সেখানেও বিচার বহির্ভূত হত্যকাণ্ডের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে।
মিশরের রাজধানী কায়রোয় ছযশ ৭৬ পৃষ্ঠার 'ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০১২' প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে ৯০টির বেশি দেশে গত বছরের মানবাধিকার বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।