প্রায় দুই মাসেও হত্যাকাণ্ডের কুলকিনারা করতে দৃশ্যত ব্যর্থ পুলিশ সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
নিহত মেহেরুন রুনির ভাই নওশের রোমান জানান, সবশেষ গত ১০ মার্চ তাদের বাসায় এসেছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুজন সদস্য। তারপর থেকে আর কেউ যোগাযোগ করেনি।
"তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের কাছ থেকে কিছু জানারও চেষ্টা করছে না তারা। একদম চুপ হয়ে গেছে তারা," বলেন মামলার বাদি নওশের।
পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের উদ্যোগ নিচ্ছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, "তারা যোগাযোগ বন্ধ করায় আমিই মাঝে মাঝে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মামলার অগ্রগতি জানতে ফোন করি। তারা আমাকে জানান, কোনো অগ্রগতি নেই।"
নওশের বলেন, "মামলার ভবিষ্যত নিয়ে আমরা শঙ্কিত।"
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র, উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি ছুটিতে আছেন।
বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজাবাজারে নিজের বাসায় খুন হন।
হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও খুনি গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়ার পর পুলিশপ্রধান হাসান মাহমুদ খোন্দকার তদন্তে 'প্রণিধানযোগ্য' অগ্রগতি হয়েছে দাবি করলেও এরপর এই বিষয়ে পুলিশের কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সবশেষ গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, "অপেক্ষা করুন। দেখেন, ধরা হয় কি না। অবশ্যই ধরা হবে।"
এদিকে খুনি সনাক্ত এবং গ্রেপ্তার না হওয়ায় ধারবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকরা। প্রতীকী অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, কর্মবিরতি, সমাবেশের পর আগামী ৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে।
একই দিন জেলা পর্যায়ে ডিসি ও এসপি অফিসের সামনেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।