সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: মাহফুজুর রহমানই খুনি- সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ

আবু সুফিয়ান_অনুসন্ধানী প্রতিবেদক
Published : 8 June 2012, 04:53 AM
Updated : 8 June 2012, 04:53 AM

সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যার সাথে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান সরাসরি জড়িত।

৭ই জুন সকালে অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশে না ফিরলে প্রয়োজনে ইন্টারপোল এর সহায়তায় মাহফুজুর রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

লন্ডনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, সাগর-রুনি 'পরকীয়'র বলি।

এমনকি 'তাদের বাসায় মদ এর আড্ডা বসতো' বলেও মন্তব্য করেন মাহফুজুর রহমান।

ডিইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, 'সাগর-রুনির হত্যাকান্ডের পরপর মাহফুজুর রহমানের ভাই-ব্রাদার-ভাতিজার নাম সবার মুখে মুখে ছিলো। অনেকেই তখন বলতে সাহস করে নাই। সহজেই অনুমান করতে পারি এই হত্যার সাথে মাহফুজুর রহমান সরাসরি জড়িত'।

'এরা দাপটের সাথে থাকবে, যাকে তাকে খুন করবে?' প্রশ্ন করেন তিনি।

'যতোক্ষণ না মাহফুজুর রহমানকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে আমরা প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিবো' ঘোষণা করেন ওমর ফারুক।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) এর সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, (মাহফুজুর রহমানের বক্তৃতায়) ঘটনা পরিস্কার পেশাগত কারণেই তারা খুন হয়েছেন। খুনের পরপরই ল্যাপটপ উধাও। তাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো। পুলিশ উদ্ধার করছে না বা উদ্ধার করতে পারছে না।

তিনি বলেন, খুন এর পর এটিএন বাংলা সাগর-রুনি নিয়ে ভালো কোন রিপোর্টিং করে নাই।

'খুনিরা দেশেতো নাই আমরাও জানি। প্রয়োজনে ইন্টারপোল এর মাধ্যমে খুনীদেও ফিরিয়ে আনতে হবে। দরকার হলে এটিএন বাংলা বন্ধ করে দিবো,' যোগ করেন তিনি।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, 'কালকে থেকে মাহফুজুর রহমান লোক সৃষ্টি করেছে। আমার কাছে লোক এসেছিলো। খুনের সাথে কার ছোট ভাই না ভাতিজা জড়িত তা সকলেই জানে!

'মাহফুজুর রহমানের ক্ষমা বা দু:খ প্রকাশের সুযোগ নেই। উনার কাছে ভিডিও আছে। পুলিশকে তা দিতে হবে। তাকে ধরতে হবে। তার ক্ষমা নেই। তিনি বলুক তার আত্মীয় খুন করেছে। বা তার আত্মীয় খুন করে নাই। আয়নায় নিজের চেহারা দেখুক। না দেখে অন্যের চরিত্র নিয়ে কেনো টানাটানি?'

'রুনি কোন ক্যাসেট এটিএন বাংলায় দিয়েছিলো যা প্রচার হয় নাই?'' জানতে চান রুহুল আমিন গাজী।

'প্রশাসন তাকে না ধরলে ভাববো প্রশাসনও জড়িত। তার প্রতি কোন অনুকম্পা নেই। দরদ নেই। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক সভাপতি পারভেজ খান বলেন, মাহফুজুর রহমান ভালো করেছেন। যেটা র‌্যাব-পুলিশ পারেনি। আমার ধারণা উনার কাছে প্রমাণ না থাকলে তিনি এটা বলেননি।

'প্রমাণ না থাকলে এ পর্যায়ের একজন ব্যক্তি এ কথা বলতেন না। উনি বলেছেন, উনার কাছে ভিডিও চিত্র আছে। উনি দেশে আসর সাথে সাথে সাংবাদিক নেতারা যাতে উনার সাথে বসেন,' যোগ করেন তিনি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর একাংশের সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন বলেন, তার বিবৃতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে সাংবাদিক সমাজ।