আমরা পাবলিকরা বড়ই খতরনাগ…উল্টো ভাবনায় ব্যস্ত থাকি…

আদর
Published : 18 August 2011, 05:02 AM
Updated : 18 August 2011, 05:02 AM

আরে বাবা, বইতে পড়েননি?- গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে হাঁটছিলাম। আষাঢ়ের আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। এখানে সেখানে পানি, কাঁদা। পথিকের কাঁদায় পিছলে পড়ার দৃশ্য! সে দৃশ্য দেখে অন্যদের মুচকি হাসি। হা হা হা। হো হো হো। হি হি হি। বর্ষা নিয়ে কত গান কত কবিতা কত গল্প। রাস্তাঘাটের দুর্দশা নিয়ে একটু কথা উঠেছে। জনতা ক্ষেপেছে। দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রী গাড়ী থেকে নামলো না কেন, রাস্তা মেরামত হচ্ছে না কেন- এসব বিষয় নিয়ে এত কথা বললে কি চলে? আমরা শুধু শুধু তাঁদের বিরুদ্ধে বলি, লিখি। এটা কি উচিত? আমরা কি তাঁদের মনের কথা কখনই উপলব্ধি করতে শিখবো না? কেন গাড়ী থেকে নামলেন না- এ নিয়ে যতই কথা হোক না কেন, কারণ একটা নিশ্চয় আছে। কোটি টাকার গাড়ির টায়ারের চেয়ে কি পায়ের জুতোর দাম বেশী? কখনই না। যেখানে মন্ত্রী মহোদয় কোটি টাকার গাড়ী নিয়ে নিজে এসেছেন, সেখানে নামার কি প্রয়োজন আছে? এটা কি আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি নয়? উনি আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে কোটি টাকার গাড়ির টায়ারের দিকে নজর দেননি। ছুটে এসেছেন। এখন তো আর ভোটের সময় নয় যে, কোলাকুলি করতে হবে, দোয়া চাইতে হবে, কুশল বিনিয়ম করতে হবে! সমস্যা শুনতে হবে। এই দৃশ্যগুলো দেখেই আমাদের তৃপ্ত হবার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। ভোটের সময় উনারা হাঁটু কাঁদা কেন গলা কাঁদাতে নামতে দ্বিধাবোধ করবেন না। সেদিন না হয় উনাদের উপস্থিত নিশ্চিত করে কোলাকুলি করার জন্য কাঁদা পানিতে দু'হাত প্রসারিত করে চোখ বন্ধ করে স্টাচুর মতো দাঁড়িয়ে থাকবো! হাজারো সমস্যায় জর্জরিত আমাদের দুর্বল শরীর স্পর্শ করবে চরম সুখে থাকা মানুষের নরম দেহখানি-আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে বাড়ী ফিরবো…