পাবলিক মরে মরুক, ছবি মাড়াইতে যাস না…

আদর
Published : 19 August 2011, 06:40 AM
Updated : 19 August 2011, 06:40 AM

২৮ হাজার গুণন ১০০০ (নূন্যতম)= কত (টাকার)?
২৮ হাজার গুণন ৫ (নূন্যতম)= কত (ভোটার)?

আয় এবং সমর্থক বৃদ্ধি দুটোই সম্ভব বলেই দৃঢ় কন্ঠে বলতে পেরেছেন- "সে যদি অশিক্ষিতও হয়, গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়ার ছবি তো সে চেনে। সিগন্যাল তো ছবি। ছবিটা সে চিনতে পারে কি না, সিগন্যালটা বোঝে কি না, সেটাই কথা (সূত্রঃ প্রথম আলো)"

আশাকরি অদক্ষ চালকেরা গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়ার ছবির উপর গাড়ী তুলে দেবেন না। গাড়ীর চাকা তুলে দেবেন- জলজ্যান্ত গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়ার উপর। আমাদের পাবলিকের কথা তিনি বলেন নি। মানুষ শব্দটা ব্যবহার করেননি। আমরা কি মানুষ না? মনে হয় আমাদের নৌমন্ত্রী পশুপ্রেমী। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ। আহা- এমন মানুষ কটা জন্মায়? ধন্য, আপনাকে পেয়ে আমরা বড়ই ধন্য, গর্বিত।

ক. ত্যাগী নেতা কাকে বলে এবং কারা?
খ. লোভী নেতা কাকে এবং কারা?
ইনশাল্লাহ প্রশ্ন খ-এর উত্তরে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে (……) লেখা থাকবে।

একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল, না বলে থাকতে পারছি না। "গ্রাম থেকে করিম শহরে এসেছে। ভাগ্যে কাজও জুটেছে। মহল্লার ভাবসাব সম্পর্কে জানা নেই। কে মহল্লার বড় মাস্তান, কে মুরুব্বী, কে ভাল, কে মন্দ-ইত্যাদি। গৃহকর্তার ছেলের জন্মদিন। মেহমানরা আসলেন, খেলেন। অনেক খাবার উচ্ছিষ্ট রয়ে গেল। খাবারের পর মেহমানদের হাত ধোয়ার নোংরা পানিতে দুই বালতি ভরে গেল। গৃহকর্তা করিমকে বলল- নষ্ট খাবারগুলো ডাস্টবিনে ফেলবি আর হাত ধোয়া পানিগুলো ছাদে উঠে নিচে মানুষজন দেখে ফেলবি। গৃহকর্তার কথা শুনে করিমের ভ্যাবাচ্যাকা অবস্থা। সে ডাস্টবিন কি জিনিস জানেনা। বাড়ীতে কেউ নেই যে, জিজ্ঞেস করবে। অগত্যা সে সিদ্ধান্ত নিল- বালতি ভর্তি পানিটার একটা বিহিত করবে। বালতি দুটো নিয়ে বাড়ীর ছাদে উঠে গেল। দুপুর একটা বেজে যায়, তবুও গলি দিয়ে কোন লোকজন আসে না। তিনটার দিকে বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে কোমড় দুলাইতে দুলাইতে একটা যুবকে গলির মুখে আসতে দেখে করিমের চোখ চিকচিক করে উঠে। প্রস্তুত হয়। যেই কাছে চলে এসেছে, অমনি বালতির পুরো পানি যুবকটির গায়ে ঢেলে দিল। যুবকটি কিছু বুঝে উঠার আগেই দ্বিতীয় বালতির পানিতে পুনরায় ডুবতে হলো। "

গৃহকর্তা করিমকে লোকজন দেখে ফেলতে বলেছিল, আর করিম উল্টো বুঝে এতবড় ভুল করেছি। যাই হোক- করিম গ্রামের সহজ সরল অশিক্ষিত মানুষ, তাই সে যাত্রা বেঁচে গিয়েছিল।

আমরা কি করিমের মতো মানুষকে নির্বাচিত করেছি? তাঁরা তো করিম টাইপ নন বলেই তো অতবড় পদে। কত সম্মান, কত নিরাপত্তা। হায় বিধাতা- অবশেষে এটা আমাদের কি দ্যাখালা? করিমের মতো হইলে তো সমস্যা আছিল না, যদি উনারা করিমের মতো সহজ সরল মানুষ হইতেন…

কৌতুকের ছলে আমরা বলি- গাড়ী চালাইতে যাইয়া ব্রীজরে সাইড দিস না কিন্তু! এমন কৌতুক মিশ্রিত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ পেলে আমাদের অবাক হবার কোন কারণ নেই।

অদক্ষ চালকের গাড়ীর চাকার নিচে গরু-ছাগল, মহিষ-ভেড়া, আমজনতা পিষ্ট হয়ে মারা গেলেও মৃত পশু বা ব্যক্তিটির ছবি (স্থির না চলমান ছবি এটা পরিস্কার করে বলা উচিত ছিল) চালকের অদক্ষতার কারণে গাড়ীর চাকার নিচে পিষ্ট হবে না ভেবে আমি আনন্দিত, শিহরিত, পুলকিত। আপনি…?