ধর্ষণঃ কি, কেন, কিভাবে -২

নিপাট গর্দভ
Published : 28 Oct 2011, 08:38 AM
Updated : 28 Oct 2011, 08:38 AM

আগের লেখাটির সাথে আরও কিছু লিংক যোগ এবং আরও কিছু লেখা যুক্ত করা দরকার মনে হচ্ছে।

১। ওয়ার্ল্ড হেল্‌থ অর্গানাইজেশন (WHO)-এর রিপোর্ট অন সেক্সুয়াল ভায়লেন্সঃ
ওয়ার্ল্ড হেল্‌থ অর্গানাইজেশন (WHO)- এর রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত নিচের গ্রাফটি দেখুন:

– আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নারীর পোশাকের ভুমিকাঃ সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। প্রতিদিন ৫-৬ বছর বয়স্ক মেয়েও ধর্ষিত হচ্ছে অনেক। আবার ধর্ষণের অনেক রকমের মধ্যে একটি হচ্ছে Spousal Rape (লিঙ্ক http://www.voicesandfaces.org/survivor_victoria.asp ) অর্থাৎ নিজের স্ত্রী বা গার্ল- ফ্রেন্ডকে ধর্ষণ করাটা একেবারেই বিরল ঘটনা নয়। সমস্যাটা কি নারীর পোশাকে, নাকি এই বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষদের? (লিংক উইকিপিডিয়া http://en.wikipedia.org/wiki/Sexual_violence_by_intimate_partners )

– নির্যাতিত হবে কেঃ এ ব্যাপারে কোনও বাঁধাধরা নিয়ম থাকা সম্ভব নয় অবশ্যই। এক নারী ব্লগারকে দেখলাম তর্ক করতে, ভদ্র মেয়েরাই ছেলেদের হাতে নির্যাতিত হয় বেশী, কারণ ওইরকম অভদ্র মেয়েদেরকে কিছু বলার সাহস ছেলেদের থাকে না। কথাটার হালকা সত্যতা আছে। শিশুর যৌন নির্যাতনকারী, অল্প কিছু শিশুর মধ্যে সব চেয়ে weak বলে মনে হয় যাকে, তাকেই নির্যাতনের জন্য বেছে নেয়। কারণটা নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে কেন। তবে আবারও বলা দরকার, ঢালাওভাবে মন্তব্য করা বোকামি।

– নির্যাতিতের প্রতিক্রিয়াঃ কোনভাবেই বলা সম্ভব না কোন ভিকটিম কিভাবে রিয়াক্ট করবে। পরিমলের ঘটনায় অনেককেই প্রশ্ন করতে দেখলাম, একই লোক সেই নির্যাতন কিভাবে একবারের বেশী করার সুযোগ পেলো বা মেয়েটা কেন আবারও তার কাছে প্রাইভেট পড়তে গেলো। এর কারণ, ভিকটিম অনেক সময়ই সম্পূর্ণভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, প্রচণ্ড ভয় পায় নির্যাতনকারীকে, এবং কাউকে বলতে পারে না। বরং সেই নির্যাতক একটা মানসিক শক্তি পেয়ে যায় ভিকটিমের উপর। এভাবে বহুদিন কোনও ধর্ষক নির্যাতন করে যেতে পারে। একটি শিশুও এভাবে বহুদিন নির্যাতিত হতে পারে। লিংক ১ : http://www.tipnational.org/ResourceMaterials/Rape%20Reactions%20of%20the%20Victim.pdf
লিংক ২ : http://www.tipnational.org/home1.htm

আমি এদেশের মেয়েদের এসব ক্ষেত্রে ভূমিকা দেখে মোটামুটি হতাশ। বিদেশে পড়াশুনার সময় যখন ছিলাম, দেখতাম যে কোনও নারী ঘটিত সমস্যায় দেশের সকল মেয়ে রাস্তায় নেমে আসত, সব বয়সের, সব ধরণের। ভিকির মেয়েদের আন্দোলন দেখে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি। এই পৃথিবীর মানব সমাজের অর্ধেক নারী, অর্থাৎ প্রায় ৩০০ কোটি নারী এই পৃথিবীতে। নিজের অধিকার আদায়ে নারীরা নিজেরাই এগিয়ে না এলে, অন্য অর্ধেকরা কখনই সেই power ছেড়ে দেবে না। যেমন এই লেখাটিও প্রায় কোনও নারী ব্লগারই শেয়ার করবেন না, আগেই বলে দিতে পারি। মেয়েরা মেয়েদের সাহায্য না করলে আর কেউ করবে না।