তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে হরতাল ,অবরোধ । তার উপর আবার দু'নেত্রীর অবসরের দাবিতে হরতাল । জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে হরতাল । মহাসচিবের মুক্তির দাবিতে হরতাল । হরতাল আর হরতাল। কারনে অকারণে যার যখন ইচ্ছে হরতাল ডাকছে । হরতাল এখন ফুটপাতের ওজন মাপার মেশিনে ওজন মাপার মত সস্তা একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
বছর এখন শেষের দিকে । সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কম বেশি পরীক্ষা চলছে । কিন্তু হরতাল হলেই পরীক্ষা স্থগিতের কোলে চড়ে বসছে । দুশ্চিন্তায় পরছেন শিক্ষার্থীরা । এমনিতেই কিছুকিছু প্রতিষ্ঠানে চলছে সেশন জটের তাণ্ডব । তার উপরে যদি হরতালের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হয় , সময় পিছিয়ে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের কিই বা করার থাকে ।
হরতালের আগের দিনও যেন অঘোষিত হরতাল । ওই দিন গাড়িতে আগুন আর ভাংচুরের ঘটনাটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে । তাই অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চান না । আবার পাঠালেও তারা চরম দুশ্চিন্তায় ভুগেন । শিক্ষার্থীদের ভিতরেও একটা ভয় কাজ করে । বাড়িতে পৌছাতে পারলে যেন তারা হাফ ছেড়ে বাঁচে ।
হরতালের কারণে দেশের ক্ষতি হয় । সম্পদের ক্ষতি হয় । দেশ পিছিয়ে যায় । সে সব কথা না হয় নাই বললাম । একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের সমস্যার ছবিগুলোই আঁকলাম মাত্র ।
তাই সব রকমের হরতাল বন্ধের দাবিতে একটা হরতাল ডাকা দরকার ।