সাংসদ আর সাংবাদিক। কাকে পেটানো পুলিশের জন্য লাভজনক? নানা মুনির নানা মত থাকতে পারে। কিন্তু আমার একটিই মত। সাংসদ পেটানো পুলিশের জন্য লাভজনক। এই ধরুন, কোহিনুর মিয়া। তিনি এই কাজে ওস্তাদগিরি করে ভাল লাভ করেছিলেন। জোট সরকারের আমলে ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ জেলায় এসপিগিরি করেও ঢাকায় সরকারি বাসা দখলে রেখেছিলেন। সোনারগাঁ হোটেলের সামনে অবরোধকারিদের উপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে ডিএমপিতে ভাল ভাল পদ দখল করেছিলেন।
মাত্র কয়দিন আগে এডিসি হারুন সাংসদ ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে হুইপিং করে সরকারের কাছ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিমানভাড়া সংগ্রহ করেছিলেন।তার সহকর্মী বিপ্লবসহ তিনি এখন পদোন্নতি পেয়েছেন। একজন এসি থেকে এডিসি অন্যজন এডিসি থেকে ডিসি হযেছেন। কয়েকদিন পর গুলসান জোনের ডিসি হবেন।
অন্য দিকে আকবর নামের এক এসপি চট্টগ্রামের আইসিসি টুর্নামেন্টে সাংবাদিকদের সিএনজি নিয়ে মাঠে ঢুকতে না দেওয়ার অপরাধে প্রথমে সাংবাদিকদের ক্যামেরার বাড়ি খেয়েছিলেন। পরে সাংবাদিকদের উল্টো ঘুষি মারতে গিয়ে তিনি নিজেই এখন মাঠ থেকে উধায় হয়ে গিয়েছেন।
এখন আর এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিক মেরেছেন। তার অবস্থাও তথৈবচ। হয়তো তিনি আর মাঠে ফিরতে পারবেন না। কিন্তু, তিনি যদি আজ সাংবাদিক না মেরে সাংসদকে মারতেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে লাঠি পেটা করতেন, বর্তমান বিরোধী দলীয় হুইপকে মেরে তক্তা বানাতেন, তা হলে তিনি দ্রুত পদোন্নতি পেতেন, আমেরিকায় যেতে পারতেন, সরকার তাকে মাথায় তুলে রাখত।
তাই, বলি পুলিশ ভাইরা, আপনারা তো মারামারি না করে থাকতে পারবেন না। কিন্তু একটু নিজের ভালটা তো বুঝবেন?
রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, সাংসদ, তাজ উদ্দীনের নাতিপুতি যা খুশি তাকেই মারেন। আপনারা চাইলে জনতার টুটি চেপে ধরুন, জনতার বুকের উপর পা দিয়ে তুর্কী নাচন নাচুন, এমনটি সাংসদের পাছায় বেতের লাঠি দিয়ে ডুগডুগি বাজান।
কিন্তু ভুলেও কখনো সাংবাদিক পেটাবেন না।