রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। কিছু দূর থেকে স্পষ্টই দেখলাম স্পিডব্রেকারে বাড়ি খেয়ে একটি মোটর সাইকেল রাস্তায় উল্টে গেছে । দ্রুত সেখানে ছুটে গেলাম। মুহূর্তে জড়ো হলো অনেকে। রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছেন মোটর সাইকেল চালক। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। একজন মাথায় হাল্কা চাপ দিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে। গাড়ি থামিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো । দুর্ঘটনাটির মূল কারণ ছিল রঙহীন স্পিড ব্রেকার।
শুধু যে রঙ ছিল না তা নয় বরং এর মাঝখানটা ক্ষয় হয়ে রাস্তার সাথে মিশে গেছে । শুধু দুই সাইডে দুর্ঘটনার প্রায় অদৃশ্য ফাঁদ হয়ে টিকে আছে ব্রেকারটি। মটর সাইকেলটি মূলত সেই ফাঁদে বাড়ি খেয়েছিল।
এ ঘটনার ঠিক দুইদিন পরে একই কারণে আরেকটি দুর্ঘটনা দেখতে হলো। স্পিডব্রেকারে বাড়ি খেয়ে সিএনজি পড়ে গেছে গহীন খাদে। ২০-২৫ ফুট গহীন সে খাদ। গাড়িতে কোনো যাত্রী ছিল না, চালকও বেঁচে গেছেন আলৌকিকভাবে। অথচ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে দুর্ঘটনা রোধ করতে ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে স্পিডব্রেকার বসানো হয়েছিল। কিন্তু তা চিহ্নিত করা হয়নি।
দুর্ঘটনা রোধে স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়েছে অথচ সেটা রঙ দিয়ে চিহ্নিত না করে ডেকে আনা হচ্ছে আরো ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এ কেমন উদাসিনতা? যেখানে রাস্তা কালো, সেখানে গতিরোধকও কালো। দিনের বেলা গতিরোধক বোঝা গেলেও রাতের বেলা দূর থেকে সহজে বোঝা যায় না। আর শীতে কুয়াশার রাতে তো বোঝার কোনো উপায়ই নেই ।
দ্রুতগামী গাড়ি গতিরোধক পার করতে গেলেই আচমকা ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে উঠে ও হার্ডব্রেক কষে দুর্ঘটনা ঘটনায়। দূরের যাত্রায় অনেক গাড়ি এমন দুর্ঘটনায় খাদে গিয়ে পড়ে।
গতিরোধক বসিয়ে দুর্ঘটনা রোধ করতে গিয়ে এর ব্যবস্থাপনায় সামান্য অবহেলার কারণে সেই গতিরোধকই হয়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর ফাঁদ। অথচ এগুলোতে শুধুমাত্র চোখে পড়ার মত একটু রঙ করে দিলেই অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।