ব্রাজিলে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক প্রদর্শনী

মোঃ আলাউদ্দীন ভুঁইয়া
Published : 4 June 2015, 06:09 AM
Updated : 4 June 2015, 06:09 AM

ব্রাজিল তথা গোটা দক্ষিণ আমেরিকার প্রধানতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাও পাওলোতে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো 'ব্রাজিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারাল সোর্সিং শো ২০১৫'। বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানীকারক সংগঠন (বিজিএমইএ) এর তত্ত্বাবধায়নে, সেমস গ্লোবালের ব্যাবস্থপনায় ২৭ থেকে ২৯ মে, ২০১৫ এ শোর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের ৫৯টি পোশাক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে ভারত, শ্রীলংকা, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার তৈরীপোশাক সংশ্লিষ্ট রপ্তানীকারকেরা। ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত জনাব মোহামেদ মিজারুল কায়েস ও দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকতা প্রথম সচিব জনাব মোঃ আলাউদ্দীন ভুঁইয়া সাও পাওলোতে প্রদর্শনী চলাকালে উপস্থিত থেকে মিডিয়া ব্রিফিংসহ বাংলাদেশ ব্রান্ড প্রসারে নিয়োজিত থাকেন। তিনি প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং রপ্তানীকারক ও ব্রাজিলের ক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। দূতাবাসের উদ্যোগে ব্রাজিলের বৃহত্তম পোশাক আমদানীকারকগণ রেনার, রিওয়াশেলু, সিএন্ডএ, মারিসা, সিয়া হেরিং প্রভৃতির সাথে বিজিএমইয়ের সহসভাপতি জনাব মোহাম্মেদ শহীদুল্লাহ আজিম ও অন্যান্য সদস্যদের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যিক আলোচনার আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের তথ্য মতে, ব্রাজিলের এ সকল বৃহৎ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ল্যাটিন আমেরিকার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ব্যক্তি পর্যায়ের চার শতাধিক পোশাক আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান এ প্রদর্শনীতে আসেন এবং প্রদর্শকদের সাথে পণ্য ক্রয়ের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করে।

অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান, উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং তৈরীপোশাকের ক্যাটেগরি বিবেচনায় এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল উচ্চমানের। এই প্রদর্শনীর হাত ধরে বাংলাদেশের তৈরীপোশাক ব্রাজিল তথা দক্ষিণ আমেরিকায় তার উপস্থিতি ঘোষণা করতে সক্ষম হয়। অংশগ্রহণকারীদের মতে, তৈরীপোশাকের বাজার হিসেবে ব্রাজিল বিপুল সম্ভাবনাময়। তবে, তৈরীপোশাক আমদানীতে ব্রাজিলের উচ্চ শুল্কহার বিশেষ অন্তরায় হয়ে দেখা দিতে পারে। দূতাবাস এ বিষয়ে ব্রাজিল সরকার ও চেম্বার অব কমার্সের সাথে আলোচনা শুরু করেছে এবং একটি দ্বি-পাক্ষিক প্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। উক্ত প্রদর্শনীতে অন্যান্যদের মধ্যে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এবং ইপিবির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।